Shantanu Thakur: 'তৃণমূল হলে নাগরিকত্ব নয়, কাউকে নাগরিকত্ব নয়', ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্কে শান্তনু
Election 2024:'তৃণমূল হলে নাগরিকত্ব নয়, কাউকে নাগরিকত্ব নয়', বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তুমুল তোলপাড়। 'মোদির গ্যারান্টি' সত্ত্বেও কেন একথা বললেন শান্তনু?
বনগাঁ: 'তৃণমূল হলে নাগরিকত্ব নয়, কাউকে নাগরিকত্ব নয়', বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের (BJP Candidate Shantanu Thakur) ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তুমুল তোলপাড়। 'তৃণমূলের লোকেদের কাউকে নেবেন না, নাগরিকত্ব দেব না। তৃণমূলের একজনকে নাগরিকত্ব দেব না। দেখব কী ভাবে বাঁচায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়', হুমকি জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর (Shantanu Thakur Viral Video On CAA)।
কী বললেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী?
যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তাতে শান্তনু ঠাকুরকে বলতে শোনা যায়, 'তৃণমূলের একজনকে নাগরিকত্ব দেব না...তার পর ওদের দেখাব খ্যামটা নাচ কাকে বলে? বড় বড় কথা না? মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় যেন বাঁচায় তোদের।' ভিডিওটির সত্যতা এবিপি আনন্দ আলাদা করে যাচাই না করলেও এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, 'যাঁরা সিএএ-র বিরোধিতা করছেন, তাঁরা যদি নাগরিকত্ব নিতে আসেন, তাঁরা '৭১ সালের আইন অনুসারে নাগরিকত্ব নিতে পারেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যেন ওঁদের নাগরিকত্ব দিতে পারেন, ভোটার কার্ডের ভিত্তিতে।...ওঁর তো নাগরিকত্ব দরকার নেই। তা হলে কেন নাগরিকত্ব দিতে হবে ওঁদের?'
ভিডিও ভাইরাল হতেই তুমুল হইচই শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস যেমন বলেন, 'ওঁরা ভাগ করার চেষ্টা করছেন। তাই এই ধরনের কথাবার্তা। কিন্তু আমরা বলেছি, কেউ এই ফর্ম ফিল-আপ করবেন না। কারণ আমাদের ভোটার কার্ড রয়েছে, যেটা দেখে আধার কার্ড দিয়েছে। এটা দেখেই আমাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে।' ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকও বলেন, 'আমরা তো বরাবরই বলে আসছি, বিজেপি বাংলাকে ভাগ করতে চায়। এটা ওদের একমাত্র অ্যাজেন্ডা। আমরা একটাই কথা বলেছি, বলব। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন। যাঁর ভোটার কার্ড রয়েছে, তিনি-ই নাগরিক। তাঁকে তাঁর অধিকার দিতে হবে।'
প্রেক্ষাপট...
লোকসভা ভোটের মুখে হঠাৎ দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে যায় সিএএ বিধি, যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূলনেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-বিরোধীদের বক্তব্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভোটের আগে এই বিধি কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে পশ্চিমবঙ্গ যে এই আইন বলবৎ হওয়ার পথে বিরোধিতা করবে, সেটা বার বার বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনী জনসভাতেও স্পষ্ট বলেন, 'ভোটের আগে সিএএ (CAA) নিয়ে চিৎকার করছে। সিএএ মাথা, এনআরসি ল্যাজা।... বাংলায় সিএএ, এনআরসি হবে না।' অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী আবার দাবি করেন, 'তৃণমূল-বাম-কংগ্রেসের ইন্ডিয়া জোট মিথ্যার রাজনীতি করছে। সিএএ নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। সব পরিবার নাগরিকত্ব পাবে, এটা মোদির গ্যারান্টি।' কিন্তু যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই 'গ্যারান্টির' কথা বলেছেন, সেখানে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী কেন এমন দাবি করলেন?
আরও পড়ুন:‘সব মিথ্যে মামলা, ওঁর ভাইপো শুধু ভাল’, মমতার আক্রমণে জবাব নিশীথের