Hrithik Roshan: অভিনয় করেই কাটিয়েছেন ২৫টা বছর, এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন হৃত্বিক রোশন
Krrish 4 News: কৃশ-এর ফ্রাঞ্চাইজির এমনিই একটা ফ্যানবেস রয়েছে। আর এবার মনে করা হচ্ছে, পরিচালকের আসনে বসে ঋত্বিক চমক দিতে পারেন।

কলকাতা: এই ছবির পরিচালক কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছিলই। শোনা যাচ্ছিল, এই ছবির পরিচালকের দায়িত্ব নাকি আর নিজের হাতে রাখতে চান না রাকেশ রোশন। আর এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হল, এই ছবির পরিচালকের ভূমিকায় থাকতে চলেছেন স্বয়ং 'কৃশ' (Krishh) অর্থাৎ হৃত্বিক রোশন (Hrithik Roshan)। ২৫ বছরের কেরিয়ার হৃত্বিকের। তবে এই প্রথম পরিচালকের আসনে বসতে চলেছেন তিনি। ছবির মুখ্যভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি, ছবি পরিচালনা করাও বেশ গুরুদায়িত্ব। সেই দায়িত্বই পালন করবেন হৃত্বিক। রাকেশের সঙ্গে ‘কৃশ ৪’-এ প্রযোজক হিসেবে জুটি বেঁধেছে যশরাজ ফিল্মস।
এই দুটি চমকেই 'কৃশ ৪' আগের থেকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হতে পারে বলে মনে করছেন দর্শকেরা। কৃশ-এর ফ্রাঞ্চাইজির এমনিই একটা ফ্যানবেস রয়েছে। আর এবার মনে করা হচ্ছে, পরিচালকের আসনে বসে ঋত্বিক চমক দিতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবরে সিলমোহর দিয়ে রাকেশ রোশন লিখেছেন, 'ডুগ্গু, ২৫ বছর আগে আমি তোমাকে অভিনেতা হিসেবে লঞ্চ করেছিলাম। এই বার আমি তোমাকে পরিচালক হিসেবে লঞ্চ করছি'।
আপাতত 'ওয়ার ২' ছবির শ্যুটিং করছেন হৃত্বিক। এই ছবির চমক দুই হেভিওয়েট তারকা। হৃতিক রোশন ও জুনিয়র এনটিআর। অ্যাকশন প্যাকড এই ছবিতে থাকছে নাচ গানের মতো বিনোদনও। শোনা যাচ্ছে, এই ছবির একটি গানের জন্য নাচের অভ্যাস করছিলেন হৃতিক ও জুনিয়র এনটিআর। দুই তারকাকে এক ছবিতে, এর গানে নাচের তালে পা মেলাতে দেখা যাবে, এটাই তো যথেষ্ট উত্তেজনার খবর অনুরাগীদের কাছে। তবে এই গানের নৃত্য অভ্যাস করতে গিয়েই হল কাল। এই গানের নাচ অভ্যাস করার সময় হৃতিকের পায়ে একটি চোট লাগে। সঙ্গে সঙ্গে সেটে ডেকে পাঠানো হয় চিকিৎসকদের। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে বলেন, হৃতিকের পায়ের চোট তেমন গুরুতর নয়। তবে চিকিৎসক নিদান দেন, কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে হৃতিকের বিশ্রাম নেওয়াই শ্রেয়। চিকিৎসকের কথা মতো, এখন চার সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে হবে হৃতিককে। এর ফলে কিছুদিন থমকে ছিল 'ওয়ার ২'-এর শ্যুটিং।
কিছুদিন আগে রাকেশ রোশন হৃতিকের একটি শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন। তিনি বলছেন, 'একটা দৃশ্য় ছিল, হৃতিক অনেক উঁচু একটা বিল্ডিংয়ে বেয়ে উঠবে। আমি ক্যামেরায় চোখ রেখে নিচে বসে রয়েছি। একটা রাস্তার মাঝখানে। আমি ক্যামেরায় চোখ রেখেই বুঝতে পারছিলাম, কোনও একটা অস্বস্তিতে পড়েছে ও। একেবারেই ব্যালেন্স পাচ্ছে না। উঠতেই পারছে না। কিন্তু আমি যে চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে অ্যাকশন ডিরেক্টরকে বুঝিয়ে বিষয়টা বলব, তারপরে কিছু করব.. ততক্ষণ ওই ওপর থেকে পড়ে যায় হৃতিক। ওর গায়ে রোপ লাগানো ছিল। সেই নিয়ে সবশুদ্ধ ও পড়ে যায়। সৌভাগ্যবশত ও একটি ক্যানোপির ওপর পড়ে তো তেমন চোট পায়নি। এমনকি ক্যানোপির লোহার রডগুলো ও ওকে ছোঁয়নি পর্যন্ত। কিন্তু এরপরেও শ্যুটিং বন্ধ করতে চায়নি হৃতিক। ও কাজ চালিয়ে যাওয়ারই নির্দেশ দেয়। আমি শ্যুটিং বন্ধ করার নির্দেশ দিলে হৃতিক বলে, 'না বাবা, আমায় আজকে শ্যুটিং করতেই হবে। নাহলে এই ভয়টা চিরকাল আমার মধ্যে রয়ে যাবে। আমি ঠিক আছি। চিন্তার কিছু ঘটেনি।' কিন্তু রাকেশ আজও যেন ছেলের সেই ভয়াবহ স্মৃতি বুকে করে বয়ে নিয়ে বেড়ান।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
