Saif Ali Khan Attacked: গয়নাগাঁটি ছুঁয়ে দেখেনি, দুষ্কৃতীর নিশানায় ছিল ছোট্ট জেহ্, ছেলেকে বাঁচাতে ঝাঁপান সেফ, পুলিশকে জানালেন করিনা
Kareena Kapoor Khan: করিনার বয়ান অনুযায়ী, তাঁদের ছোট ছেলে জেহ্-র ঘরেই প্রথমবার দুষ্কৃতীকে দেখা যায়।

মুম্বই: গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে সেফ আলি খানকে কুপিয়েছে দুষ্কৃতী। এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অভিনেতা। আর সেই আবহেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। পরিবারের অন্য কেউ নন, বরং সেফ এবং করিনার কনিষ্ঠ সন্তান জহাঙ্গির ওরফে জেহ্-ই দুষ্কৃতীর নিশানায় ছিল বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে সেকথা জানিয়েছেন খোদ করিনাও। (Saif Ali Khan Attacked)
ঘটনার রাতে বাড়িতেই ছিলেন করিনা। পার্টি থেকে ফিরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করেছে মুম্বই পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে ওই রাত নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছেন করিনা। তিনি জানিয়েছেন, ওই দুষ্কৃতী অত্যন্ত আগ্রাসী হয়ে উঠেছিল। সেফকে সে এলোপাথাড়ি কোপায়। কিন্তু গয়নাগাঁটি বাইরে ছড়ানো থাকলেও, কিছুতে হাত দেয়নি। (Kareena Kapoor Khan)
করিনার বয়ান অনুযায়ী, তাঁদের ছোট ছেলে জেহ্-র ঘরেই প্রথমবার দুষ্কৃতীকে দেখা যায়। গৃহ সহায়িকা সকলকে সতর্ক করেন। সরাসরি জেহ্-র দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল ওই দুষ্কৃতী। বিষয়টি উপলব্ধি করেই ঝাঁপিয়ে পড়েন সেফ। ওই দুষ্কৃতী যাতে জেহ্-র কাছে কোনও ভাবেই পৌঁছতে না পারে, মহিলাদের কেউ যাতে আহত না হন, সেই চেষ্টা চালিয়ে যান সেফ। জেহ্কে বাঁচান তিনি।
মোট ছ'বার সেফকে কোপায় ওই দুষ্কৃতী। এর পর কোনও রকমে বাড়ির সব মহিলা এবং শিশুদের ১২তলায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। করিনা জানিয়েছেন, তাঁর গয়নাগাঁটি সব খোলাই পড়েছিল। কিন্তু সেসবে হাত দেয়নি ওই দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সেই সময় দিদি করিশ্মা এসে তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান।
জেহ্-র দেখভাল করেন যে আয়া, সেই ইলিয়ামা ফিলিপও পুলিশের কাছে বয়ান রেকর্ড করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাত ২টো নাগাদ ওই দুষ্কৃতীকে দেখতে পান তিনি। প্রথমে করিনা ভেবে ভুল করেছিলেন। কিন্তু পরে পুরুষের ছায়া দেখতে পান বাথরুমের দরজায়। মাথায় টুপি পরেছিল ওই দুষ্কৃতী। সঙ্গে সঙ্গে জেহ্-র কাছে ছুটে যান তিনি। ঠোঁটে আঙুল ঠেকিয়ে তাঁকে চুপ থাকতে নির্দেশ দেয় ওই দুষ্কৃতী। তাঁর শরীরেও ব্লেড চালানোর চেষ্টা করে সে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও আহত হন ইলিয়ামা। টাকার দাবি করতে থাকে ওই দুষ্কৃতী। ১ কোটি টাকা চায়।
সেই সময় বাড়ির কেয়ারটেকার জুনু কোনও ক্রমে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে সফল হয়। সেফ ও করিনাকে গিয়ে গোটা ঘটনা জানায় সে। সঙ্গে সঙ্গে জেহ্-র ঘরে ছুটে আসেন সেফ ও করিনা। সেফ ওই দুষ্কৃতীর অভিসন্ধি জানতে চান। এর পরই ধস্তাধস্তি শুরু হয় দু'জনের মধ্যে। সেফকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায় ওই দুষ্কৃতী। এর পর বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে পালায়। জেহ্-র ঘর থেকেই আবাসন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। তার পর সেখান থেকে বেরিয়ে জেহ্-কে নিয়ে উপরে চলে যান মহিলারা।
হামলার পর তৈমুর এবং বাড়ির এক গৃহ সহায়কের সঙ্গে অটোয় চেপে হাসপাতালের উদ্দেশে দেন সেফ। সেফের প্রথম পক্ষের ছেলে ইব্রাহিম সেফকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে প্রথমে শোনা গেলেও, হাসপাতালের চিকিৎসকরাও জানান যে, বছর সাতের তৈমুরের হাত ধরেই হাসপাতালে ঢোকেন সেফ। অটোচালকও একই কথা জানান।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
