Jisshu Sengupta Exclusive: আমি আর সৃজিত স্বামী-স্ত্রী, ও ছাড়া টলিউডে আর কারও সঙ্গে সমস্যা হয়নি কখনও: যীশু
Dawshom Awbotaar Exclusive: এই ছবির সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ যীশুর জন্য কোনটা ছিল? একটু হেসে অভিনেতা বললেন, 'সংলাপ মনে রাখা। এটা কেবল এই ছবি নয়.. সব ছবির ক্ষেত্রেই আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ'
কলকাতা: চরিত্র নেতিবাচক হোক বা ইতিবাচক... তাঁর লক্ষ্য অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা পরিচালকের কল্পনাকে। ঠিক কতটা নিখুঁত, কতটা সঠিকভাবে চরিত্রটাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা যায়, সেটাই তিনি চেষ্টা করেন। 'দশম অবতার' (Dawshom Awbotaar)-এর ক্ষেত্রেও এই ভাবনার ব্যতিক্রম হয়নি। থ্রিলার.. একগুচ্ছ স্টারকাস্ট.. শ্যুটিং সেটের গল্প থেকে শুরু করে টলিউড সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতা.. পুজোর সিনেমা নিয়ে এবিপি লাইভের (ABP Live) প্রশ্নের উত্তরে যীশু সেনগুপ্ত (Jisshu U Sengupta)
'দশম অবতার'-এ নেতিবাচক চরিত্রে দেখা যাবে যীশুকে। এত বছর ধরে, এতরকম চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি, অভিনেতা হিসেবে কোন ধরনের চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা সবচেয়ে উপভোগ্য? যীশু বলছেন, 'চরিত্র ইতিবাচক কোন বা নেতিবাচক.. আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল অভিনয়। কোনও চরিত্র ভাল লাগলে তবেই আমি সিনেমাটা করতে রাজি হয়। আর তারপরে আমি চরিত্রটায় প্রাণ ঢেলে দিয়ে অভিনয় করি। দশম অবতারের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।'
সৃজিতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে যীশুর। অভিনেতা পরিচালকের বন্ধুত্ব কী ক্যামেরার সামনে অভিনেতার কাজ সহজ করে দেয়? যীশু বলছেন, 'সৃজিত ছাড়াও অন্যান্য অনেক পরিচালকই আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। তবে তার প্রভাব অভিনয়ে পড়ে না। সৃজিত যেমন পরিচালক হিসেবে খুব কড়া। ওর যেটা চাই, সেটা যতক্ষণ না পাবে, সন্তুষ্ট হয় না। আমার মনে হয় একজন পরিচালকের এমনটাই হওয়া উচিত। তিনি যখন চিত্রনাট্য় লিখেছেন, তখনই ছবিটা দেখে ফেলেছেন। অভিনেতাদের তাঁর দৃষ্টির ওপর ভরসা করতে হবে। তবে সৃজিত সবসময়েই অভিনেতাদের মতপ্রকাশের জায়গাটা খোলা রাখে, এক্ষেত্রেও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি।'
এই ছবির সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ যীশুর জন্য কোনটা ছিল? একটু হেসে অভিনেতা বললেন, 'সংলাপ মনে রাখা। এটা কেবল এই ছবি নয়.. সব ছবির ক্ষেত্রেই আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমি সংলাপ ভুলে যাই খুব।' টলিউডের একঝাঁক দুঁদে অভিনেতা অভিনেত্রী, তার ওপরে পরিচালক.. ক্যামেরার বাইরে কীভাবে সময় কাটাতেন সবাই? যীশু বললেন, 'নিশ্চয়ই জানেন, আমি ভীষণ ইয়ার্কি করলে ভালবাসি। ক্যামেরা থামলেই সবাই সবাইকে নিয়ে মজা-ইয়ার্কি হাসাহাসি করতাম। বুম্বাদা (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) সেটে থাকলেও এমন কিছু বদলাত না পরিবেশ। ওও ভীষণ মজা করে কাজ করতে ভালবাসে। তবে যখন কোনও কঠিন দৃশ্য থাকত, আমরা চিত্রনাট্যে ডুবে যেতাম। মজা ভুলে তখন সবাই সবার পাঠটা দেখতে কীভাবে আরও ভাল করা যায়।'
দীর্ঘ সময় ধরে অভিনয় ও প্রযোজনার কাজ সামলাচ্ছেন যীশু। টলিউডে এখন কান পাতলেই রেষারেষি, তীক্ত সম্পর্কের কথা শোনা যায়। টলিউডের অন্তঃদ্বন্দ্ব নিয়ে অভিনেতার কী মত? যীশু বলছেন, 'দীর্ঘ এত বছর ধরে কাজ করছি, কিন্তু আমার সঙ্গে কারও কাজের বিষয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। তবে আমি আর সৃজিত স্বামী-স্ত্রী। ওঁর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল, মিটেও গিয়েছে। তারপরে আবার ৫-৬ বার ঝগড়াও হয়ে গিয়েছে। তবে আমাদের মধ্যে কেমন সমস্যা হয়েছিল সেটার কারণ এখনও কেউ জানে না আর না জানাই শ্রেয়। এর বাইরে আমার সঙ্গে কখনও কারও সমস্যা হয়নি।'
এত স্টারকাস্ট.. নিজের অভিনয়কে আলাদা করে দর্শকদের কাছে তুলে ধরতে হবে এই ভাবনা মাথায় থাকে? যীশু বলছেন, 'এই ভাবনা যেদিন মাথায় আসবে, সিনেমা ফ্লপ হবে। চলচ্চিত্র একটা টিম গেম। সেখানে কেবল নিজের অভিনয় নয়, চেষ্টা করতে হবে আমার উল্টোদিকের মানুষটাকেও ভাল অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়ার। তবেই তো সাফল্য।'
আরও পড়ুন: Jawan Collection: বাদশার রাজপাট! প্রতীক্ষিত ১০০০ কোটি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁল 'জওয়ান'