Dilip Kumar Death Anniversary: আর্মি ক্যান্টিনের চাকরি থেকে বলিউডের 'ট্র্যাজেডি কিং', দিলীপ কুমার সম্পর্কে কিছু তথ্য
Dilip Kumar: ১৯৬৬ সালে ২২ বছরের ছোট সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ৫৪ বছর বিবাহিত জীবন কাটান তাঁরা একসঙ্গে। গত বছর, ৭ জুলাই, হিন্দুজা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দিলীপ কুমার।
নয়াদিল্লি: ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম নক্ষত্র দিলীপ কুমার (Dilip Kumar)। তাঁর মতো কিংবদন্তি অভিনেতার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা দেশ। ২০২১ সালের ৭ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মৃত্যুর কাছে হার মানেন তিনি। আজ তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী (Death Anniversary)। দীর্ঘ ৬ দশক ধরে বলিউডে রাজত্ব করেছেন দিলীপ কুমার। বলিউডে প্রথম তিনিই 'মেথড' অভিনয়ের ঘরানা শুরু করেন। ৬ দশক ধরে প্রায় ৬৫টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। তাঁর দুর্দান্ত কর্মজীবনের কয়েক ঝলক রইল।
দিলীপ কুমার সম্পর্কে কিছু তথ্য
প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর অধুনা পাকিস্তানের পেশওয়ারের পাস্তুন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কাজের সূত্রে তিনি মুম্বই চলে আসেন। বলিউডের হার্টথ্রব হয়ে ওঠার আগে দিলীপ কুমার ব্রিটিশ আর্মি ক্যান্টিনে কাজ করতেন। সেখানে তৎকালীন প্রথম সারির অভিনেত্রী দেবিকা রানি ও তাঁর স্বামী হিমাংশু রাইয়ের নজরে পড়েন তিনি। তাঁরা এরপর দিলীপ কুমারকে তাঁদের সংস্থা 'বম্বে টকিজ়'-এ অভিনয়ের সুযোগ দেন।
১৯৪৪ সালে 'জোয়ার ভাটা' বলে একটি ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেন। তবে ১৯৪৭ সালে 'জুগনু' ছবি তাঁর প্রথম বক্স অফিস সাফল্য আনে। এরপর তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
'অন্দাজ', 'দেবদাস', 'জোগন' ইত্যাদির মতো ছবিতে তাঁর বিরহে কাতর প্রেমিকের চরিত্রায়ণ তাঁকে 'ট্র্যাজেডি কিং'-এর তকমা এনে দেয়। বলিউডকে বেশ কিছু ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে 'মুঘল-এ-আজম', 'মধুমতি', 'আন' ও 'কোহিনূর' অন্যতম। মাঝে এমন এক সময় এসেছিল যখন তিনি অভিনয় জগত থেকে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ১৯৮১ সালে 'ক্রান্তি' ছবির হাত ধরে তিনি বড়পর্দায় ফেরত আসেন।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর অবদানের জন্য ১৯৯১ সালে তাঁকে 'পদ্মভূষণ' ও ২০১৫ সালে 'পদ্মবিভূষণ' সম্মানে সম্মানিত করা হয়। ১৯৯৪ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান। তিনি একমাত্র ভারতীয় যিনি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান 'নিশান-এ-ইমতিয়াজ'-এও ভূষিত হয়েছেন।
অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনের কথা বললে, দিলীপ কুমার ও মধুবালা বড়পর্দায় জুটি হিসেবে কাজ শুরু করেন ও তাঁর পর সম্পর্কে জড়ান। 'নয়া দৌড়' আদালত মামলায় দিলীপ কুমার, মধুবালা এবং তাঁর বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার পরে তাঁদের বিচ্ছেদ হয় বলে জানা যায়। ১৯৬৬ সালে ২২ বছরের ছোট সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ৫৪ বছর বিবাহিত জীবন কাটান তাঁরা একসঙ্গে।
আরও পড়ুন: Dilip Kumar's Death Anniversary: দিলীপ কুমারের মৃত্যুবার্ষিকীর আগে মর্মস্পর্শী বার্তা সায়রা বানুর
গত বছর, ৭ জুলাই, হিন্দুজা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দিলীপ কুমার। তবে তিনি সশরীরে আমাদের মাঝে উপস্থিত না থাকলেও তাঁর কাজের মাধ্যমে তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন।