Dhurandhar Film : 'পাকিস্তান-বিরোধী বার্তা', গল্ফ-ভুক্ত ৬টি দেশে নিষিদ্ধ 'ধুরন্ধর' : রিপোর্ট
Gulf Countries : এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠে গেছে, সীমান্তবর্তী বিষয়বস্তু নিয়ে তৈরি ভারতীয় ছবিগুলি কীভাবে তীব্র যাচাই-প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে মধ্যপ্রাচ্যে।

নয়াদিল্লি : ভারতে বক্স অফিসে কার্যত ঝড় তুলেছে 'ধুরন্ধর' (Dhurandhar)। প্রশংসিত হচ্ছে অক্ষয় খন্না ও রণবীর সিংহের অভিনয়। যদিও ছবির রাজনৈতিক বার্তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তাতে অবশ্য দেশজুড়ে ছবির ব্যবসায় কোনও প্রভাব পড়েনি। কিন্তু, বিদেশে অর্থাৎ আন্তজার্তিক যাত্রা ততটা সুখকর নয় ছবির। বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্যে।
গল্ফ-ভুক্ত ৬টি দেশ 'ধুরন্ধর' ছবিটি নিষিদ্ধ করেছে। এই দেশুগুলি হল- বাহারিন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। 'পাকিস্তান-বিরোধী বার্তার' জন্য এনিয়ে আপত্তি তুলেছে সেখানকার প্রশাসন। এমনই রিপোর্ট। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠে গেছে, সীমান্তবর্তী বিষয়বস্তু নিয়ে তৈরি ভারতীয় ছবিগুলি কীভাবে তীব্র যাচাই-প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে মধ্যপ্রাচ্যে।
তবে, ভারতীয় ছবি নিয়ে এই ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে ফাইটার, স্কাই ফোর্স, ড্য ডিপ্লোম্যাট, আর্টিকল ৩৭০, টাইগার ৩ ও দ্য কাশ্মীর ফাইলসও মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে একই রকম নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল। প্রাথমিকভাবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে মুক্তি পেয়েছিল ফাইটার। একদিনের মধ্যেই তা তুলে নেওয়া হয়। এমনকী ছবির কাটছাঁটের পরেও আর তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি।
তবে মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশ নিষেধ ঘোষণা করলেও, দেশজুড়ে এই ছবি দুর্দান্ত ব্যবসা করে চলেছে। ছবি মুক্তি পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে ২০০ কোটি টাকার ক্লাবে ঢুকে পড়ে 'ধুরন্ধর'। বিদেশেও ৪৪.৫ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে।
সম্প্রতি ছবি দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন অভিনেতা হৃতিক রোশনও। কিন্তু ছবিতে যে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে নিজের অবস্থান জানাতে দ্বিধা করেননি তিনি। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে হৃতিক লেখেন, ‘আমি সিনেমাকে ভালবাসি। সেই সব মানুষকে ভালবাসি, যাঁরা শিখরে পৌঁছেও কাহিনির কাছে নিজেকে সঁপে দেন, যা বলতে চাইছেন, তা পর্দায় ফুটে না ওঠা পর্যন্ত সেই কাহিনিই তাঁদের চালনা করে। ‘ধুরন্ধর’ তেমনই এক উদাহরণ। গল্প বলার ধরন দারুণ। এটা সিনেমা’। কিন্তু চলচ্চিত্রপ্রেমী হিসেবে ‘ধুরন্ধরে’র আতিশয্যকে এগিয়ে রাখলেও, যে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া হয়েছে ছবির মাধ্যমে, তা যে তিনি সমর্থন করেন না, তাও পরিষ্কার ভাষায় বুঝিয়ে দেন হৃতিক। তিনি লেখেন, ‘আমি হয়ত (ছবির) রাজনীতির ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করি। বৈশ্বিক নাগরিক হওয়ার দরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আমাদের কী দায়িত্ব পালন করা উচিত, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্কেও যেতে পারি আমি। কিন্তু সিনেমার শিক্ষার্থীর হিসেবে যা শিখলাম, তা এড়িয়ে যেতে পারি না। অসাধারণ’।






















