Koneenica Banerjee Update: মা চেয়েছিল ডাক্তার হই, আমি মাধুরী দীক্ষিত হতে চাইতাম, বলছেন কনীনিকা
অভিনয় পাগল মেয়ে ছোট থেকে স্বপ্ন দেখতেন মাধুরী দিক্ষীত হওয়ার। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা। বলেছিলেন, 'তুই থিয়েটারে যোগ দে'।
কলকাতা: ছোটবেলা থেকেই পডা়শোনায় মেধাবী ছিলেন। মায়ের ইচ্ছা ছিল, মেয়ে চিকিৎসক হবে। কিন্তু অভিনয় পাগল মেয়ে ছোট থেকে স্বপ্ন দেখতেন মাধুরী দীক্ষিত হওয়ার। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা। বলেছিলেন, 'তুই থিয়েটারে যোগ দে'। সেই শুরু। থিয়েটারের মঞ্চ থেকে শুরু করে ছোটপর্দা... বড়পর্দা। নিজের দক্ষতায় জায়গা পাকা করেছেন অভিনয় জগতে। তবে এখনও নিজেকে নায়িকা নয়, অভিনেত্রী বলতেই পছন্দ করেন তিনি। কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর চিকিৎসক হওয়া হয়নি। কিন্তু আপাতত নিজের শ্যুটিং, অভিনয় শেখানোর স্কুল আর নতুন ধারাবাহিক নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত তিনি।
অনেকদিন পর আবার স্টার জলসায় নতুন ধারাবাহিক 'আয় তবে সহচরী'-র হাত ধরে ছোটপর্দায় পা রাখছেন কনীনিকা। তাঁর চরিত্রের নাম 'সহচরী'। গল্পে সহচরী ও বরফির অসমবয়স্ক বন্ধুত্ব আর মধ্যবয়সী এক গৃহবধূর স্বপ্নপূরণের ইচ্ছা নিয়ে এগিয়ে যাবে ধারাবাহিকের গল্প। বরফির ভূমিকায় দেখা যাবে অরুণিমা হালদারকে। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্রী অরুণিমা। নান্দীকারে অভিনয় করতে করতেই এই ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
গল্পের নায়িকা সহচরীর ইচ্ছা 'গোল্ড মেডেলিস্ট' হওয়ার। আর তাঁর স্বপ্ন পুরনো তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে কলেজ ছাত্রী বরফি। কিন্তু সত্যিই কি এত অসমবয়স্ক বন্ধুত্ব হয়? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে কনীনিকা বললেন, 'আমার প্রায় সব বন্ধুদের থেকেই আমার ২০-২৫ বছর বয়সের পার্থ্যক্য। খুব কম বন্ধুরা আছে যাঁরা আমার বয়সী। তাই নিজেকে বরফির জায়গায় রেখে বলতে পারি, বাস্তবেও সত্যিই এমন বন্ধুত্ব হয়। 'আয় তবে সহচরী'-তে দুটি মেয়ের বন্ধুত্ব দেখানো হচ্ছে। আমার মনে হয়, একজন মেয়েই কেবল অপরজনকে সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারে। তাঁর শারিরীক পরিবর্তন থেকে শুরু করে হর্মোনাল চেঞ্জ, একটা ছেলের পক্ষে উপলদ্ধি করা অসম্ভব।'
গল্পে কী সহচরীর স্বপ্নপূরণ হবে? সেই উত্তর দেবে সময়। তবে কনীনিকার কি কোনও অপূর্ণ স্বপ রয়ে গিয়েছে? হাসতে হাসতে অভিনেত্রী বললেন, ' আমার না, কিন্তু আমার মায়ের রয়ে গিয়েছে। ছোটবেলায় পড়াশোনায় ভালো ছিলাম। মায়ের ইচ্ছা ছিল, আমি ডাক্তার হব। কিন্তু ছোট থেকে আমি বলতাম, আমি মাধুরী দীক্ষিত হব। বাবা পাশে ছিলেন সবসময়। বাবার উৎসাহের থিয়েটারে যোগ দেওয়া, অভিনয় শেখা। এখন আমার নিজের ছোট্ট একটা অভিনয় শেখানোর স্কুল আছে। এখন কেবল চাই সেখানকার ছাত্র ছাত্রীরা ভালো অভিনয় করুক। ইন্ডাস্ট্রিকে কিছু ভালো শিল্পী দিয়ে যেতে পারি যেন। এটাই এখন কনীনিকার স্বপ্ন।'