Abhishek-Aishwarya : AI দিয়ে বানানো হচ্ছে যৌনগন্ধি ভিডিও! গুগল-ইউটিউবের থেকে ৪ কোটির মামলা অভিষেক-ঐশ্বর্যার
বচ্চন দম্পতি বিশেষভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল, এআই বলিউড ইশকের কথা উল্লেখ করেছেন , যারা এমন ২৫৯ টিরও বেশি ভিডিও তাদের প্ল্যাটফর্মে রেখেছে।

নয়া দিল্লি: গত এক বছরে ডিপফেক-এর শিকার হয়েছেন বহু সেলেব্রিটিই। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে তারকাদের মুখ ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে আপত্তিকর ভিডিও। তা হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে নেটদুনিয়ায়। একের পর এক তারকার ভিডিও এভাবে বিকৃত করে ব্যবহার করা হয়েছে। এবার এ ধরনের ভিডিওর জন্য গুগলকে কাঠগড়ায় তুললেন বচ্চন দম্পতি। অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শিকার হয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানে এই ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তাদের যথেষ্ট সম্ভ্রমহানি হয়েছে বলে জানান। তারপর দম্পতি গুগলের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা দাবি করেন। শুধু গুগল নয় ইউটিউবের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ করেছেন তাঁরা। তারকা-দম্পতির অভিযোগ তাঁদের মুখ বা কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে , AI এর সাহায্য নিয়ে বানানো হয়েছে, আপত্তিকর ভিডিও। তা হাতে হাতে এখন ফিরছে মুঠোফোনে। তা বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ নিলেন অভিষেক ঐশ্বর্য। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪ কোটি টাকা দাবি করেছেন তারকাদম্পতি। বচ্চন দম্পতির যুক্তি, ইউটিউবের উচিত এমন সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা যাতে তাঁদের নাম, কণ্ঠস্বর বা ছবির কোনও অপব্যবহার না হয়। বচ্চন দম্পতি বিশেষভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল, এআই বলিউড ইশকের কথা উল্লেখ করেছেন , যারা এমন ২৫৯ টিরও বেশি ভিডিও তাদের প্ল্যাটফর্মে রেখেছে।
নিজেদের অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে আদালতে ভুরি ভুরি ভিডিও লিঙ্ক জমা করেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে জমা করেছেন স্ক্রিনশটও। তারকা দম্পতি দাবি করেন, তাঁদের ছবি, ভিডিওকে এআই দিয়ে বিকৃত করে , তা যৌনগন্ধি করে তোলা হয়েছে। তারপর তা আপলোড করা হচ্ছে ইউটিফবে। তা বহু ভাবে শেয়ারও হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তাঁরা উদ্বেগপ্রকাশ করেন, ইউটিউবের কনটেন্ট তৈরির নিয়ম ও তৃতীয় পক্ষের পলিসি নিয়ে। গত ৬ সেপ্টেম্বর অভিষেক ও ঐশ্বর্যা দুটি পৃথক মামলা করেন। কিন্তু মামলার বিষয়বস্তু প্রায় একই। যদিও তাঁরা কী কী নথি আদালতে জমা করেছেন, তা প্রকাশ করা হয়নি। আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। দিল্লি হাই কোর্ট গুগ্লের আইনজীবীকে তার আগে এই বিষয়ে লিখিত জবাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।






















