Thank God Movie Review: পাপ-পূণ্যের হিসেব নিয়ে পারিবারিক বিনোদনের ছবি 'থ্যাঙ্ক গড'
Thank God: 'থ্যাঙ্ক গড' ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে অজয় দেবগন, সিদ্ধার্থ মলহোত্র, রকুলপ্রীত সিংহকে।
অমিত ভাটিয়া, মুম্বই: চলতি বছর দীপাবলিতে (Diwali 2022) মুক্তি পেয়েছে অজয় দেবগন (Ajay Devgn), সিদ্ধার্থ মলহোত্র (Sidharth Malhotra) অভিনীত ছবি 'থ্যাঙ্ক গড' (Thank God)। দীপাবলির মতো উতসবে সপরিবারে দেখার জন্য উল্লেখযোগ্য ছবি এটি।
'থ্যাঙ্ক গড' ছবির প্রেক্ষাপট-
'থ্যাঙ্ক গড' ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে অজয় দেবগন, সিদ্ধার্থ মলহোত্র, রকুলপ্রীত সিংহকে। ছবির গল্প সিদ্ধার্ত মলহোত্রকে ঘিরে। পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এক রিয়েল এস্টেট ব্রোকার। সে চোখ খুলে দেখে যে সে স্বর্গে রয়েছে। সেখানেই তাকে একটা খেলা খেলতে বলা হয়। সেই খেলায় যদি সে জেতে তাহলে ফের সে পৃথিবীতে ফিরে যেতে পারবে। এই রিয়েল এস্টেট ব্রোকারের চরিত্রে অভিনয় করছেন সিদ্ধার্থ মলহোত্র। সিজি বা চিত্রগুপ্তর ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে অজয় দেবগনকে। মূলত এই গল্পের উপর নির্ভর করেই এগোতে থাকে 'থ্যাঙ্ক গড' ছবিটি।
আরও পড়ুন - Happy Birthday Asin: অল্প সময়ের কেরিয়ারে নজরকাড়া পারফরম্যান্স, কোন বলি তারকার জন্য বিয়ে হয় আসিনের?
'থ্যাঙ্ক গড' রিভিউ-
'থ্যাঙ্ক গড' ছবিতে সিদ্ধার্থ মলহোত্রকে পর্দায় দেখতে খুবই সুন্দর লেগেছে। লোভী, রাগী, বদমেজাজি, হিংসায় ভরা এক ব্যক্তির চরিত্র পর্দায় অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। ছবিতে তাঁর লুকও প্রশংসিত হওয়ার মতো। অজয় দেবগনও তাঁর চরিত্রটি যথার্থভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁকে যখনই পর্দায় দেখা গিয়েছে, যেন ছবিতে প্রাণ এসেছে। অজয় এবং সিদ্ধার্থ দুজনেই যেমন নিজেদের নিজেদের চরিত্র যথার্থভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই ছবিতে অভিনেত্রী রকুলপ্রীত সিংহের চরিত্রটি খুব একটা বড় নয়। তাঁকে কিছু দৃশ্যে দেখা গিয়েছে। এই ছবিতে একজন পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রকুল। তিনিও নিজের চরিত্রটি পর্দায় ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন। ছোট হলেও রকুলের অভিনয়ে প্রাণ ছিল।
'থ্যাঙ্ক গড' ছবির পরিচালক ইন্দ্র কুমার। যিনি আগে বলিউডে বহু ছবি তৈরি করেছেন। 'ধামাল', 'টোটাল ধামাল'-এর মতো পেটে খিল ধরা হাসির ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। 'থ্যাঙ্ক গড' ছবিতেও কমেডির কোনও অভাব নেই। কিন্তু এতে যদি আরও একটু বেশি হিউমর মেশানো যেত, তাহলে আরও ভালো একটি ছবি তৈরি হতে পারত। 'থ্যাঙ্ক গড' ছবির সবথেকে বড় উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই ছবির সময়। মাত্র ২ ঘণ্টাতেই শেষ হয়ে গিয়েছে ছবি। অহেতুক টেনে বাড়ানো হয়নি। ছবি দেখতে দেখতে দর্শকের একঘেয়েমি লাগবে না। সব মিলিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখার জন্য ভালো ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক ইন্দ্র কুমার।