Sharmila Tagore: প্যারিসের রাস্তায় হাঁটু গেড়ে বসে ফিল্মি কায়দায় শর্মিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন টাইগার
Mansoor Ali Khan Pataudi: ক্রিকেটপ্রেমী বাঙালি শর্মিলা ইডেন গার্ডেন্সে ভারতের ম্যাচ থাকলেই দেখতে যেতেন। তবে পটৌডি নয়, তিনি বরং আকর্ষিত হতেন এম এল জয়সীমাকে দেখে।
মুম্বই: ক্রিকেট আর বলিউডের মেলবন্ধন নতুন নয়। বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মা বা কে এল রাহুল এবং আথিয়া শেট্টির বিয়ে তো হালের ঘটনা। তারও আগে ছিল ভিভ রিচার্ডস-নীনা গুপ্ত বা শর্মিলা ঠাকুর-নবাব মনসুর আলি খান পটৌডির (Mansoor Ali Khan Pataudi) প্রেমকাহিনি।
ক্রিকেটপ্রেমী বাঙালি শর্মিলা ইডেন গার্ডেন্সে ভারতের ম্যাচ থাকলেই দেখতে যেতেন। তবে পটৌডি নয়, তিনি বরং আকর্ষিত হতেন এম এল জয়সীমাকে দেখে। সেই সময় স্টাইলিশ জয়সীমা নারীহৃদয়ে ঝড় তুলতেন। সম্প্রতি কপিল শর্মার শোয়ে গিয়ে সেই কাহিনি শুনিয়েছেন খোদ ‘কাশ্মীর কী কলি’।
সঞ্চালক কপিল জানতে চান, ‘আপনি কি ক্রিকেটের ভক্ত ছিলেন না নবাব পটৌডির?’ শর্মিলা বলেন, ‘না, ক্রিকেটের ভক্ত ছিলাম। আমার বাবা-মাও ক্রিকেট ভালবাসতেন। কলকাতায় সকলে খেলাধুলো নিয়ে পাগল। তবে ক্রিকেটারদের নিয়েও উন্মাদনা ছিল। সেই বয়সে আমিও সকলের সঙ্গে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে ক্রিকেটারদের জন্য গলা ফাটাতাম।’
শর্মিলা বলেছেন, ‘পটৌডি তখন সদ্য ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছেন। ওঁর ইংরেজি উচ্চারণ বুঝতেই পারতাম না। কারণ সেটা শুধু ইংরেজি উচ্চারণ নয়, একেবারে ব্রিটিশ কায়দায়।’ মজা করে শর্মিলা বলেছেন, ‘ওঁর জোকস শুনে উনি নিজেই হাসতেন। কারণ, আমরা কেউ বুঝতেই পারতাম না।’
প্রথম দর্শনেই পটৌডির প্রেমে পড়েছিলেন? কপিলের প্রশ্নে শর্মিলা হেসে বলেছেন, ‘আমার সন্তানেরা শুনলে আমাকে মেরে ফেলবে। বলবে, কপিল শর্মার শোয়ে গিয়ে এসব কী বলেছে। তবে আমাদের প্রেম ঠিক প্রথম দর্শনেই ছিল না। আমরা একে অপরকে ভালবেসেছিলাম। আমি জানতাম, উনি কখনও আমাকে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করবেন না। আমি ওঁকে বিশ্বাস করতে পারতাম।’
নবাব পটৌডি প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন কীভাবে? শর্মিলা জানিয়েছেন সেই কাহিনিও। বলেছেন, ‘আমরা প্যারিসে ছিলাম। সেদিন ছিল ব্যাস্টিল ডে (ফ্রান্সের স্বাধীনতা দিবস)। সেদিন গোটা দেশ রাস্তায় নেমে আসে। আনন্দ করে। অনেকে তো মদ্যপান করে রাস্তার মধ্যে ফোয়ারায় নেমে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ। সেদিন একেবারে ফিল্মি কায়দায় হাঁটু গেড়ে বসে পটৌডি বলেছিলেন, উইল ইউ ম্যারি মি? আমার জবাব ছিল, কী বলছো শুনতে পাচ্ছি না...। এত চিৎকার। তারপর উনি গলা তুলে বলেন, উইল ইউ ম্যারি মি? আমি বলি ইয়েস।’
শর্মিলা বলেছেন, ‘বাড়িতে সকলে খুব খুশি ছিলেন। আমার ছোট বোন আমার চেয়ে ১৮ বছরের ছোট। আমার বিয়ের সময়ে ওর বয়স ছিল পাঁচ বছর। আমি চলে যাওয়ার সময় খুব কেঁদেছিল।’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে