Anupam Kher on Satish Kaushik’s death: ওঁকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় দিন, সতীশ কৌশিকের মৃত্যু ঘিরে গুজবের নিন্দা করে বললেন অনুপম খের
Anupam Kher on Satish Kaushik’s death: সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন প্রবীণ অভিনেতা সতীশ কৌশিক।
কলকাতা: ৬৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সতীশ কৌশিক। তাঁর মৃত্য়ু নিয়েও জলঘোলা কম হয়নি। এবার এপ্রসঙ্গে মুখ খুললেন অনুপম খের। একটি নোট লিখে তিনি জানান “আমি মনে করি আমাদের উচিত লোকটিকে একটি সম্মানজনক প্রস্থান দেওয়া এবং এই জল্পনা না করা, কারণ তিনি একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করেছিলেন। তার একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রস্থান প্রয়োজন। এই সব গুজবের অবসান হোক এই পুজোর মাধ্যমে। ধন্যবাদ."
প্রসঙ্গত, মৃত্য়ুর সময় দিল্লিতে ছিলেন অভিনেতা। সেই সময় অস্বস্তি বোধ করেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ রক্ষা হয়নি। সতীশের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পুরো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ও তাঁর ফ্যানরা।
দিল্লিতে অভিশপ্ত সেই রাতে সতীশ কৌশিকের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ম্যানেজার সন্তোষ রাই। তিনি ETimes-কে এক সাক্ষাৎকার ঘটনার রাতের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সাড়ে ৮টা নাগাদ রাতের খাবার খাই। ৯ মার্চ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের বিমানে মুম্বই ফিরে আসার কথা ছিল আমাদের। উনি (সতীশ কৌশিক) বলেন, সন্তোষ, আমরা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি। সকালের ফ্লাইট ধরতে হবে। কিন্তু, রাত ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ জোরে জোরে উনি আমার নাম ধরে ডাকতে থাকেন। দৌড়ে এসে জিজ্ঞাসা করি, স্যার, কী হয়েছে ? কেন চিৎকার করছেন ? ফোনেই বা কেন ডাকলেন না ?" উনি বলেন, শোনো, আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। কোনও ডাক্তারের কাছে নিয়ে চলো আমায়।
আরও পড়ুন...
এর পাশাপাশি তিনি অভিনেতার শেষ কথাগুলো শেয়ার করেছেন। ETimes-কে তিনি জানান, "আমরা বেরিয়ে একটু এগিয়ে গেলে, ওঁর বুকে ব্যথা বেড়ে যায়। উনি বলতে থাকেন, তাড়াতাড়ি হাসপাতাল চলো। উনি মাথাটা আমার কাঁধে রাখেন। বলেন, সন্তোষ, আমি মরতে চাই না। আমাকে বাঁচাও। আমাকে বংশীকার জন্য বাঁচতে হবে। মনে হচ্ছে, আর বাঁচব না। শশী ও বংশীকার খেয়াল রেখো।"
অন্য়দিকে, এক বিবৃতিতে দিল্লি পুলিশ সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছে, এক মহিলার (বিকাশ মালুর স্ত্রী) অভিযোগের ভিত্তিতে অভিনেতা সতীশ কৌশিক মৃত্যু মামলায় তদন্ত শুরু হয়েছিল। সমগ্র ঘটনার তদন্ত করছেন সাউথ ওয়েস্ট জেলার ইন্সপেক্টর স্তরের এক অফিসার।
এএনআইকে বিকাশ মালুর স্ত্রী বলেছিলেন, 'সতীশজির মৃত্যু নিয়ে আমি একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। উনি একটা পার্টির জন্য স্বামীর ফার্ম হাউসে এসেছিলেন। যেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ফার্ম হাউস থেকে কিছু আপত্তিকর ওষুধও পাওয়া যায়।'