Rajiv Sinha: মনোনয়ন ঘিরে অবাধ সন্ত্রাস, 'বন্ধ না হলে স্থগিত হোক নির্বাচন', SC কমিশনের রোষে রাজীব সিনহা
Panchayat Elections 2023: অরুণ জানিয়েছেন, বাংলায় ২২ শতাংশ তফশিলি জাতির মানুষ রয়েছেন। মনোনয়নের সময় তাঁদের বেশিরভাগই আক্রান্ত হয়েছেন।
কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপর্বেই অবাধ সন্ত্রাস (Panchayat Elections 2023)। বোমাবাজি, গুলিবৃষ্টি, তাণ্ডব চলেছে জেলায় জেলায়। সেই নিয়ে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হাকে (Rajiv Sinha) নোটিস ইস্যু করতে চলেছে এসসি কমিশন (SC Commission)। দিল্লিতে তলব করা হবে রাজীব সিন্হাকে, জানালেন এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার WB Election Commission)। বাংলায় ২২ শতাংশ তফসিলি জাতির মানুষ রয়েছেন, মনোনয়নের সময় তাঁদের বেশিরভাগই আক্রান্ত, দাবি এসসি কমিশনের চেয়ারম্যানের।
বাংলায় ২২ শতাংশ তফসিলি জাতির মানুষ, আক্রান্তদের বেশিরভাগই তফসিলি!
অরুণ জানিয়েছেন, বাংলায় ২২ শতাংশ তফসিলি জাতির মানুষ রয়েছেন। মনোনয়নের সময় তাঁদের বেশিরভাগই আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের কাছে এই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান হাতে এসেছে। অরুণ বলেন, "রাজ্য নির্বাচন কমিশন সন্ত্রাস বন্ধ না করতে পারলে নির্বাচন স্থগিত রাখা উচিত। তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত বেশিরভাগ মানুষ আক্রান্ত, আমরা মুখ বন্ধ করে বসে থাকব না। সোনামুখী ও ইন্দাসের বিধায়ক আক্রান্ত, দু'জন বিধায়ক তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত।"
গত কয়েক দিনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে বার বার তেতে উঠেছে পরিস্থিতি। খড়গ্রাম, ক্যানিং, মিনাখাঁ ভাঙড়, চোপড়ার মতো জায়গায় বোমাবাজি, গুলিবৃষ্টি, তাণ্ডবের অভিযোগ সামনে এসেছে। ঘটেছে প্রাণহানিও। আর সেই পরিস্থিতিতে পুলিশকে কার্যত নির্বাক দর্শকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। সেই নিয়ে বৃহস্পতিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন কয়েকটি জেলাকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত রায়ের এই অংশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এদিন তার শুনানিতে আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানান, নির্বাচন কমিশন এখনও পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেনি। তাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীকে উদ্দেশ্যে করে প্রধান বিচারপতি বলেন, "তাহলে গোটা রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ কার্যকর করে দেব? সেটা ভাল হবে তো!"
আদালতেও তিরষ্কৃত রাজ্য নির্বাচন কমিশন
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, "আমরা নির্দেশ ফেলে রাখার জন্য দিইনি। বাস্তবায়নের জন্য দিয়েছি। যদি আমাদের রায় পছন্দ না হয়, তাহলে উচ্চ আদালতে যান। কিন্তু, উপেক্ষা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সময় চলে যাচ্ছে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করতে পারে।"