Dino Morea: আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ডিনো মোরিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালাল ইডি
Dino Morea News: মুম্বইয়ের বন্যা আটকাতে মিঠি নদী থেকে পলি তুলে সেই নদীর নাব্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল প্রশাসন। আর তাতেই কোটি কোটি টাকার অনিয়ম ধরা পড়েছে

কলকাতা: আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে মডেল অভিনেতা ডিনো মোরিয়ার (Dino Morea)। ৬৫ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে অভিনেতার। মিঠি নদী পলি অপসারণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ডিনো মোরিয়াকে তলব করে মুম্বই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা। জানা গিয়েছে, সদ্যই মুম্বই এবং কেরলের ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। এই তালিকায় রয়েছে ডিনো মোরিয়ার বাড়িও। আজ ডিনো মোরিয়ার বাড়িতে তদন্ত চালায় মুম্বই ইডি।
মুম্বইয়ের বন্যা আটকাতে মিঠি নদী থেকে পলি তুলে সেই নদীর নাব্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল প্রশাসন। আর তাতেই কোটি কোটি টাকার অনিয়ম ধরা পড়েছে। অভিযোগ উঠেছিল, নদী থেকে পলি তোলার জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, তা সঠিক জায়গায় খরচ করা হয়নি। এই ঘটনায় তদন্তকারীদের সন্দেহের তালিকায় থাকা দুই মিডলম্যানের সঙ্গে ডিনো মোরিয়ার যোগসূত্রের অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই কারণেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।
মুম্বই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা সূত্রে খবর, এই মামলায় চলতি মাসের শুরুর দিকে কেতন কদম নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই ব্যক্তির সঙ্গে অভিনেতা দিনো মোরিয়া এবং তাঁর ভাইয়ের যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। আর সেই কারণেই ৪৯ বছরের অভিনেতাকে ফের তলব করেছে মুম্বই পুলিশ। সূত্রের খবর, কেতন কদম এবং তাঁর আরেক সহযোগী জয় যোশীর ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখার পর তদন্তকারীদের হাতে আসে ডিনো মোরিয়ার নাম। কেতনের সঙ্গে একাধিক বার কথা হয়েছে অভিনেতা এবং তাঁর ভাইয়ের। কল রেকর্ডে তেমনটাই দেখা গিয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। অভিযুক্তর সঙ্গে ডিনো মোরিয়ার যোগাযোগ কীভাবে হয়েছিল, তিনি কেতনের ব্যবসার ব্যাপারে কতটা কী জানেন, এইসব তথ্য জানতেই অভিনেতাকে ফের তলব করেছে মুম্বই পুলিশ। এর আগেও ডিনো মোরিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল মুম্বই পুলিশ। আর আজ, তাঁর বাড়িতে তল্লাশি ও চালানো হয়।
মুম্বই পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইং সূত্রে খবর, প্রায় ৬৫ কোটি টাকার গড়বড় পাওয়া গিয়েছে। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কিছু আধিকারিক, কেরলের একটি ফার্ম, কেতন কদম এবং জয় যোশীর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়েই এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক কেলেঙ্কারির কথা মুম্বই পুলিশের আর্থিক অপরাধ শাখার সামনে আসে। কেতন কদম এবং জয় যোশী নদী থেকে পলি পরিষ্কার করার মেশিন ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা করতেন। উল্লিখিত ব্যক্তিরা একযোগে বরাত নিয়েছিলেন মিঠি নদী পরিষ্কার করার।
অভিযোগ উঠেছে, বিএমসি- র একটি দল কেরলের ম্যাটপ্রপ সংস্থার প্ল্যান্ট পরিদর্শনে গিয়েছিল। কেরলের এই ফার্ম নদী থেকে পলি অপসারণ এবং ড্রেজিং মেশিনের জন্য বিশেষজ্ঞ একটি সংস্থা। পরবর্তীতে বিএমসি একটি টেন্ডার প্রকাশ করে যেখানে ম্যাটপ্রপ কোম্পানির মেশিনের সঙ্গে হুবহু মিলে যাওয়া স্পেসিফিকেশনের কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ কোনও কন্ট্রাক্টর টেন্ডারের জন্য আবেদন করলে তাঁকে কেরকে ওই ফার্ম থেকেই মেশিন কিনতে কিংবা ভাড়া নিতে হবে।






















