Nikhil Nanda: প্রতারণা, আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে আটক অমিতাভ বচ্চনের জামাই নিখিল নন্দা
Amitabh Bachchan's Son In Law Nikhil Nanda: প্রতারণা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ উঠেছে অমিতাভ বচ্চনের জামাই নিখিল নন্দার বিরুদ্ধে। রুজু হয়েছে মামলা। শুরু হয়েছে তদন্ত।

Nikhil Nanda: প্রতারণা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আটক হয়েছেন অমিতাভ বচ্চনের জামাই নিখিল নন্দা। বিভিন্ন সূত্রে সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। নিখিল নন্দা ভারতের প্রথম সারির একজন শিল্পপতি। এর পাশাপাশি Escorts Kubota - এই সংস্থার চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টরও তিনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে নিখিল নন্দার নামে। অমিতাভ বচ্চনের জামাইয়ের নামে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় স্বভাবতই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের বাবুয়ান জেলায় নিখিল নন্দা-সহ একাধিক ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন একটি ট্রাক্টর কোম্পানির একাধিক এক্সিকিউটিভের নাম। দাতাগঞ্জ থানার আওতায় এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার জোরকদমে তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। জানা গিয়েছে, নিখিল নন্দা-সহ যেসব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বেশ গুরুতর। ওই ট্রাক্টর কোম্পানির মালিককে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছিলেন এই ব্যক্তিরা। এর ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে অভিযোগ এবং শুরু হয়েছে তদন্ত।
অভিযোগ দায়ের করেছেন জ্ঞানেন্দ্র নামের এক ব্যক্তি, যাঁর ভাই জিতেন্দ্র সিং একটি ট্রাক্টর কোম্পানি চালাতেন। এই কোম্পানির নাম জয় কিষাণ ট্রেডার্স। দাতাগঞ্জের আশপাশেই চলত এই ট্রাক্টর কোম্পানির ব্যবসা। জিতেন্দ্রর ব্যবসায় অংশীদার ছিলেন লাল্লা বাবু নামের এক ব্যক্তি। পরিবারের কিছু সমস্যার কারণে জেল এই ব্যক্তির। ফলে ব্যবসার ভার পুরোটাই এসে পড়ে জিতেন্দ্র সিংয়ের কাঁধে।
নিজের অভিযোগনামায় জিতেন্দ্রর দাদা জ্ঞানেন্দ্র অভিযোগ জানিয়েছেন নিখিল নন্দা-সহ অন্যান্য অনেক কোম্পানির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, জিতেন্দ্রকে বিক্রি বাড়ানোর জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিলেন এই ব্যক্তিরা। আর এই চাপের কারণেই ক্রমশ মানসিক চাপ বাড়ছিল জিতেন্দ্রর। আর তার জেরেই নিজের জীবন শেষ করে দেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। জ্ঞানেন্দ্র আরও অভিযোগ করেছেন, বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে কোম্পানি নিলাম করে দেওয়া, ডিলারশিপের লাইসেন্স রদ করে দেওয়া- এইসব চাপও দেওয়া হয়েছিল জিতেন্দ্রকে। গত বছর ২১ নভেম্বর এই আধিকারিকরা জিতেন্দ্রর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বিভিন্ন বিষয়ে চাপ দেন। পরের দিন, ২২ নভেম্বর মৃত্যু হয় জিতেন্দ্র সিংয়ের।
জিতেন্দ্রর পরিবারের দাবি, আদালত হস্তক্ষেপ না করা পর্যন্ত পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আদালতের হস্তক্ষেপেই শেষ পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়েছে এই ঘটনায়। সব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জিতেন্দ্রর বাবা শিব সিং জানিয়েছেন, নিখিল নন্দার যে তাঁর ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় যোগ রয়েছে, তা তিনি জানতেন না। যে কোম্পানির নাম উঠে এসেছে, তাকেও ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন শিব সিং। ছেলের এ হেন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়েছেন তিনি। আপাতত তদন্ত চলছে এই ঘটনার।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
