"ইলেক্টোরাল বন্ড না থাকলে, টাকা কোথা থেকে এসেছে আর কোথায় গিয়েছে, খুঁজে বের করা যেত ?"
PM Modi: ইলেক্টোরাল বন্ড সোমবার প্রথম মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইলেক্টোরাল বন্ড না থাকলে, টাকা কোথা থেকে এসেছে আর কোথায় গিয়েছে, খুঁজে বের করা যেত কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নয়াদিল্লি: নির্বাচনী তহবিল ইস্যুতে বিরোধীরা বারবার আক্রমণ করেছে বিজেপিকে। ইডি বা সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে লেলিয়ে দিয়ে বিভিন্ন সংস্থা ও কালো টাকার কারবারীদের থেকে বিজেপির তহবিলে প্রচুর টাকা ঢোকানোর অভিযোগ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে।
সোমবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই বিষয়ে প্রথম মুখ খুললেন নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীরা নির্বাচনী তহবিল নিয়ে মিথ্যে কথা ছড়াচ্ছে বলেও সরাসরি অভিযোগ করলেন তিনি। বললেন, "যে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে এখনও বিচারাধীন রয়েছে তা নিয়ে মিথ্যে কথা ছড়ানো হচ্ছে। যখন আসল সত্যিটা সামনে আসবে তখন সবাই এই বিষয়টার জন্য আফশোষ করবে।"
এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, নির্বাচনী তহবিল প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনগুলিতে কালো টাকার ব্যবহার আটকানো। কিন্তু, বিরোধীরা মিথ্যে অভিযোগ তুলে এই বিষয়ে থেকে পালাতে চাইছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি ব্যবস্থা নেওয়ার পর ১৬টি কোম্পানি অনুদান দিয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৩৭ শতাংশ টাকা বিজেপির কাছে এসেছে আর ৬৩ শতাংশ টাকা যারা বিজেপির বিরোধিতা করে সেই সমস্ত বিরোধী দলের কাছে গেছে। দেশ কালো টাকাকে নির্বাচনে ব্যবহারের ক্ষেত্রে পিছিয়ে দিয়েছে। আর এই বিষয়ে মিথ্যে অভিযোগ জানানোর জন্য সবাই একসময় আফশোষ করবে।
কেন নির্বাচনী তহবিলের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার প্রকল্প চালু করা হয়েছে সেই বিষয়টিও সোমবার স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জানান, এর লক্ষ্য ছিল এটা দেখা যে কারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুদান দেয়। এই প্রকল্পের বিষয়ে অনেক উন্নতি করারও সুযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, "নির্বাচনগুলিতে কালো টাকার যে বিপজ্জনক খেলা চলে তা নিয়ে আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। আজ সেই আলোচনার অবসান হয়েছে, দেশের নির্বাচনগুলিতে কালো টাকা নিয়ে খেলার দিন শেষ হয়েছে। নির্বাচনগুলিতে যে টাকা খরচ হয় তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আমার দল যেমন টাকা খরচ করে তেমনি সব দল ও প্রার্থীরাই টাকা খরচ করে যা তারা মানুষের থেকেই নেয়। আমি চেয়েছিলাম যে আমরা অন্যরকম কিছু করি। কীভাবে নির্বাচনগুলিকে কালো টাকা থেকে মুক্ত করা যায় সেই চেষ্টাই করা হয়েছিল। এই বিষয়ে একটা পরিষ্কার চিন্তা ছিল আমার মনে। আমরা একটা রাস্তা খুঁজছিলাম। আমরা ছোট্ট একটা রাস্তা খুঁজে পেয়েছি। তবে আমরা কখনই এই দাবি করিনি যে এটাই একমাত্র সঠিক রাস্তা।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।