Cruise Drugs Case: স্বস্তিতে আরিয়ান, শাহরুখ পুত্রের পাসপোর্ট ফিরে পাওয়ার আবেদন মঞ্জুর করল আদালত
Cruise Drugs Case: গত বছরের ৩ অক্টোবর (3 October) মাদক যোগের অভিযোগে ক্রুজ পার্টি থেকে আরিয়ানকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau) বা এনসিবি (NCB)।
মুম্বই: স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন আরিয়ান খান (Aryan Khan)। পাসপোর্ট ফিরে পাওয়ার বিষয়ে শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) পুত্রের আবেদন মঞ্জুর করল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত।
গত বছরের ৩ অক্টোবর (3 October) মাদক যোগের অভিযোগে ক্রুজ পার্টি থেকে আরিয়ানকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau) বা এনসিবি (NCB)। পুলিশি হেফাজতে থাকার সময় তাঁর পাসপোর্ট (Passport) বাজেয়াপ্ত করা হয়। গ্রেফতারের ২৫ দিন পর আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। পরে তিনি বেকসুর খালাস হন। তারপর পাসপোর্ট ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Prosenjit-Dev: 'কাছের মানুষ'-এর প্রস্তুতির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করলেন দেব-প্রসেনজিৎ
এনসিবি আজ আদালতে জানিয়েছে ‘বেল-বন্ড’ প্রত্যাহার করতে ও পাসপোর্ট ফেরত দিতে তাদের আপত্তি নেই। গত বছর অক্টোবরে কর্ডেলিয়া নামে এক প্রমোদতরী থেকে আরিয়ান খানকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। জিজ্ঞাসাবাদের পর স্টার কিডকে গ্রেফতারও করা হয়। এরপর জামিন পাওয়ার জন্য চলে দীর্ঘ আইনি লড়াই। আইনি জটিলতার কারণে জামিন না মেলায় প্রায় একমাস জেলে কাটাতে হয় শাহরুখ পুত্রকে। এক মাস পর বেশ কিছু শর্তে জামিন পান তিনি।
মাদক কাণ্ডে গ্রেফতারির পর মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে এক মাস কাটাতে হয় আরিয়ান খানকে। পরবর্তীকালে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান তিনি। এছাড়াও জামিনের শর্ত হিসেবে আরিয়ান খানের পাসপোর্ট জমা রাখা হয়েছিল। প্রতি সপ্তাহে একদিন করে হাজিরার নির্দেশও ছিল তাঁর।
গতবছর অক্টোবরে মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার হন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। ক্রুজ কর্ডেলিয়া থেকে তাঁকে আটক ও পরে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ছবির শ্যুটিং স্থগিত রেখে ছেলের পাশে থাকেন কিং খান। বলিউডের বাদশার অনুরাগী ও একাধিক বিরোধী দলের নেতাদের সেই সময়ে মত ছিল যে, শাহরুখ পুত্রের গ্রেফতারির পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় সিংহ জানিয়েছিলেন যে, তিনি শাহরুখ খানের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী কিং খান তাঁকে বলেছিলেন, 'আমাদের এমন চোখে দেখা হচ্ছিল, যেন আমরা বড় কোনও অপরাধী কিংবা দৈত্য। যারা সমাজকে ধ্বংস করছি। আমাদেরও প্রতিদিন অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে। কাজের জায়গায় অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।'