Bappi Lahiri Demise: আপনার সুরে গান গাইতে পেরেছি, এটা আমার সৌভাগ্য: শ্রেয়া ঘোষাল
মাত্র ৬৯ বছর বয়সে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন কিংবদন্তি বাপি লাহিড়ি। তাঁর সদাহাস্য মুখ, তাঁর মেজাজ আর অবশ্যই তাঁর সৃষ্টি করে যাওয়া কালজয়ী সমস্ত গান আজও মাতিয়ে রাখে ছোট থেকে বড় সকলকে।
মুম্বই: সদ্য প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী বাপি লাহিড়ি (Bappi Lahiri)। তাঁর প্রয়াণে ভারাক্রান্ত মন অগণিত অনুরাগীদের। সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা এদিন বাপি লাহিড়ির প্রয়াণে (Bappi Lahiri Passes Away) শোকপ্রকাশ করেছেন নেট মাধ্যমে। সঙ্গীতশিল্পীর প্রয়াণে তাঁকে ভয়ঙ্করভাবে মিস করছেন গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল (Shreya Ghoshal)। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ফুটে উঠল বেদনা।
এদিন নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে বাপি লাহিড়ির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে তাঁর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন শ্রেয়া ঘোষাল। সঙ্গে লেখেন, 'বাপি দা আপনাকে সবসময় মনে রাখব এদেশের একজন সত্যিকারের রকস্টার হিসেবে। আপনার সুর আপনার গান আপনার ব্যক্তিত্ব সবকিছুই যেন খুব আইকনিক। সবসময় ভালোবাসার মতো উদ্দীপ্ত, ফুরফুরে মেজাজের সদাহাস্য মানুষ আপনি। আমার সৌভাগ্য যে আমার কেরিয়ারে আপনার আশীর্বাদ পেয়েছি। সুযোগ পেয়েছি আপনার সুরে গান গাওয়ার। বড় তাড়াতাড়ি চলে গেলেন বাপি দা। ভয়ঙ্করভাবে আপনাকে মিস করব। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি। ওম শান্তি।'
সত্যিই বহু অনুরাগীর মনের কথাই যেন বললেন শ্রেয়া ঘোষাল। তাঁর গান বহু মানুষকে নাচের প্রেরণা দিয়েছে। আম আদমি থেকে তারকাদের তাঁর গানে ডান্সের জন্য ভিতর থেকেই নাচের প্রেরণা এসেছে। এমনই সমস্ত গান সৃষ্টি করেছেন তিনি। কিন্তু মাত্র ৬৯ বছর বয়সে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন কিংবদন্তি বাপি লাহিড়ি। তাঁর সদাহাস্য মুখ, তাঁর মেজাজ আর অবশ্যই তাঁর সৃষ্টি করে যাওয়া কালজয়ী সমস্ত গান আজও মাতিয়ে রাখে ছোট থেকে বড় সকলকে।
আরও পড়ুন - Bappi Lahiri Demise: 'ইয়াদ আ রহা হ্যায়, তেরা পেয়ার': শান
গতকাল বাংলা তথা দেশের মানুষ যখন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকাচ্ছন্ন, তখন মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে প্রায় গভীর রাতে প্রয়াত হন বাপি লাহিড়ি। দশকের পর দশক ধরে মানুষ তাঁর গানে বিনোদন পেয়েছেন। আজ তাঁর প্রয়াণে সেই সমস্ত গানের সুর, কথা বেজে উঠছে অনুরাগী ও সঙ্গীতপ্রেমীদের মনে।
প্রসঙ্গত, গত একমাস ধরে অসুস্থ ছিলেন বাপি লাহিড়ি। ভর্তি ছিলেন মুম্বইয়েরই এক হাসপাতালে। সোমবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটিও দেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। চিকিৎসককে খবর দেন পরিবারের সদস্যরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অপনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন সকলের প্রিয় বাপি দা। তাঁর প্রয়াণে শোকাচ্ছন্ন গোটা দেশের মানুষ। তিনি যে এত তাড়াতাড়া চলে যাবেন, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কেউ।