Anant Ambani : প্রথম এশীয় হিসাবে গ্লোবাল হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাওয়ার্ড পেলেন অনন্ত অম্বানি
Global Humanitarian Award : এই পুরস্কার বন্যপ্রাণী সুরক্ষা ও বিজ্ঞান-ভিত্তিক সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয়েছে।

Global Humanitarian Award : বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়ে বনতারা প্রতিষ্ঠাতা করার জন্য 'গ্লোবাল হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাওয়ার্ড' পেলেন অনন্ত অম্বানি। ৮ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে গ্লোবাল হিউম্যান সোসাইটি থেকে প্রাণী কল্যাণের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এই পুরষ্কার বন্যপ্রাণী সুরক্ষা ও বিজ্ঞান-ভিত্তিক সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয়েছে। প্রথম এশীয় ও সবচেয়ে কমবয়সী প্রাপক হিসাবে তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষণ সংক্রান্ত উদ্যোক্তা, নীতিনির্ধারক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা। তারাই ভারতে বৃহৎ পরিসরে বন্যপ্রাণ পুনর্বাসন ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলায় অম্বানির ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়েছেন।
সংরক্ষণের উদ্যোগের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি
গ্লোবাল হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাওয়ার্ডকে প্রাণী কল্যাণ ক্ষেত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই সম্মান এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ও বিল ক্লিনটনের মতো ব্যক্তিদের পাশাপাশি শিল্পী শার্লি ম্যাকলেইন, জন ওয়েন ও বেটি হোয়াইটকে দেওয়া হয়েছে।
গ্লোবাল হিউম্যান সোসাইটির মতে, বন্যপ্রাণী পুনর্বাসনের কাজ, প্রজাতি সংরক্ষণ ও দীর্ঘমেয়াদে সংখ্যাবৃদ্ধি পুনরুদ্ধার কর্মসূচির জন্য বনতারা একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকার জন্য অম্বানিকে নির্বাচিত করা হয়েছিল।
গ্লোবাল হিউম্যান লিডারশিপ
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গ্লোবাল হিউম্যান সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডঃ রবিন গ্যানজার্ট বলেন, “বনতারা গ্লোবাল হিউম্যান সার্টিফাইড ডিসটিঙ্কশন প্রাপ্তি কেবল যত্নের ক্ষেত্রে উৎকর্ষতাই নয়, বরং প্রতিটি প্রাণীকে মর্যাদা, নিরাময় ও আশা দেওয়ার প্রতি গভীর নিষ্ঠার প্রতিফলন। এই দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে অনন্ত অম্বানির থেকে আমরা আর কোনও বড় কাউকে পাইনি, যার নেতৃত্বে তার কর্ম সমানুভবতার জন্য একটি নতুন বৈশ্বিক মানদণ্ড স্থাপন করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “বনতারা বিশ্বের যেকোনও স্থানে প্রাণী কল্যাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে অনন্য প্রতিশ্রুতিগুলির প্রতিনিধিত্ব করে। এটি একটি উদ্ধার কেন্দ্রের চেয়েও বেশি, এটি নিরাময়ের একটি অভয়ারণ্য। বনতারার পিছনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, মান ও ভাবনা আধুনিক প্রাণী কল্যাণ কেমন হতে পারে তার জন্য একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।”
স্বীকৃতি পেয়ে কী বলেছেন অনন্ত অম্বানি

এই স্বীকৃতি নিয়ে অম্বানি বলেছেন, এই পুরস্কার সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার গুরুত্বকে আরও জোরদার করে। “আমি এই সম্মানের জন্য গ্লোবাল হিউম্যান সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানাই। আমার জন্য এটি একটি কালজয়ী নীতি, সর্বভূত হিতা যা সকল প্রাণীর মঙ্গলকে পুনরায় সুনিশ্চিত করে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রাণীরা আমাদের ভারসাম্য, নম্রতা ও বিশ্বাস শেখায়। বনতারার মাধ্যমে আমাদের উদ্দেশ্য হল সেবার চেতনা দিয়ে প্রতিটি জীবনকে মর্যাদা, যত্ন ও আশা দেওয়া। সংরক্ষণ আগামীকালের জন্য নয়; এটি একটি ধর্ম পালন যা আমাদের আজকে ধরে রাখতে হবে।”
সার্টিফিকেশন ও ভবিষ্যতের লক্ষ্য

এই স্বীকৃতি পাওয়ার আগে বনতারা নিজস্ব একটি অডিট করে। যেখানে বনতারায় পুষ্টি, পশুচিকিৎসার ক্ষেত্রে যত্ন, পরিবেশগত গুণমান ও প্রাকৃতিক আচরণের সুযোগের মতো কল্যাণকর মানদণ্ড কভার করে একটি বিস্তৃত স্বাধীন নিরীক্ষা করা হয়। সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ায় জুলজি, ভেটেনারি সায়েন্স, নীতি ও প্রাণী আচরণের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞরা ছিলেন।
বনতারায় অনসাইট কেয়ার ছাড়াও বাস্তু-স্তরের সংরক্ষণের সুবিধা রয়েছে। যেখানে বিপন্ন ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির জন্য পুনঃপ্রবর্তন কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে ব্রুকফিল্ড চিড়িয়াখানা শিকাগো, কলম্বাস চিড়িয়াখানা, কোলোসাল বায়োসায়েন্সেস ও বেশ কয়েকটি ভারতীয় বন্যপ্রাণী গবেষক সহ বিশ্বব্যাপী সংরক্ষণ সংস্থাগুলি অংশগ্রহণ করেছিল।
অম্বানির এই প্রাপকদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি তাকে বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিত্বদের একটি দলের মধ্যে স্থান দিয়েছে, প্রাণী কল্যাণ নীতি ও সংরক্ষণে যাদের সবাইকে প্রভাবিত করেছে।






















