WB Election 2021 : অতীত নিয়ে খোঁচা তৃণমূলকে, বিজেপিকেও কড়া আক্রমণ রাহুলের
রাহুল গাঁধী বলেন, 'আপনারা দেখবেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় কংগ্রেসমুক্ত ভারতের কথা বলেন। ওনাকে কখনও তৃণমূল মুক্ত ভারত চাই বলতে শুনেছেন ? আমরা কখনওই ওনাদের সঙ্গে সমঝোতা করব না।'
শিলিগুড়ি : রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোট প্রচারে এসে একযোগে তৃণমূল-বিজেপিকে নিশানা করলেন রাহুল গাঁধী। বাগডোগরার নির্বাচনী সভায় বিজেপি থেকে বঙ্গবাসীকে সতর্ক হতে আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল নির্বাচনী সভায় কংগ্রেস নেতা বলেন, 'কংগ্রেস নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছিল তৃণমূল। এটা ভুলে যাবেন না। কংগ্রেস একটা সংগঠন হওয়ার পাশাপাশি একটা চিন্তাধারা। আরএসএস-বিজেপি সংগঠন হওয়া সত্ত্বেও একট বিচারধারা। কিন্তু তৃণমূল কেবল একটা সংগঠন। তাই একমাত্র বিজেপিকে রুখতে পারে কংগ্রেস।'
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি সনিয়া পুত্র। তিনি বলেন, ''অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পান না। কারণ ওনারা জানেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওনারা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। দেশের যেখানেই কেউ দুর্নীতি করেছেন, ভাববেন তার রিমোট কন্ট্রোল বিজেপির হাতে রয়েছে। বিজেপি আমাকে কন্ট্রোল করতে পারবে না। কারণ আমি দুর্নীতি করিনি।'
চার দফা শেষ। এদিন রাজ্যে পঞ্চম দফা নির্বাচনের আগে বঙ্গে আসেন 'কংগ্রেসের কাণ্ডারি'। বিধানসভা নির্বাচনে ভোটয়ুদ্ধে একযোগে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। বাগডোগরার সভায় রাহুল বলেন,মোদী-শাহ যেখানে হিংসা সেখানে।' আরএসএস, মোদী, অমিত শাহ যেখানে
যায়, সেখানেই হিংসা শুরু হয়ে যায়। কখনও ওনাদের মুখে শান্তির কথা শুনবেন না। ওনারা শুধু দেশের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করেন। বিজেপি একজন ভারতীয়র সঙ্গে আরেকজন ভারতীয়র লড়াই বাধিয়ে দেয়। এটাই ওনাদের ডিএনএ। অসমে, উত্তরপ্রদেশে যেখানেই গেছে দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়েছে। বাংলাতেও একই কাজ করছে। আপনাদের সামনে একটা ভয় আছে। যেদিন বিজেপির চিন্তাধারা রাজ্যে ঢুকে যাবে, সেদিন থেকে আপনাদের সুন্দর রাজ্য জ্বলবে।'
এখানেই থেমে থাকেনি রাহুলের বাক্যবাণ। করোনা পরিস্থিতি নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। রাহুল বলেন, 'নরেন্দ্র মোদী করোনার সময় সবাইকে থালা বাজাতে বলেছিলেন। তারপর বললেন ঘণ্টা বাজাতে। তারপর বললেন মোবাইলের লাইট জ্বালাতে। এই মানুষটি নাকি দেশের প্রধানমন্ত্রী। নোটবন্দিতে, জিএসটিতে কোনও উপকার হয়নি। মোদী, অমিত শাহ, আরএসএস দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ডটাই ভেঙে দিয়েছে।তাই দেশের যুবকদের দেওয়ার মতো কোনও চাকরি নেই।
রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলছে, চারদফা নির্বাচন হয়ে গেলেও কংগ্রেসের জন্য বঙ্গে আসেননি রাহুল গান্ধি। এ নিয়ে বহুবার প্রশ্নের মুখে পড়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অবশেষে পঞ্চম দফার প্রচারের শেষ দিনে রাজ্যে এলেন তিনি। সভা করলেন বাগডোগরা ও গোয়ালপোখরে। সেখান থেকে বার বার একটাই বক্তব্য উঠে এল রাহুলের মুখে। তাঁর কথায়, ভোট প্রচার করতে নয়, বাংলার মানুষকে সতর্ক করতে এসেছেন তিনি। বিজেপি বাংলাকে ভাগ করতে এসেছে। এর আগে অসম, তামিলনাড়ুতে একই কাজ করেছে।