‘কখনও ভাবিনি এই দিনে তুমি থাকবে না’, রাখিতে একরাশ দুঃখ নিয়ে সুশান্তর জন্য কবিতা দিদির
“সে নেই যাকে জড়িয়ে ধরতে পারব। বহু বছর আগে তুমি যখন এসেছিলে জীবন আলোকিত হয়েছিল। যতদিন ছিলে আলো ছিল”
পটনা: আজ রাখি। স্মৃতিমেদুর সুশান্ত সিংহ রাজপুতের দিদি শ্বেতা ও রানি। রাখিতে ছোট্টবেলার ছবি পোস্ট করে দিদি শ্বেতা লিখেছেন, “আমার ছোট্ট বাচ্চাকে রাখির শুভেচ্ছা। জান, আমি তোমাকে খুব ভালবাসি। আর সারাজীবন বেসে যাব। তুমি আজীবন আমার গর্ব।”
ছোট ভাই সুশান্ত সিংহ রাজপুত নেই, কখনও কল্পনাও করেননি এমনও দিন আসবে। ১৪ জুন মুম্বইয়ের বান্দ্রায় নিজের ভাড়া বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল সুশান্তের দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এবং ময়নাতদন্তের পর জানা যায় গলায় ফাঁস লেগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আত্মহত্যাই করেছেন সুশান্ত, একথা সুনিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। বলিউড তারকার এমন আকস্মিক মৃত্যুতে একই সঙ্গে তদন্ত করছে মুম্বই ও বিহার পুলিশ। বিজেপির একাধিক সাংসদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। সুবিচার চেয়ে নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন করেছেন সুশান্ত সিংহ রাজপুতের দিদি শ্বেতা সিংহ কীর্তিও।
৩ অগাস্ট, এই প্রথম রাখির দিনে নেই ছোট ভাই। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের জন্য কবিতা লিখলেন রানি দিদি। তিনি লিখেছেন-
“গুলশান, আমার বাচ্চা। আজ আমার দিন। আজ তোমারও দিন। আজ আমাদের দিন। আজ রাখি। ৩৫ বছর পর এমন দিন এল, যেদিন পুজোর থালি তৈরি, আরতির জন্য প্রদীপও জ্বলছে, হলুদ আর চন্দনের টিকাও রয়েছে, শুধু সেই মুখ নেই যার আরতি করব। সেই কপাল নেই যেখানে টিকা দেব। সেই হাত নেই, যেখানে রাখি বাঁধব। সেই মুখ নেই, যাকে মিষ্টি খাওয়াব, যাকে স্নেহ চুম্বন দিতে পারব।”
“সে নেই যাকে জড়িয়ে ধরতে পারব। বহু বছর আগে তুমি যখন এসেছিলে জীবন আলোকিত হয়েছিল। যতদিন ছিলে আলো ছিল। তুমি নেই, বুঝতেই পারছি না আমি কী করব? তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারছি না। কখনও ভাবতেই পারিনি, এমনও দিন আসবে। ভাবতেই পারছি না, এই দিনে তুমি নেই। আমরা অনেক কিছু একসঙ্গে শিখেছি। তোমাকে ছাড়া আমি কীভাবে শিখব?”
ইতি তোমার রানি দি।