Rudranil Ghosh Poetry: 'গ্র্যাজুয়েট ছেলে টোটো চালায়, কিম্বা বেচে চপ..' রুদ্রনীলের কবিতায় স্বাস্থ্যসাথী-কাটমানি-ঢপ
এবার সাতে পাঁচে থাকার গল্প নয়, তাঁর কবিতায় উঠে এল ‘স্বাস্থ্য়সাথী’ থেকে শুরু করে ‘কাটমানি’ আর ‘চপ বেচা’। সদ্য বিজেপিতে যোগদান করা অভিনেতা কবিতার ছত্রে ছত্রে বিঁধলেন তৃণমূলকেই।
কলকাতা: ‘ইকির মিকির চাম চিকির, কাউন্টডাউন শুরু!’ ফের সাদায় কালোয় নতুন কবিতা বললেন রুদ্রনীল। তবে এবার সাতে পাঁচে থাকার গল্প নয়, তাঁর কবিতায় উঠে এল ‘স্বাস্থ্য়সাথী’ থেকে শুরু করে ‘কাটমানি’ আর ‘চপ বেচা’। সদ্য বিজেপিতে যোগদান করা অভিনেতা কবিতার ছত্রে ছত্রে বিঁধলেন তৃণমূলকেই।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু কবিতা পোস্ট করেছিলেন রুদ্রনীল। তবে সেই কবিতেকে নিছন কাব্য না বলে পলিটিক্যাল স্যাটায়ার বলাই ভালো। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের বিভিন্ন কর্মকান্ডকে কটাক্ষ করেই কবিতা লিখতেন তিনি। তাঁর কবিতা পাঠ করার ধরনও মনে ধরেছিল সবার। তবে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম কলম ধরলেন তিনি। লিখলেন, ‘ইকির মিকির চাম চিকির, কাউন্টডাউন শুরু! এবার ভোটে কী যে হবে, কুঁচকে আছে ভুরু।’ তবে রুদ্রনীলের এবারের কবিতায় শোনা গেল দুর্নীতির অভিযোগ।
'দত্তবাবু'-র মোড়কে নিজের মনের কথাই বললেন রুদ্রনীল। তবে শুধু কি তৃণমূল? কংগ্রেস আর সিপিএমকেও কবিতার ছন্দে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না অভিনেতা। সম্প্রতি দলবদল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন রুদ্রনীল। এবিপি আনন্দকে দেওযা সাক্ষাৎকারে রুদ্রনীল বলেছিলেন, ‘যারা এই ট্রোলগুলো করছেন তাঁরা সিপিএম বা তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মী বা সমর্থক। নির্বাচনের আগে যে কোনও রাজনৈতিক দলই নিজেদের কাজের সপক্ষে প্রচার আর বিরোধী দলের বিরুদ্ধাচারণ করে থাকে। এটাই তো তাঁদের কাজ। আমি তৃণমূলের কোনও রাজনৈতিক পদে ছিলাম না। কেবল সরকারি কিছু দায়িত্ব সামলাতাম। অনেক তৃণমূল বিরোধী মানুষও সরকারি দায়িত্বে থাকেন। সরকার মানেই তৃণমূল নয়। তবে অনেকে যেমন বিরোধিতা করছেন, অনেকেই আমার বক্তব্যের সমর্থনও করছেন। ট্রোলিং-এ আমি বিচলিত হই না।‘ রুদ্রনীল যোগ করলেন, ‘যখন কেউ রুদ্রনীল, রুদ্রলাল, রুদ্রসবুজ, রুদ্রগেরুয়া বলেন, তাঁরা আসলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের হয়েই কথা বলেন। তাঁরা আসলে বলতে চান, বাংলা লাল, বাংলা সবুজ, বাংলা গেরুয়া। অনেকেই আমার বক্তব্যের সমর্থন করছেন, তবে তাঁরা প্রকাশ্যে সেটা বলতে পারেন না। করলে তাঁদের মারধর করার হুমকি দেওয়া হয়। তাঁরা আমার সোশ্যাল মিডিয়ার ইনবক্সে মেসেজ করেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মানেই শত্রু নয়। আমি ব্যক্তি আক্রমণে বিশ্বাস করি না। যাঁর যাকে মনে হবে তাকে সমর্থন করবেন। সবারই নিজের নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে।’
কবিতার শেষে রুদ্রনীল বলছেন, 'পাল্টে গেলাম আমি আজই/যে যাই বলুক প্রভু/সবুজ আমির বদলেতে চাইছি কমলালেবু/ইকির মিকির চাম চিকির পাঁচটা বছর দেখি/বুঝে নেব কোনটা খাঁটি, কোনটা ছিল মেকি'
নিজের দল বদলানোর স্পষ্ট জবাব যেন ছন্দেই দিয়ে দিলেন রুদ্রনীল।