Celebrities on Social Media: 'নাটক'.. 'কিপটে'..অঙ্কুশকে নিয়ে দেদার মজা মিমি-শুভশ্রীর
হাতে ধরা লেমোনেডের গ্লাস, সুন্দর করে সাজানো এক টুকরো লেবুও। কিন্তু সেই গ্লাসের দিকে রীতিমতো চোখ টেরিয়ে তাকিয়ে রয়েছেন অঙ্কুশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নায়কের পোস্ট করা মজার ছবির কমেন্ট বক্স উপচে পড়ল বিভিন্ন মজার মন্তব্যে।
কলকাতা: হাতে ধরা লেমোনেডের গ্লাস, সুন্দর করে সাজানো এক টুকরো লেবুও। কিন্তু সেই গ্লাসের দিকে রীতিমতো চোখ টেরিয়ে তাকিয়ে রয়েছেন অঙ্কুশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নায়কের পোস্ট করা মজার ছবির কমেন্ট বক্স উপচে পড়ল বিভিন্ন মজার মন্তব্যে।
আপাতত মলদ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছেন অঙ্কুশ হাজরা ও ঐন্দ্রিলা সেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত ছবি শেয়ার করছেন দুজনেই। এরই মধ্যে লেমনেড নিয়ে একটি মজার পোস্ট করেছেন অঙ্কুশ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে মজাদার মুখভঙ্গি করে লেমনেডের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। ক্যাপশানে লেখা, 'ভারতীয় টাকায় হিসাব করলে এই এক গ্লাস লেমনেডের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১০০০ টাকা! বিল আসতে দামটা জানতে পারলাম। আমি এখন ওই গ্লাসে লুকনো হিরেটাকে খুঁজছি। কে জানে কেন মাটকে খুব মনে পড়ছে! ও মা.. মা গো...'
অঙ্কুশের এই পোস্টে মজার মন্তব্য করেছেন মিমি চক্রবর্তী আর শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। পোস্টের প্রথমেই শুভশ্রীর মন্তব্য, ওরে কিপটে...। এরপরেই মিমি লেখেন, 'নাটক!' এখানেই শেষ নয়, টলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী অঙ্কুশকে রাগানো শুরু করেন কমেন্টবক্সে। প্রত্যেকের মুখে একটাই কথা, মলদ্বীপ ঘুরতে গিয়েও নাকি কিপটেমি করছেন করছেন তিনি। আর অভিনেতাকে রাগাতে প্রায় জোট বাঁধলেন মিমি আর শুভশ্রী।
মলদ্বীপে অঙ্কুশের সঙ্গী অবশ্যই ঐন্দ্রিলা। ১০ বছরের দীর্ঘ তাঁদের সম্পর্কের কথা টলিউডে বহুচর্চিত। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার নতুন ছবি ম্যাজিক। এই ছবির হাত ধরেই বহু বছর পর বড় পর্দায় পা রেখেছেন ঐন্দ্রিলা। এই ছবির অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন পায়েল সরকার। দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়ও হয়েছে এই ছবি।
দীর্ঘদিনের প্রেমিকার সঙ্গে পর্দায় রোম্যান্স করা কতটা কঠিন? এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, ‘খুউউব কঠিন’। আমি আর ঐন্দ্রিলা মোটেই একেবারে ফিল্মি জুটি নই। ভীষণভাবে বাস্তবের মাটিতে পা রেখে চলি। সিনেমায় যেমন করে প্রেম হয়, রোজকার জীবনে ঠিক তেমন হয় না। প্রথম প্রথম ক্যামেরার সামনে একটু অস্বস্তি হয়েছে একথা অস্বীকার করব না। তবে আমরা কেউই অভিনয়ে নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয় করে আসছি। আমাদের বোঝাপড়ার জন্যই ওই অস্বস্তিটা কেটে যায় ২-৩ দিনে। অন্য নায়িকা ফ্লোরে থাকলে যেমন করে শ্যুটিং করি, সেভাবেই করেছি। দৃশ্য শেষ হওয়ার পর যে যার ভ্যানে ফিরে যেতাম, চিত্রনাট্য অভ্যাস করতাম। আবার ফ্লোরে দেখা হত।’