ABP Exclusive: 'অনির্বাণ' নামে ডাকলেই একসঙ্গে সাড়া দিচ্ছেন ২ জন! নাজেহাল টিম 'মুখোশ'
'অনির্বাণ' বলে ডাকলেই বিপত্তি। দুই অনির্বাণ একসঙ্গে বসছেন, একসঙ্গে উঠছেন। একসঙ্গে ডায়গল বলতে যাচ্ছেন অথবা একসঙ্গে অ্যাকশান করতে যাচ্ছেন।
কলকাতা: এক নাম কিন্তু চরিত্র আলাদা। যথারীতি ফ্লোরে তাঁদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা কাজ। কিন্তু 'অনির্বাণ' বলে ডাকলেই বিপত্তি। দুই অনির্বাণ একসঙ্গে বসছেন, একসঙ্গে উঠছেন। একসঙ্গে ডায়গল বলতে যাচ্ছেন অথবা একসঙ্গে অ্যাকশান করতে যাচ্ছেন। 'মুখোশ' এর সেটে দুই অনির্বাণকে নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয়েছে পরিচালক সহ গোটা টিমকে। শ্যুটিংয়ে সেই সমস্ত ঘটনাই বেশ মজার স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে অনির্বাণ চক্রবর্তীর কাছে।
একেনবাবু থেকে শুরু করে লালমোহনবাবু। অনির্বাণকে এখনও খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে এখনও পর্যন্ত দেখেননি দর্শক। অনির্বাণ বললে এখনও দর্শকদের হাস্যরসের কথাই মনে পড়ে। কিন্তু সেই ধারণায় বদল আনবে 'মুখোশ'। বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত এই ছবি মুক্তি পাচ্ছে ১৯ অগাস্ট। করোনা পরিস্থিতিতে হল খোলার পর বড়পর্দায় প্রথম বাংলা ছবি হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে এটিই। ইতিমধ্যেই কমেডি ছাড়া অনেক অন্যরকম চরিত্রে অভিনয় করে ফেলেছেন অনির্বাণ। কিন্তু এগুলোর মধ্যে 'মুখোশ'-ই প্রথম মুক্তি পাচ্ছে। অনির্বাণ বলছেন, 'আমার এমন চরিত্র করতে ইচ্ছা করে যেখানে বিভিন্ন ধাপে অভিনয় করার সুযোগ আছে। আমার বিভিন্ন ধারার অনেকগুলো কাজ হয়ে পড়ে রয়েছে। হাতে কিছু কাজও রয়েছে। তবে দর্শক প্রথম মুখোশ ছবিতেই আমায় অন্যরকম চরিত্রে দেখবেন। অপেক্ষা করে আছি। দর্শকদের কেমন লাগল তা জানা খুব জরুরী।'
বিরসা থেকে চান্দ্রেয়ী, 'মুখোশ' ছবির দৌলতে অনেকের সঙ্গেই প্রথম কাজ করেছেন অনির্বাণ। বলছেন, 'এই ছবিতে অনেকের সঙ্গেই নতুন কাজ করলাম। পরিচালক বিরসার সঙ্গে কাজ করা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। কলকাতার কত অচেনা জায়গায় আমরা শ্যুটিং করেছি। কলকাতার মধ্যে ওইরকম অদ্ভুত জায়গা যে আছে এর আগে জানতামই না। আর চান্দ্রেয়ী খুব প্রানোচ্ছাল। সবসময় সেটটা মাতিয়ে রাখত। আর অনির্বাণের সঙ্গে আমি নাটকের মঞ্চে, ছবিতেও আগে কাজ করেছি। সব মিলিয়ে একটা দারুণ অভিজ্ঞতা।'
সেটে নেমসেক। কেমন হল দুই অনির্বাণের একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা? 'অনির্বাণ বলছেন, সেটে আমায় আর অনির্বাণকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হলে সেটা আমার দুজনেই একসঙ্গে করতে যেতাম। বার বার এই ভুল হত। তারপর গোটা ইউনিট মিলে ভেবে চিন্তে একটা উপায় বার করল। আমাদের পদবি ধরে ডাকা শুরু করল। ভট্টাচার্য বা চক্রবর্তী। অথবা মাঝে মাঝে আমি বসে থাকলে আমায় সিটিং অনির্বাণ আর ও দাঁড়িয়ে থাকলে ওকে স্যান্ডিং অনির্বাণ। জায়গা পরিবর্তন হলে আবার উল্টো ডাক। এভাবেই কাজ চলত।'