'অভিমানে কাঁদতে কাঁদতে ৫০টা ফুচকা খেয়েছিলাম সেদিন'
দুর্গাপুজোর আর ১০০ দিনও বাকি নেই। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসলেন টলি কুইন কোয়েল মল্লিক। অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন ছোটবেলার ছোট ছোট মজার ঘটনা।
কলকাতা: ছোটবেলার দুর্গাপুজো মানেই ঠাকুর দেখা, নাগরদোলা, ফুচকা, বন্ধু..আরও কত কি! পুজো বলতেই আট থেকে আশির বাঙালি ভাসে আবেগে। ব্যতিক্রমী নন তারকারাও। দুর্গাপুজোর আর ১০০ দিনও বাকি নেই। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসলেন টলি কুইন কোয়েল মল্লিক। অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন ছোটবেলার ছোট ছোট মজার ঘটনা। কোয়েলের স্বভাবসিদ্ধ বাচনভঙ্গিতে ছোট্ট সেই ভিডিওই মন ছুঁয়ে গেল নেটদুনিয়ার।
আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছোট্ট ভিডিও পোস্ট করেন কোয়েল। সেখানে তিনি তুলে ধরেন ছোটবেলায় ভাইবোনেদের সঙ্গে নর্দার্ন পার্কে পুজো দেখার স্মৃতি। বাড়ির সবার থেকে ছোট বলে অনেকসময় দল থেকে বাদ পড়তেন কোয়েল। সেই নিয়ে খুব অভিমান হত নায়িকার। তবে বাড়ির বড় দাদা-দিদিদের সঙ্গে প্রতিবছর নর্দার্ন পার্কে ঠাকুর দেখা চাইই-চাই। একবার এমনই এক পুজোর দিনে কোয়েলকে ফেলে সবাই চলে গিয়েছিল নর্দার্ন পার্কে ঠাকুর দেখতে। বাড়িতে দাদা দিদিদের না দেখে প্রচণ্ড অভিমান হয় কোয়েলের। অভিনেত্রী প্রবল বায়না জোড়েন তখন। রক্ষাকর্তা হয়ে এগিয়ে আসেন কোয়েলের 'মেজকা'। কথা দেন, নর্দার্ন পার্কে ফুচকা খেতে নিয়ে যাবেন কোয়েলকে। বড় কারও সঙ্গে যেতে হবে ভেবে একটু মনমরা হলেও, ফুচকার লোভ সামলাতে পারেন না কোয়েল। শেষমেষ নর্দার্ন পার্কে গিয়ে একরকম কান্না চেপে ফুচকা খেতে শুরু করেন কোয়েল। তাঁর কথায়, '২৫টা ফুচকা খাওয়ার পর মেজকা বলে তুই আর খাবি? মেজকা ভয় পাচ্ছিল এরপর শরীর খারাপ করবে কি না। কিন্তু আমি কাঁদতে কাঁদতে না আমি আরও খাব, আরও খাব বলতে বলতে ৫০টা ফুচকা খেয়ে ফেলি সেদিন। কেউ বিশ্বাস করবে না.. কিন্তু সত্যিই ৫০ টা ফুচকা খেয়েছিলাম।' এরপর হাসতে হাসতে অভিনেত্রী যোগ করেন, ফুচকা খেতে কখনও লজ্জা পান না তিনি। ছোটবেলায় সেইদিন যেমন লজ্জা পাওয়া উচিত হলেও পাননি।'
গল্পের শেষে কোয়েল বলেন, 'দাদা দিদি রা যখন বাড়ি ফিরল, আমিও ওদের দিকে আর চোখে রাগ রাগ করে তাকাচ্ছি। ভাবখানা এমন, তোরা কী ঘুরেছিস! আমি ৫০টা ফুচকা খেয়ে এসেছি।'