Satish Shah: 'ঘৃণ্য চরিত্র...', 'ম্যায় হুঁ না'-তে অভিনয়ই করতে চাননি সতীশ! রাজি করেছিলেন শাহরুখ খান!
Satish Shah News: সতীশ শাহ আরও বলেছিলেন, 'এই সিনেমায় অভিনয় করা একদম সহজ ছিল না। আমি মুখে সামান্য জল ভরে রাখতাম এবং কিছু শব্দ এমনভাবে বলতাম যে, কথা বলার সময় জল ছিটকে বেরোবে'

কলকাতা: তাঁকে বলে হত, বলিউডের কমেডি জঁ-র অন্যতম কান্ডারি। বিভিন্ন চরিত্র তিনি ফুটিয়ে তুলতে পারতেন অনায়াসেই। তাঁর কমিক সেন্স ছিল অসাধারণ। তিনি সতীশ শাহ (Satish Shah)। ৭৪ বছর বয়সে যাঁকে হারাল বলিউড। অভিনেতার কাজের মধ্যে অন্যতম ছিল 'ম্যায় হুঁ না'। ১০০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি, তবে এই ছবিতে তিনি নজর কেড়েছিলেন একেবারে অন্যভাবে। তাঁর চরিত্রটি এখনও সবার মনে। তবে জানেন কী, কলেজ প্রফেসরের সেই কিংবদন্তি চরিত্রটিতে অভিনয় করতে প্রথমে রাজিই হননি সতীশ শাহ। তাঁকে রাজি করান শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) স্বয়ং।
'ম্যায় হুঁ না' ছবিতে সতীশের চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ছিল, কথা বলার সময় তাঁর মুখ দিয়ে থুতু ছিটোত, আর তাতেই কার্যত ভিজে যেত সামনের মানুষটি। তাই সিনেমার গল্প অনুযায়ী, তাঁর সামনাসামনি দাঁড়িয়ে কথা বলা এড়িয়েই চলতেন যে কেউ। পরে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে, এই চরিত্রটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সতীশ বলেছিলেন, 'আমি ভেবেছিলাম, এই চরিত্রটা কত ঘৃণ্য একটা চরিত্র! আমি তো প্রিন্সিপালের চরিত্রটা করতে চেয়েছিলাম, যে চরিত্রে বোমান ইরানি করেছিলেন। কিন্তু শাহরুখ আমাকে বলেছিলেন, ‘সতীশ ভাই, এই ধরনের চরিত্র তো আপনি অনেক করেছেন এবং যে কেউ করতে পারে। কিন্তু এই চরিত্রটা কেবল আপনিই করতে পারেন, আমরা অন্য কাউকে এতে ভাবতেই পারি না।' সতীশ শাহ আরও বলেন, 'শাহরুখ এবং ফারা খান দুজনেই মিলে আমাকে রাজি করান। এইভাবে আমি সেই চরিত্রে অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নিই, কিন্তু এটা করা একেবারেই সহজ ছিল না।'
সতীশ শাহ আরও বলেছিলেন, 'এই সিনেমায় অভিনয় করা একদম সহজ ছিল না। আমি মুখে সামান্য জল ভরে রাখতাম এবং কিছু শব্দ এমনভাবে বলতাম যে, কথা বলার সময় জল ছিটকে বেরোবে। তিনি আরও বলেন যে, সুপারস্টারের মুখে থুতু দেওয়ার দৃশ্য করাটা নিজের জন্যই কঠিন ছিল। আর শাহরুখ এটিকে আরও কঠিন করে তুলেছিলেন, কারণ প্রতিবার যখন আমি এইভাবে সংলাপ করতাম, তিনি হেসে ফেলতেন। আমি খুব পরিশ্রম করে দৃশ্যটি করতাম, কিন্তু শাহরুখ হেসে ফেলতেন এবং তারপরে আবার আমাদের রি-শ্যুট করতে হত।' সতীশ সেই সিনেমার স্মৃতিচারণা করে বলেন, 'একবার তো আমাদের ৮ বার রিটেক নিতে হয়েছিল। আমি রেগে গিয়ে বললাম, ‘এর পরে আমি আর এই দৃশ্যটা করব না।’ সেটে সবাই এত জোরে হাসছিল যে চেয়ার থেকে পড়ে গিয়েছিল। তারপর আমি অষ্টম শট দিলাম, এবং শাহরুখ আবার হেসে ফেললেন, অবশেষে সেই দৃশ্যে জায়েদের ইনসার্ট শট ব্যবহার করতে হয়।'























