মা দুর্গার চরিত্রে অভিনয় করার সময় অদ্ভুত একটা শক্তি অনুভব করি: কোয়েল
এবারের মহালয়াটা খুব বিশেষ কোয়েল মল্লিকের কাছে। কেন? কারণ মা হওয়ার পর এ বছর প্রথমবার পর্দায় মা দুর্গার ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।
কলকাতা: ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে পুজোর চল রয়েছে। মহালয়ার ভোরে ঘুম ভাঙত রেডিও থেকে আসা স্তোস্ত্রপাঠে। তারপর টিভিতে মহালয়া দেখা। দুর্গাপুজো বলতে ছোটবেলায় মনে হত, মা দুর্গা বাপের বাড়ি আসছেন। যত বয়স বেড়েছে, মনে হয়েছে আমাদের অশুভ শক্তির সঙ্গে লড়াই করে মানুষের ভিতরকার শুভ শক্তিকে জাগিয়ে তোলার জন্যই মা দুর্গার আরাধনা করা হয়। তবে এবারের মহালয়াটা খুব বিশেষ কোয়েল মল্লিকের কাছে। কেন? কারণ মা হওয়ার পর এ বছর প্রথমবার পর্দায় মা দুর্গার ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।
পর্দায় এর আগেও মা দুর্গার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে কোয়েলকে। এইবছর নিজেকে পর্দায় দেখা কতটা বিশেষ? এবিপি লাইভকে কোয়েল বলছেন, 'প্রতি বছরই ভোরে উঠে চ্যানেলে মহালয়া দেখা আমাদের সবার অভ্যাস। তবে নিজে মা দুর্গার ভূমিকায় অভিনয় করা সবসময়ই বিশেষ। প্রতিবারই যখন এই চরিত্রে অভিনয় করি, মনে হয় নারীশক্তির আদর্শকে পর্দায় তুলে ধরার দায়িত্ব পালন করছি। ভিতর থেকে একটা অদ্ভুত শক্তি পাই অভিনয়ের সময়। এবারও ঠিক তেমনই অনুভব করলাম।'
ছোটবেলায় দুর্গাপুজো বলতে একটাই ভাবনা কাজ করত তাঁর মাথায়। মা দুর্গা একজন ঠাকুর যে এই চারদিন বাপের বাড়ি আসেন। কোয়েল বলছেন, 'যত বড় হয়েছি, বুঝেছি, নারী বা পুরুষ নয়, অশুভ শক্তির ওপর শুভ শক্তির জয়ের বার্তাই দেয় মহালয়া। পৌরাণিকভাবে যে গল্প দেখানো হয়, সেখানেও এই বার্তাকেই তুলে ধরা হয়।'
কেমন ছিল কোয়েলের ছোটবেলার মহালয়ার দিনগুলো? অভিনেত্রী বলছেন, 'ঘুম ভাঙত স্তোস্ত্রপাঠের আওয়াজে। বাবা আগের দিন রাত থেকে রেডিওতে চ্যানেল ঠিক করে রাখতেন। তারপর আমায় ঘুম থেকে ডাকা। এর একটা জিনিস খুব মনে পড়ে। আমাদের মল্লিকবাড়িতে তো পুজো হয়। মহালয়ার দিন দেবীর ত্রিনয়ন আঁকা হয়। যত বড় হয়েছি, ওই তৃতীয় নয়নের মানে বুঝতে শিখেছি। ছোটবেলায় দুর্গাপুজো বলতে এত গভীরতা ছিল না। তখন বুঝতাম পুজো মানেই পড়াশোনার ছুটি। মায়ের কাছে প্রার্থনা করব আর সেগুলো সব সত্যি হবে। বয়স বদলেছে, কিন্তু আমার এই বিশ্বাসটা অবিচল রয়ে গিয়েছে।'
রাত পোহালেই মহালয়া। কালার্স বাংলার পর্দায় ভোর ৫টায় মহিষাসুরমর্দিনী কোয়েলকে টিভির পর্দার সামনে বসে দেখবেন বাস্তবের কোয়েল।