Kangana Ranaut: '৫০ হাজারে কী হবে? নিজের পকেট থেকে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা', রাজনীতিতে যোগ দিয়ে কেবল ক্ষতিই হচ্ছে কঙ্গনার!
Kangana Ranaut on Politics: সদ্য দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা তাঁর সরকারি বেতন নিয়ে মুখ খুলেছেন। অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া কঙ্গনা বলেন, 'আমি সবসময় বলি যে, রাজনীতি একটি খুব ব্যয়বহুল শখ।'

কলকাতা: অভিনয় থেকে রাজনীতি, সব বিষয়েই তাঁর অবাধ যাতায়াত। যেমন তিনি নিজেই নিজের ছবি পরিচালনা করেন, প্রযোজনা করে, তেমনই বিভিন্ন বিষয়ে সুস্পষ্ট রাজনৈতিক মতামত ও দেন তিনি। বিভিন্ন সিনেমায় নিজের অভিনয় দক্ষতার জোরে দর্শকদের মন জয় করেছেন বলিউডের 'কুইন'। অভিনেত্রী ২০২৪ সালে বিজেপির টিকিটে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে সাংসদ হয়েছিলেন। তবে সদ্যই রাজনীতি নিয়ে মুখ খুলেছেন কঙ্গনা। তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন, তিনি আর রাজনীতি উপভোগ করছেন না মোটেই। এমনকি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি বেতন নিয়েও! তাঁর কাছে সরকারি বেতন এতটাই সামান্য় যে তাতে তার কিছুটা খরচ ও ওঠে না। সেই কারণে জীবনযাত্রার জন্য তাঁর নিজের পকেট থেকেই নাকি লাখ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়!
সরকারি বেতন নিয়ে সরব কঙ্গনা রানাউত
সদ্য দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা তাঁর সরকারি বেতন নিয়ে মুখ খুলেছেন। অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া কঙ্গনা বলেন, 'আমি সবসময় বলি যে, রাজনীতি একটি খুব ব্যয়বহুল শখ।' যখন তাঁকে 'শখ' শব্দটির ব্যবহারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি উত্তর দেন, 'অবশ্যই, যদি আপনি সাংসদ হন, তবে আপনি এটিকে পেশা হিসেবে নিতে পারেন না। যদি আপনি একজন সৎ মানুষ হন, তাহলে পাশাপাশি আপনার চাকরির ও প্রয়োজন।' কঙ্গনা আরও বলেন, 'আমি বুঝি যে, এখানে আপনাকে আপনার রাঁধুনি এবং ড্রাইভার রাখার জন্য যে বেতন দেওয়া হয়, তার থেকে আপনার আসলে মাত্র ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা বাঁচে। একজন সাংসদ হিসেবে এটাই আপনার বেতন।' উল্লেখ্য, ভারতে একজন সাংসদের বেতন প্রায় ১.২৪ লক্ষ টাকা।
'নিজের পকেট থেকেও খরচ হয় লক্ষাধিক টাকা'
কঙ্গনা আরও বলেন যে, যদি তাঁকে তাঁর নির্বাচনী এলাকার কোনো অংশে কিছু কর্মী নিয়ে যেতে হয় এবং তাঁদের সঙ্গে গাড়িতে সফর করতে হয়, তবে তাঁর নাকি লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়, কারণ প্রত্যেক জায়গা কমপক্ষে ৩০০-৪০০ কিলোমিটার দূরে। কঙ্গনার কথায়, 'আপনাকে বুঝতে হবে যে এটা খুব ব্যয়বহুল শখ। আপনার একটা চাকরির প্রয়োজন। অনেক সাংসদের ব্যবসা আছে, তাঁরা আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। আমার আগে যাঁরা এসেছিলেন, যেমন জাভেদজি, তাঁরা সবাই নিজেদের কাজ করেছেন। আমাকেও আমার কাজটা করতে হবে।' উল্লেখ্য, জাভেদ আখতার ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল তাঁকে শিল্পকলার ক্ষেত্রে মনোনীত করেছিলেন।
View this post on Instagram























