Usha Uthup On Bappi Lahiri : ' ঈশ্বর একটু দয়া করুন, আমি বিধ্বস্ত ' ডুকরে কেঁদে উঠলেন ঊষা উত্থুপ
Bappi Lahiri Dies : বাপি লাহিড়ির গান ছাড়া উষা উত্থুপের স্টেজ শো ভাবাই যেত না। বাপি লাহিড়ি ও উষা উত্থুপের যুগলবন্দি মানেই হিট।
কলকাতা : জুটিতে একের পর এক হিট দিয়েছে। বাপি লাহিড়ির গান ছাড়া উষা উত্থুপের স্টেজ শো ভাবাই যেত না। বাপি লাহিড়ি ও উষা উত্থুপের যুগলবন্দি মানেই হিট। দুজনের হিট নিবেদন কোই ইঁহা আহা নাচে নাচে ( 'Koi Yahan Aha Nache Nache') , রম্ভা হো হো হো ( 'Rambha Ho Ho Ho') , তু মুঝে জান সে ভি পেয়ারা ( 'Tu Mujhe Jaan Se Bhi Pyaara' ) । বুধবার সকালে বন্ধু বাপি লাহিড়ির মৃত্যু সংবাদে কার্যত ভেঙে পড়লেন তিনি। শোক প্রকাশের ভাষা খুঁজে পেলেন না। কেঁদেই চললেন। বললেন, কীভাবে ঘটে গেল, ভাবতে পারছি না। শুধু ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে গেলেন। বললেন, ' ঈশ্বর একটু দয়া করুন। আমি বিধ্বস্ত, শোকাহত। বাপি দা সবসময় বলতেন আমাদের জুটি অটুট। বলেছিলেন আরও কিছু ভাল গান তৈরি করছেন, শুধু তিনিই গাইতে পারবেন। '
এমনই ছিল তাঁদের সম্পর্ক, এমনই ছিল তাঁদের বন্ধন।
গতকাল রাত পৌনে ১২টা নাগাদ জুহুর ক্রিটি কেয়ার হাসপাতালে জীবনাবসান। গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপি লাহিড়ি। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। গত একমাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাপি ছিলেন। সোমবার ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মৃত্যু, জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন :
প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী বাপি লাহিড়ি, দেহ নিয়ে যাওয়া হল বাড়িতে
১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। আসল নাম অলকেশ লাহিড়ি। কিন্তু পরিচিত হন বাপি লাহিড়ি নামে। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’ জনেই ছিলেন গানের জগতের মানুষ। কিশোর কুমার সম্পর্কে বাপির মামা। ফলে ছোট থেকে সাঙ্গীতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন বাপি লাহিড়ি।
শুরুটা ৩ বছর বয়সে তবলা বাজানো দিয়ে। ১৯৭৫ সালে হিন্দি ছবি জখমি দিয়ে কেরিয়ার শুরু। এরপর ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বাপি লাহিড়ি। একের পর এক সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন ভারতীয় সঙ্গীতের ডিস্কো কিং। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘ডান্স ডান্স’, ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, ‘সত্যমেব জয়তে’, ‘কম্যান্ডো’, ‘শোলা অউর শবনম’-এর মতো ছবিতে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তাঁর শেষ গান ‘বাগি থ্রি’-র জন্য। বাংলায় ‘অমর সঙ্গী’, ‘আশা ও ভালবাসা’, ‘আমার তুমি’, ‘অমর প্রেম’-সহ একাধিক ছবিতে সুর দিয়েছেন। গায়কীর নিজস্বতা তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছিল।