Post Poll Violence: সিপিএম করে বাবা-দাদা, 'অপরাধে' দোকান পুড়ল মেয়ের, বন্ধ রুজিরুটি!
Lok Sabha Election 2024: সিপিএম করার অপরাধেই ফিরোজা খাতুনের সেলাইয়ের দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: লোকসভা ভোট মিটলেও, মিটল না অশান্তি। নির্বাচন মিটলেও জেলায় জেলায় অশান্তি মিটছে না। বাবা দাদা সিপিআইএম করার ও পোলিং এজেন্ট হওয়ার মাসুলে থেমে গেল সেলাইয়ের মেশিনের চাকা! ভোট পরবর্তী হিংসায় এবার জ্বলল পেশাও।
বেকার মহিলাদের নিয়ে সেলাইয়ের দোকান খুলে দিশা দেখিয়েছিলেন দুর্গাপুরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মহুয়াবাগান এলাকার ফিরোজা খাতুন। ভোট পরবর্তী হিংসায় জ্বলে গেল সেই দোকানই। লোকসভা নির্বাচনের মহুয়া বাগান এলাকার সিপিআইএমের পোলিং এজেন্ট ছিলেন ফিরোজা খাতুনের দাদা, মোঃ ফিরোজ শেখ ও তার বাবা মোঃ আলী শেখ।
সেই অপরাধেই ফিরোজা খাতুনের সেলাইয়ের দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে এলাকা জুড়ে।
ফিরোজ শেখ ও মো: আলী শেখের অভিযোগ, "লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই নানা ভাষায় হুমকি দিত তৃণমূলের লোকেরা। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ঠিক নির্বাচনের ফলাফলের পরের রাতেই জ্বালিয়ে দেওয়া হল দোকান। লোন করে চারটি সেলাই মেশিন কেনা হয়েছিল। পাড়ার বেশ কয়েকটা মেয়েও এই দোকানে কাজ করে সংসার চালাত। কিন্তু মেয়ে তো কোন দল করত না। তারপরেও এইভাবে মেয়ের দোকান জ্বালিয়ে একদম সর্বনাশ করে দিল তৃণমূলের বাহিনী।"
আরও পড়ুন, ওড়িশায় BJD-এর 'অজেয়' দুর্গে ফুটল পদ্ম, নবীন-জমানায় ইতি
ফিরোজা খাতুনের দাবি, "আমি কোনও রাজনৈতিক দলই করতাম না। লোন করে চারটি সেলাই মেশিন কিনেছিলাম। এই দোকান থেকে যেটুকু রোজগার হতো তাতেই কোন রকমে সংসার চলত। আমার দোকানে কয়েকজন কাজও করত। তাদেরও রোজকার থেমে গেল। আমিও এখন অথৈ জলে পড়ে গেলাম। কীভাবে মাথা তুলে দাঁড়াবো ভেবে কূল পাচ্ছিনা।"
এ বিষয়ে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন,"তৃণমূল এই ধরনের কাজ করতেই পারে না। এই কাজ বিজেপির। আমাদের প্রতিনিধি দল এলাকায় এলাকায় পৌঁছে যাবে। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানাচ্ছি পুলিশকে।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে