WB Election News: করোনার টিকা দেওয়া শেষ হলেই মতুয়াদের নাগরিকত্ব: অমিত শাহ
দিল্লিতে ইজরায়েলের দূতাবাসের কাছে বিস্ফোরণের জন্য তাঁকে দিল্লি থেকে যেতে হয়েছিল। তাই সূচি থাকলেও কদিন আগে উত্তর ২৪ পরগণার ঠাকুরনগরে আসতে পারেননি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরনগরে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর মতুয়াদের মধ্যে দাঁড়িয়ে মতুয়াদের জন্য একগুচ্ছ আশ্বাস দিলেন।
ঠাকুরনগর: দিল্লিতে ইজরায়েলের দূতাবাসের কাছে বিস্ফোরণের জন্য তাঁকে দিল্লি থেকে যেতে হয়েছিল। তাই সূচি থাকলেও কদিন আগে উত্তর ২৪ পরগণার ঠাকুরনগরে আসতে পারেননি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরনগরে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর মতুয়াদের মধ্যে দাঁড়িয়ে মতুয়াদের জন্য একগুচ্ছ আশ্বাস দিলেন।
ঠাকুরনগরের জনসভায় অমিত শাহ বলেন, ‘কিছু কারণের জন্য আগেরবার ঠাকুরনগরে আসতে পারিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চয় খুব খুশি হয়েছিলেন। মমতা যতক্ষণ না হারেন, বারবার ঠাকুরনগরে আসব। বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি। শান্তনু ঠাকুরকে বলেছিলাম ঠাকুরনগরে আসব।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মতুয়াদের যথাযোগ্য সম্মান দেবে বিজেপি। ৭০ বছর ধরে মতুয়া, নমঃশূদ্ররা নাগরিকত্ব পাননি। ২০১৮ সালে বলেছিলাম মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবে বিজেপি। ২০১৯ সালে মতুয়া সমাজ বিজেপির ঝুলি ভরে দিয়েছিল। ২০২০ সালে সিএএ নিয়ে এসেছি। করোনার জন্য সিএএ পিছিয়ে গেছে। মমতা বলছেন বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। আমরা যা বলি, তাই করি। করোনায় ভ্যাকসিন পর্ব শেষ হলেই নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু।’
অমিত শাহ আগেরবার ঠাকুরনগর সফর বাতিল করায় তাঁকে কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দল থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে বিজেপি। সিএএ নিয়ে মতুয়াদের মিথ্যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেও তোপ দেগেছিলেন সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। বৃহস্পতিবার সেই সবেরই জবাব দিয়েছেন অমিত শাহ। বলেছেন, ‘সিএএ হলে মুসলিমদের নাগরিকত্ব যাবে না। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঠাকুরনগর রেলস্টেশনের নাম শ্রীধাম রেলস্টেশন হবে। অনুপ্রবেশ রুখতে পারবে না মমতার সরকার। বিজেপি ক্ষমতায় এলে শুধু অনুপ্রবেশ নয়, পায়রাও ঢুকতে পারবে না।’
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বামেদের আমল থেকে বাংলায় হিংসা শুরু হয়েছে। মমতা হিংসা রুখতে পারেননি, বিজেপি রুখবে। দলিত, আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্যই কাজ করছে বিজেপি। ৫ বছরে গরিবদের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বিজেপি। আয়ুষ্মান ভারতে মানুষদের স্বাস্থ্যের জন্য ৫ লক্ষ টাকা। দেশের কৃষকরা ১২০০০ টাকা করে পেয়েছেন। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এসে কৃষকদের ১৮০০০ টাকা করে দেবে।’