New Movie Update: সাত বন্ধুর জীবনের ওঠাপড়া-ভাঙাগড়া নিয়ে আসছে 'ব্রাদার', মুখ্য ভূমিকায় দেবদূত ঘোষ
'Brother': ছবির কাহিনি জুড়ে রয়েছে, সাত বন্ধু। ১৯৮৮ সালের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে ছবির গল্প। সেই সময়ে এই সাত বন্ধু দশম শ্রেণির ছাত্র। পার্থ, অ্যারন ইম্যানুয়েল, নীলপ্রতিম, সুজয়, দেবব্রত, মনোজ ও অশ্বিনী।
কলকাতা: সেলুলয়েডে এবার সাত বন্ধুর গল্প (story of seven friends) নিয়ে আসতে চলেছেন পরিচালক সঞ্জয় বর্ধন (Sanjoy Bardhan)। ছবির নাম 'ব্রাদার' (Brother)। স্কুল ড্রামা (School Drama) ঘরানার এই ছবিতে দেখা যাবে এক বিশেষ নাট্যব্যক্তিত্বকে। কী এই ছবির মূল গল্প। আর কাদের দেখা যাবে অভিনয়ে? রইল সমস্ত বিস্তারিত তথ্য।
আসছে সঞ্জয় বর্ধন পরিচালিত 'ব্রাদার'
সঞ্জয় বর্ধনের পরিচালনায়, অনুপম জোয়ারদার প্রোডাকশন পূর্ব ফিল্মস প্রযোজিত, ডা. মনোজ কুমার নিবেদিত স্কুল ড্রামা ঘরানার ছবি 'ব্রাদার' মুক্তির অপেক্ষায়। ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন সঞ্জয় বর্ধন।
ছবির গল্প এক ঝলকে...
ছবির কাহিনি জুড়ে রয়েছে, সাতজন বন্ধুর গল্প। ১৯৮৮ সালের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে ছবির গল্প। সেই সময়ে এই সাত বন্ধু দশম শ্রেণির ছাত্র। পার্থ, অ্যারন ইম্যানুয়েল, নীলপ্রতিম, সুজয়, দেবব্রত, মনোজ ও অশ্বিনী। এই সপ্তরথীর স্কুল জীবনের বন্ধুত্ব, প্রেম, কনভেন্টের জীবন, যাপন, একসঙ্গে নিজেদের পদবীর আদ্যক্ষর দিয়ে ব্যান্ড 'ব্রাদার' গড়ে তোলা, এই সবকিছুর সম্মেলনে নানা রঙের ডালি নিয়ে ছবির ক্যানভাস ভরে ওঠে। তাঁদের স্কুলের পাশে ছিল এক মেয়েদের কনভেন্ট স্কুল। সেখানের ছাত্রী শাওলীর প্রেমে পড়ে নীলপ্রতিম। সে সম্পর্কে পার্থর বোন। ছবিতে এই সমস্ত ছেলে-মেয়েদের জীবনের বিভিন্ন রঙ, তাদের একসঙ্গে কাটানো সুখের দিনের ঝলক দেখা যায়। তাদের মধ্যে ছোটখাটো ঝগড়া, কঠিন প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা, হিংসা, প্রেম সবই ছিল, কিন্তু সবকিছুই এতটাই নিষ্পাপ, এত বিশুদ্ধ যে সেই কঠিন সময়েও ছিল একটা অদ্ভুত সুখ।
তারপরেই ছবির গতির পরিবর্তন। সময়ের প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন। যেখানে তাদের জীবনের মধ্য গগন। সকলেরই বয়স প্রায় ৪০-এর কোঠায়। কনভেন্টের সেই প্রেমিকা শাওলীকে বিয়ে করে নীলপ্রতিম, প্রেম দীর্ঘ সময় চললেও বৈবাহিক জীবনে বিচ্ছেদ খুব অল্প সময়েই নেমে আসে তাদের। সপ্তরথীর বাকিরা কেউ সফল ব্যাবসায়ী তো আবার কেউ সব পেয়েও সর্বহারা। দলের নেতা অ্যারন শয্যাশায়ী। সপ্তরথীর কেউ কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি বা বলা ভাল রাখা হয়ে ওঠেনি। জীবনের যুদ্ধের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে হারিয়েছে বন্ধু, হারিয়েছে শান্তি। সব থেকেও কিছুই যেন নেই তাদের জীবনে।
অন্যদিকে সব হারাতে বসা অ্যারন তখন ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ। মৃত্যু শয্যায় একে একে সকলে তার সঙ্গে দেখা করতে আসে। আলগা হওয়া সম্পর্কগুলো জোড়া লাগাতে তৎপর হয় সে। ঠিক করে 'ব্রাদার' আবার একবার পারফর্ম করবে। ডাক্তারের হাজার বারণ সত্ত্বেও সর্বহারাদের সব পাইয়ে দিতে পারে কি সে? তারই উত্তর দেবে এই ছবি 'ব্রাদার'।
আরও পড়ুন: Ditipriya-Dibyojyoti: শাঁখা পলা দিয়ে দিতিপ্রিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিব্যজ্যোতির, পরিণতি পাবে প্রেম?
ছবির সংলাপ লিখেছেন তনিমা দাস মিত্র। ছবিতে ক্যামেরার দায়িত্বে রয়েছেন অমিত ভৌমিক। ছবির সুরারোপ করেছেন অভিষেক সাহা। ছবির সম্পাদনার দায়িত্বে রয়েছেন তাপস দেব রায় ও সায়ন্তন নাগ। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে নাট্যজগত ও টেলিভিশনের বিশিষ্ট মুখ দেবদূত ঘোষকে (Debdut Ghosh)। এছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন দীপান্বিতা নাথ, অভিরূপ চৌধুরী, পলা গঙ্গোপাধ্যায়, পিয়া দেবনাথ সহ আরও অনেকে।