Mohd. Rafi birthday: জন্মদিনে মহম্মদ রফির সেরা ১০ গান
কিংবদন্তি মহম্মদ রফির জন্মদিন আজ। আজকের দিন কিংবদন্তি গায়কের কিছু গান তো শুনতেই হবে। তাই আপনাদের সামনে তাঁর অজস্র ভাল গানগুলোর মধ্যে থেকে আপনাদের জন্য তুলে ধরা হল ১০ টা গান।
কলকাতা: আজ আরও একটা ২৪ ডিসেম্বর। কিংবদন্তি মহম্মদ রফির জন্মদিন আজ (Mohammed Rafi Birthday)। আজকের দিন কিংবদন্তি গায়কের কিছু গান তো শুনতেই হবে। তাই আপনাদের সামনে তাঁর অজস্র ভাল গানগুলোর মধ্যে থেকে আপনাদের জন্য তুলে ধরা হল ১০ টা গান। শুনুন। আর গুনগুন করে গাইতে থাকুন।
১) খোয়া খোয়া চাঁদ, খিলা আসমান - ছবির নাম 'কালা বাজার'। মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬০ সালে। আজ ৬১ বছর পরেও এ গানের জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। বিজয় আনন্দের কথায় সুর দিয়েছিলেন শচিন দেব বর্মন। আর পর্দায় ছিলেন দেব আনন্দ এবং ওয়াহিদা রহমান।
২) বাহারো ফুল বরসাও - এই ছবির নাম ছিল 'সুরজ'। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৬ সালে। ৫৫ বছর আগের এই গানটি গেয়ে মহম্মদ রফি বেস্ট প্লে ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছিলেন। পর্দায় ছিলেন রাজেন্দ্র কুমার এবং বৈজয়ন্তিমালা।
৩) লিখে জো খত তুঝে - এই ছবির নাম 'কন্যাদান'। গীতিকার নীরজের কথায় সুর দিয়েছিলেন কিংবদন্তি শঙ্কর জয়কিষান। আর তাতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন মহম্মদ রফি। 'কন্যাদান' ছবির এই গানে পর্দায় ছিলেন শশী কপূর এবং আশা পারেখ।
আরও পড়ুন - Mohammed Rafi birthday: কোন বাঙালি সুরকারের সুরে বিনা পারিশ্রমিকে গান গেয়েছিলেন মহম্মদ রফি?
৪) দিওয়ানা হুয়া বাদল - হিন্দি ছবির গান নিয়ে চর্চা বা আলোচনা হলে একেবারে শুরুতেই যে কয়েকটা গান আসবে, তার একটা অবশ্যই এটি। 'কাশ্মির কি কলি'-র এই গান চিরকালীন এক সৃষ্টি। ও পি নায়ারের সুর ঝংকারে একেবারে যেন প্রাণ ঢেলে দিয়েছিলেন মহম্মদ রফি। সঙ্গে তাঁর স্বকীয়তা। আর পর্দায় ছিলেন রোম্যান্টিক শাম্মী কপূর এবং ফুটফুটে ফুলের মতোই শর্মিলা ঠাকুর।
৫) পুকারতা চলা হু ম্যায় - 'মেরে সনম' ছবির এই গান আজও কোন ভারতীয় শোনেন না! কী অসাধারণ সুর। তার সঙ্গে এমন মধুর কণ্ঠস্বর। সঙ্গে সেই আমলের দুর্দান্ত পিকচারাইজেশন। পর্দায় মহম্মদ রফির এই গানে লিপ দিয়েছিলেন প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের বাবা বিশ্বজিত। অবশ্যই ছবিতে ছিলেন আশা পারেখ। প্রসঙ্গত, এই গানেরও সুরকার ছিলেন ও পি নাইয়ার।
৬) তেরে মেরে স্বপনে এব এক রঙ্গ হ্যায় - ভারতীয় ছবির কথা বললে, তাতে একটা অধ্যায় অবশ্যই আলাদা করে রাখা থাকবে 'গাইড'-এর জন্য। 'গাইড' ছবির সবকটি গানই অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং শ্রুতিমধুর। তারই মধ্যে সবথেকে বেশি পছন্দের গান অবশ্যই এটা। 'গাইড' মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৫ সালে। পর্দায় ছিলেন অবশ্যই দেব আনন্দ।
৭) জো ওয়াদা কিয়া ও নিভানা পরেগা - তাজমহল যেমন এই পৃথিবীর সপ্তমাশ্চর্যের একটি, ঠিক তেমন ভাবেই 'তাজমহল' ছবির কথা না বলে কীভাবে হিন্দি ছবির আলোচনা করবেন। কী সব দারুণ গান ছিল তাতে। বিশেষ করে এই 'জো ওয়াদা কিয়া ও নিভানা পরেগা'। সুরকার ছিলেন রোশন। গেয়েছিলেন মহম্মদ রফি। সঙ্গে ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। পর্দায় ছিলেন ভারতীয় ছবির আর এক কিংবদন্তি প্রদীপ কুমার।
৮) তসবীর তেরি দিল মে - মহম্মদ রফির গান শুনবেন আর 'মায়া'-র গান শুনবেন না হয় নাকি! সলিল চৌধুরি বাংলায় লতা মঙ্গেশকরকে দিয়ে গাইয়েছিলেন 'ও গো আর কিছুই তো নাই'। এই গানটিই পরে হিন্দিতে ব্যবহার করেছিলেন 'তসবীর তেরি দিল মে' হিসেবে। প্রসঙ্গত, 'মায়া' ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬১ সালে। চিন্তা করুন, গত ৬০ বছরেও এতটুকু ফিকে হয়নি এ গান...।
৯) কৌন হ্যায় জো সপনো মে আয়া - এ ছবির নাম ছিল 'ঝুক গয়া আসমান'। ছবিটি একেবারেই চলেনি। অনেকটা ওই বাংলার যমালয়ে জীবন্ত মানুষ ঘরানার। তবে, এই গানটি অত্যনত জনপ্রিয় সব কালেই। 'ঝুক গয়া আসমান' ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৮ সালে। ছবির সুরকার ছিলেন শঙ্কর জয়কিষান।
১০) নফরত কি দুনিয়া কো ছোড়কে - 'হাতি মেরে সাথি'-ছবির এই গানটি আজও প্রচণ্ড জনপ্রিয়। রাজেশ খন্না এবং তনুজার এ ছবিতে মূল বিষয়বস্তু ছিল পশুপ্রেম। ছবির অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র হাতিটি যখন মারা যায়, তখন পর্দায় গানটি গেয়েছিলেন রাজেশ খন্না। আর মহম্মদ রফি শুধু গানটি শোনাননি। মানুষকে কাঁদিয়ে দিয়েছিলেন। সুরকার ছিলেন লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেলাল।