Menstrual Hygiene: ঋতুস্রাব নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে গান বাঁধলেন শ্রেয়া-সুনিধি, বার্তা দিলেন জনসাধারণকে
Menstruation: ২৮ মে ছিল ওয়ার্ল্ড মেন্সট্রুয়াল হাইজিন ডে। সেই দিনই প্রকাশ্যে এসেছে শ্রেয়া-সুনিধির সমাজ সচেতনতামূলক 'পিরিয়ড সং'। গানের মাধ্যমে আমআদমিকে বার্তা দিলেন দেশের দুই প্রথম সারির গায়িকা।
Menstrual Hygiene: 'ঋতুস্রাব'... 'পিরিয়ডস'... 'মাসিক'... নামের ফারাক হলেও বিষয় একই। যেকোনও মহিলার জীবনে আর পাঁচটা সাধারণ জিনিসের মতো এটাও একটা স্বাভাবিক শারীরিবৃত্তীয় প্রক্রিয়া (Periods)। তবু এই স্বাভাবক, সহজ বিষয়টি নিয়েই আমাদের সমাজে রয়েছে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ, ছুঁৎমার্গ। পিরিয়ডস (Menstruation) চলাকালীন কোথাও মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে যায় রান্নাঘর এবং ঠাকুরঘরে। কোথাও বা সটান আলাদা ঘরেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। ঋতুস্রাব (Menstrual Hygiene) চলাকালীন পাঁচদিনের জন্য ওই মহিলাকে অশুচি বলেও তকমা দেওয়া হয়। এমনকি মাসিক শেষ হলে শুদ্ধিকরণের চলও রয়েছে। এছাড়াও জনসমক্ষে এই শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার নাম ভুলেও উচ্চারণা না করা, দোকানে স্যানিটারি ন্যাপকিন (Sanitary Pad) কিনতে গেলে তা কালো প্যাকেটে মুড়িয়ে আনার চল- এইসব হাজারো নিয়ম-কানুন তৈরি করেছে এই সমাজই, যা আদতে ভিত্তিহীন, যুক্তিহীন।
বর্তমানে অবশ্য সমাজের একটা অংশ ঋতুস্রাব প্রসঙ্গে সচেতন এবং ওয়াকিবহাল। পুরুষরাও এখন মহিলাদের এই স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আলোচনা করতে লজ্জা পান না। অনেকেই চেষ্টা করেন মাসের এই পাঁচটা দিন বাড়ির মহিলাকে কাজকর্মে কিছুটা সাহায্য করার। পরিসংখ্যান কম হলেও পরিবর্তন হচ্ছে, এটাই আশার কথা। আজকাল কর্মক্ষেত্রে হোক কিংবা পাবলিক টয়লেট, অনেক জায়গাতেই মহিলাদের সুবিধার্থে রাখা হয় স্যানিটারি ল্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশন। এর প্রয়োজনীয়তা ঠিক কতটা তা আক্ষরিক অর্থে বোঝেন মহিলারা। আর এবার এই পরিবর্তনের সফরের সঙ্গী হলেন ভারতের দুই জনপ্রিয় এবং প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল ও সুনিধি চৌহান।
২৮ মে ছিল ওয়ার্ল্ড মেন্সট্রুয়াল হাইজিন ডে। সেই দিনই প্রকাশ্যে এসেছে শ্রেয়া-সুনিধির সমাজ সচেতনতামূলক 'পিরিয়ড সং'। মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেনে চলা কতটা জরুরি, না মানলে কী কী হতে পারে, আমাদের অজান্তে করা সামান্য ভুল আগামী দিনে কত বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে... এই সার্বিক আলোচনা এক সুবিশাল ক্ষেত্র। আর এই ব্যাপ্তির নিরিখে এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে আমাদের দেশ। শহুরে মানুষের মধ্যে সচেতনতা অনেকাংশে তৈরি হলেও গ্রামাঞ্চলে এখনও ঋতুস্রাব সম্পর্কিত হাইজিনের ব্যাপারে স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ ধারণা নেই মহিলাদের। শুধু মহিলা নয়, পুরুষদেরও সচেতন হতে হবে। জানতে হবে পিরিয়ডের সাতসতেরো। তবেই ভবিষ্যতে সোনালি দিন দেখার আশা করতে পারব আমরা। আর সেই কারণেই এবার গানের মাধ্যমে আমআদমিকে বার্তা দিলেন দেশের দুই প্রথম সারির গায়িকা।
আরও পড়ুন- প্রতারণা-হতাশা-খুন-জখমের অন্ধকার জগতের ঝলক, 'কালিয়াচক'-এর ট্রেলারে নজর কাড়লেন রূপাঞ্জনা
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।