Jojo Mukherjee: শুনতে হয়েছে, আমি স্টেজ করে গেলে পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়
Jojo Mukherjee Exclusive: তাঁর পরিচিতি দীর্ঘদিনের। হাজার হাজার মানুষের মন জয় করেছেন গানের সুরে। তবে কখনও শিকড়কে ভুলে যাননি জোজো
কলকাতা: ছোট থেকেই তাঁর ভাল লাগত গান.. বাবা-মা দুজনেই সঙ্গীত জগতের মানুষ। সেই কারণে তিনি যে গানের জগতে পা রাখবেন, তা যেন সিদ্ধান্ত নেওয়াই ছিল। কিন্তু সত্যিই কী তাঁর পথ একেবারে কুসুমাস্তীর্ণ ছিল? একেবারেই নয়। তাঁর কথায়, ' সেলিব্রিটি বাবা-মায়ের সন্তান হলেও প্রত্যেককে নিজের জায়গা নিজে তৈরি করে নিতে হয়। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকটা সময় নিজেকে প্রমাণ করতে হয় কারণ সবসময়েই তার সঙ্গে তার বাবা মায়ের তুলনা করা হয়।' সেই বেড়া পেরিয়েই তিনি নিজের খ্যাতির আলোয় আজ নিজেই উজ্জ্বল। তিনি জোজো মুখোপাধ্যায় (Jojo Mukherjee)। বর্ষশেষে, এবিপি লাইভকে জোজো শোনালেন, তার কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকের গল্প।
তাঁর পরিচিতি দীর্ঘদিনের। হাজার হাজার মানুষের মন জয় করেছেন গানের সুরে। তবে কখনও শিকড়কে ভুলে যাননি জোজো। কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে বহু প্রিয়- অপ্রিয় ঘটনার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। অনেকের মতোই। সেই সমস্ত ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন জোজো। তবে ভুলে যাননি কিছুই। জোজো বলছেন, 'নতুন হিসেবে যাঁরা এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন, তাঁদের থেকে আমায় অনেক বেশি নিজের প্রমাণ দিতে হয়েছে। কারণ আমি একটা তথাকথিত তারকা পরিবার থেকে এসেছিলাম। আর তার ফলে সবসময়েই আমার কাজের তুলনা আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে করা হত। আমি বিশ্বাস করি, নিজের জায়গাটা নিজেকেই তৈরি করে নিতে হয়। সেটার জন্য আমায় কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছে।'
শুধু কি বাবা-মায়ের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে নিজের পরিচয় তৈরি করাই জোজোর জন্য একমাত্র চ্যালেঞ্জ ছিল? সঙ্গীতশিল্পী বলছেন, 'স্টেজ পারফর্মম্যান্স দিয়েই আমার কেরিয়ার শুরু। তার অনেক পরে আমার প্লে-ব্যাক হয়। আমি যে সময়ে গানবাজনা শুরু করি, সেই সময়ে কলকাতায় আমিই ছিলাম একমাত্র মহিলা যে গানের সঙ্গে সঙ্গে একটি শরীরী ভাষা ব্যবহার করত। আর এটা বলাই বাহুল্য, পুরনো কোনোও নিয়ম ভেঙে নতুন কিছু করতে গেলেই তাকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। আমাকেও হতে হয়েছে। শুনতে হয়েছে, 'অপসংস্কৃতি', 'ও স্টেজ করে গেলে পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়'... আরও অনেক কিছু। অনেক তাবড় তাবড় মিউজিশিয়ান একসময়ে বাজাতে চাননি। সেই সময়ে এগুলো আমায় কষ্ট দিত। তখন অনেক ছোট ছিলাম। এত ঘোরপ্যাঁচ বুঝতাম না। কিন্তু আমার লক্ষ একটাই ছিল, যে আমায় অন্যদের থেকে আলাদা হতে হবে।'