Kinjan Nanda: সাদামাটা জীবনের আড়ালে লুকিয়ে অন্ধকার অতীত, কিঞ্জল কি বদলে গেলেন?
Kinjan Nanda New Web Series: এই সিনেমায় কিঞ্জলের চরিত্রের নাম সমদর্শী। সমদর্শী বাইরে থেকে একেবারেই একজন সাধারণ শান্ত ছেলে

কলকাতা: মুক্তি পেল কিঞ্জল নন্দের (Kinjal Nanda)-র নতুন ওয়েব সিরিজ, সাইকো (Psycho)। দার্শু OTT প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে নতুন এই ওয়েব সিরিজ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সিনেমার স্ট্রিমিং। রূপ প্রোডাকশন অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট - অঙ্কিত দাস ও সুরেশ তোলানি প্রযোজিত এই সিরিজে কিঞ্জল ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, প্রদীপ ভট্টাচার্য, তপতি মুন্শী। এই সিরিজে গান গেয়েছেন শিলাজিৎ মজুমদার।
এই সিনেমায় কিঞ্জলের চরিত্রের নাম সমদর্শী। সমদর্শী বাইরে থেকে একেবারেই একজন সাধারণ শান্ত ছেলে। ভাড়া বাড়িতে থাকে সে, চাকরি করে প্রাইভেট অফিসে। পাশাপাশি সে ছবি আঁকতেও ভালবাসে। কিন্তু তার অন্তরের ভেতর লুকিয়ে আছে এক ঝড়.. তার অতীত যে বড়ই ভয়াবহ। শৈশবের নির্মমতম আতঙ্ক তাকে আজও তাড়িয়ে বেড়ায়। শৈশবে সে তার নিজের চোখের সামনেই খুন হতে দেখেছিল বাবা আর মাকে। সেই দৃশ্য সে কখনও ভুলতে পারে না। তাকে সবসময় আতঙ্কের মতো তাড়িয়ে বেড়ায় সেই ছবি। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, সেই রাতের ঘটনা সমদর্শীর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যায়। মুছে যায় কল্পনা আর বাস্তবের সীমারেখা।
কাহিনি এগোতে থাকলে সমদর্শীর চারপাশের পৃথিবী রূপ নেয় এক অদ্ভুত গোলকধাঁধায়! দুঃস্বপ্ন, ভ্রম, আর আতঙ্ক ভরা সেই পরিবেশে। তার আঁকা প্রতিটি ক্যানভাস, যেন নিছক শিল্প নয়, বরং এক নিঃশব্দ স্বীকারোক্তি। প্রতিটি মুখ, প্রতিটি প্রতিকৃতি যেন লুকিয়ে রেখেছে এক গভীর রহস্য। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, সমদর্শীর "অমরত্ব" বন্দি করার শিল্পকলা আসলে জীবনের সমাপ্তি দিয়ে গড়ে ওঠে।সাইকো কেবলমাত্র এক ঠান্ডা মাথার হাড় হিম করা খুনির গল্প নয়, এটি ক্ষতবিক্ষত শৈশবেরও প্রতিচ্ছবি। এটি এমন এক মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার, যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত ভরপুর - সাসপেন্স, ভয় আর মানসিক আতঙ্কের শীতল স্পর্শে। অতীত আর বর্তমানের সংঘর্ষে, সমদর্শীর তুলি ভিজে ওঠে শুধু রঙে নয়, রক্তেও। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, সে কি বাবার তৈরি দানব থেকে পালাতে পারবে, নাকি সেই দানব হয়ে উঠেছে সে নিজেই? সেই উত্তর লুকিয়ে রয়েছে সিরিজের গল্পে।
এই সিনেমা সম্পর্কে কিঞ্জল নন্দ বলছেন, 'আমাদের পরিচালক বাপ্পা যখন প্রথম আমাকে চরিত্রটি সম্পর্কে জানালেন, তখনই আমার চরিত্র এবং গোটা গল্পটি ভীষণ আকর্ষণীয় মনে হয়েছিল। চরিত্রটির অনেক সূক্ষ্ম স্তর রয়েছে এবং সেটিকে আত্মস্থ করতে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমি চিকিৎসক হলেও এই চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে আলাদা করে বিশেষ সুবিধা পাইনি, কারণ মনোবিজ্ঞানের অন্ধকার বিকৃত স্তরের বিষয়টি আগে গভীরভাবে অন্বেষণ করিনি। ছবির প্রবাহের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমি বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করি এবং মানব আচরণের নানা দিক নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করি। এতে মানসিক জগতের জটিলতা ধরতে অনেকটা সাহায্য পেয়েছি। আশা করি, চরিত্রটিকে ন্যায্যভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি।'
View this post on Instagram






















