Lata Mangeshkar Demise: মা অভিমান করে বাবাকে বলতেন, সব ভাল গান লতাজিকে দিয়ে দাও, স্মৃতিচারণায় অন্তরা চৌধুরী
Lata Mangeshkar Passes Away: সলিল চৌধুরীর সুরে অনেক গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। আজ লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে সেসব কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে সলিল চৌধুরীর মেয়ে সঙ্গীতশিল্পী অন্তরা চৌধুরীর।

কলকাতা: ‘আজকের দিনটা খুবই কষ্টের দিন। একটা যুগ শেষ হয়ে গেল,’ লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে বললেন সঙ্গীতশিল্পী অন্তরা চৌধুরী। তাঁর বাবা সলিল চৌধুরী ও মা সবিতা চৌধুরীর সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল ছিল। সলিল চৌধুরীর সঙ্গীত পরিচালনায় অনেক বিখ্যাত গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। আজ সেসবেরই স্মৃতিচারণা করছেন অন্তরা চৌধুরী।
অন্তরা চৌধুরী বলেন, ‘আজ একটি যুগের অবসান হল। খুবই সিম্বলিক যে আজ মা সরস্বতীর বিসর্জন। সত্যিই যেন মনে হচ্ছে মা সরস্বতী চলে গেলেন। ঠিক ওরকমই লাগছে। কিন্তু আর একটা কথা বলব, কিংবদন্তিদের কোনওদিন মৃত্যু হয় না। ওঁর কাজ, ওঁর সৃষ্টি চিরকাল রয়ে যাবে।’
বাবার সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে অন্তরা চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘লতাজির জন্য আমার বাবার মনে বিশেষ জায়গা ছিল। লতাজি যেভাবে বাবার গান গাইতেন, বাবাও বলতেন, মা সরস্বতীর গলা। বাবার সব স্পেশাল ক্রিয়েশন যেন লতাজির জন্যই তৈরি করতেন। মা মাঝে মাঝে অভিমান করত। বলত, তুমি সব ভাল ভাল গান লতাজিকে দিয়ে দাও আর আমাকে যত জ্ঞানের গান দাও। বাবা বলেছিল, আমি আর্টিস্টদের গলা হিসেবে গান বানাই।’
৮ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণ নিয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন লতা মঙ্গেশকর। পরে জানা যায়, তিনি নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত। ৯২ বছরের সুর সম্রাজ্ঞীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে তীব্র উৎকণ্ঠায় পড়ে গোটা দেশ। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায়, সোশাল মিডিয়ায় লতা মঙ্গেশকরের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেন সবাই। ৩০ জানুয়ারি আসে শিল্পীর করোনা মুক্তির খবর। ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ফেরাতে হয় আইসিইউ-তে। সেখানেই সব শেষ। আজই সন্ধেবেলা মুম্বই শিবাজি পার্কে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। কিংবদন্তী শিল্পীর প্রয়াণে দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সব মহল থেকেই শোকপ্রকাশ করা হচ্ছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
