Dipika Kakar: ক্যানসারের চিকিৎসার পরে ফের স্বাস্থ্যের অবনতি দীপিকার ? ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চরমে; স্বামী শোয়েব বললেন…
Dipika Kakar Health Update: দীপিকার দ্বিতীয় পর্যায়ের লিভার ক্যানসার ছিল, কিছুদিন আগেই অস্ত্রোপচারও হয়েছে তার। এখন কেমন আছেন তিনি ?

মুম্বই: শোয়েব ইব্রাহিম এবং দীপিকা কক্কড় দুজনেই সুখী দম্পতির জীবন কাটান বহু বছর ধরেই। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে এবং দীপিকা (Dipika Kakar) ও শোয়েবের সঙ্গে তার ছবি প্রায়ই সমাজমাধ্যমে শেয়ার করা হয়। শোয়েবের সঙ্গে প্রায়ই ছবি পোস্ট করেন দীপিকা, জানান যে তারা দুজনে দুজনকে ঠিক কতটা ভালবাসেন। সমাজমাধ্যমে তাঁকে দেখে অনুরাগীরা খুশি হলেও ছোটপর্দায় তাঁকে দেখতে না পাওয়ায় অনেকেই দুঃখপ্রকাশ করেছেন। দীপিকা কক্কড় নিজেও (Dipika Kakar Health Update) জানিয়েছিলেন যে শীঘ্রই টেলিভিশনের দুনিয়ায় ফিরে আসতে চান তিনি।
দীপিকার দ্বিতীয় পর্যায়ের লিভার ক্যানসার ছিল, কিছুদিন আগেই অস্ত্রোপচারও হয়েছে তার। এই অস্ত্রোপচারের সময় দীপিকার পিত্তথলি ও লিভারের একটি ক্ষুদ্র অংশ অপসারণ করা হয়েছিল। সম্প্রতি তার স্বামী শোয়েব অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন যে তাঁকে চিকিৎসকরা সক্রিয় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এবং ইতিমধ্যেই তাঁর সেলাইগুলি সেরে ওঠার ব্যাপারেও জানিয়েছেন শোয়েব।
জানা গিয়েছে সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে লাইভ এসে দীপিকা নিজের চিকিতসার সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন এবং এর জন্য তাঁকে বেশ কিছু ওষুধও খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি যেগুলির সম্ভাব্য কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই ভিডিয়োতেই দীপিকার স্বামী শোয়েব জানান, দীপিকার ওরাল টার্গেট থেরাপি শুরু হয়েছে। আর তাঁর মুখের ভিতরে ফোঁড়ার মত দেখা যাচ্ছে। ডাক্তার তাঁকে এর জন্য বেশি মাত্রায় জল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আর এই নির্দেশ মেনে তিনি ডাবের জল খাচ্ছেন, বেশিমাত্রায় তরল জাতীয় খাবার খাচ্ছেন। সার্জারির পরে প্রথম দিনে দীপিকা জানান যে তিনি ক্লান্ত বোধ করছিলেন, আর তাঁর মুখের ভিতরে ফোস্কার মত পড়ে গিয়েছিল। এটিই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
১১ দিন টানা অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে কাটিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন দীপিকা কক্কড়। তারপরে সমাজমাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, '১১ দিন হাসপাতালে থাকা, তারপরে বাড়িতে থাকা। আপাতত আমি টিউমার মুক্ত। তবে চিকিৎসার মাত্র একটা অংশ এটা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আস্তে আস্তে চিকিৎসা চলবে। আর আমার নিজের ওপর বিশ্বাস রয়েছে, আমার শরীর ও তাতে সাড়া দেবে। এই ১১ দিন ভীষণ কঠিন ছিল। কিন্তু আমার আশেপাশে যে ভাল মানুষেরা ছিলেন, তাঁদের জন্যই সবটা সহজ হয়ে গিয়েছে। কোকিলাবেন হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসকেরা আমার ভীষণ যত্ন নিয়েছেন।'





















