AR Rahman: কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে বিয়ে, সেটাই বদলে দিয়েছিল এআর রহমানের জীবন!
AR Rahman on his Marriage: জ্ঞান হওয়া থেকেই যেন তাঁর জীবন জড়িয়ে গিয়েছিল সঙ্গীতের সঙ্গে। বাবা ছিলেন তামিল সঙ্গীত পরিচালক। মাত্র ৪ বছর বয়স থেকেই বাবার স্টুডিওতে কী বোর্ড বাজাতে শুরু করেন তিনি
মুম্বই: কেরিয়ারের একেবারে শুরু দিকেই সায়রা বানু (Saira Banu)-র সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী এ আর রহমান (AR Rahman)। এরপরে তাঁদের তিন সন্তানও হয়, রহিমা (Raheema), খাতিজা (Khatija), ও এআর আমিন (AR Ameen)। নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে সযত্নে প্রচারের থেকে আড়ালেই রেখেছিলেন শিল্পী। সম্প্রতি, নিজের ব্যক্তিগত জীবন ও বিবাহ নিয়ে মুখ খুললেন শিল্পী।
রহমান জানান, কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে বিবাহ তাঁকে সাহায্য করেছিল সাফল্য পেতেও। একদিকে কেরিয়ার অন্যদিকে সংসার, দুইই সমানভাবে বজায় করে চলতে শিখেছিলেন রহমান। জীবনের এই দুই দিকের প্রতিই ছিল সমান ভালবাসা। রহমানের মতে, বিবাহ মানুষকে বদলে দেয় এবং ভালবাসতে শেখায়।
একটি সাক্ষাৎকারে এআর রহমান বলেন, 'বিয়ে ও বৈবাহিক সম্পর্ক মানুষকে ভেতর থেকে বদলে দেয়। আমার মনে হয়, এর যেমন কিছু ভাল দিক রয়েছে, তেমনই ভয়ঙ্কর দিকও রয়েছে। বিয়ে মানে এবার এমন একজন মানুষের সঙ্গে আপনাকে থাকতে হবে, যাঁকে আপনি চিনতেন ও না। তবে আমার কাছে বিয়ে শারীরিক সম্পর্কের চেয়ে অনেক বেশি ছিল আত্মার সম্পর্ক। যার কারণে আমি জীবনে আসা অনেক ঝড়ঝাপটাকেও হাসিমুখে সামলে নিতে পেরেছি।'
জ্ঞান হওয়া থেকেই যেন তাঁর জীবন জড়িয়ে গিয়েছিল সঙ্গীতের সঙ্গে। বাবা ছিলেন তামিল সঙ্গীত পরিচালক। মাত্র ৪ বছর বয়স থেকেই বাবার স্টুডিওতে কী বোর্ড বাজাতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু বাবার কাছে বেশি শিক্ষা নেওয়ার সময় পেলেন না তিনি। মাত্র ৯ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে বদলে যায় তাঁর জীবন। সংসারে আর্থিক অনটন, বাবার বাদ্যযন্ত্র ভাড়া দিয়েই পেট চলত তখন। কিছুদিন পর থেকে, সংসার চালাতে নিজেই কাজ শুরু করেন তিনি, কিন্তু এর চূড়ান্ত প্রভাব পড়ে পড়াশোনায়।
স্কুল কামাই হতে থাকে, ক্ষতি হতে থাকে পড়াশোনারও। শেষমেষ পরীক্ষায় অনুতীর্ণ। স্কুল থেকে তাঁর মাকে ডেকে বলা হয়, বাড়ির কাজ নয়, কিশোরের মন দেওয়া উচিত পড়াশোনায়। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মাকে বলা হয়েছিল তাঁকে যেন স্কুলে না পাঠিয়ে রাস্তায় ভিক্ষা করতে পাঠানো হয়। এরপরে স্কুল পরিবর্তন করে নেন তিনি। নতুন স্কুলে পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে অন্য খাতে বইতে শুরু করে তাঁর জীবন। সঙ্গীত তাঁকে ছেড়ে যায়নি কখনও। বন্ধুদের সঙ্গে মিলে একটি ব্যান্ড তৈরী করেন তিনি। এরপরে মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেন, ডুব দেন সুরের জগতে। প্রথমে কী বোর্ড বাজানো দিয়েই শুরু হয়েছিল তাঁর কেরিয়ার। বিভিন্ন ব্যান্ডের সঙ্গে পিয়ানো বাজাতেন তিনি। ধীরে ধীরে একাধিক বাদ্যযন্ত্রে দক্ষ হয়ে ওঠেন।
এরপর ঝুলিতে এসেছে একাধিক পুরস্কার। তাঁর সুর মূর্ছনায় মজেছেন আট থেকে আশি। এ আর রহমানের সাফল্যের অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন নিজের বিয়ের কথা।
আরও পড়ুন: Jeetu Kamal: 'জানাজানি হলে মানুষ সুন্দর জিনিস নষ্ট করে ফেলে', উপলদ্ধি জিতুর