Paran Bandopadhyay Exclusive: 'প্রেমিকার কপালে আবির দিতে গিয়ে হাত চলে যেত সিঁথির দিকে'
দোলের সকাল। 'গার্লফ্রেন্ড' ঘুম থেকে উঠে 'গুড মর্নিং'-এর বদলে চিৎকার করে বলেছে, 'হ্যাপি হোলি'। তারপর একটু আবির লাগিয়ে দিয়েছে গালে। পায়ে আবির ছুঁইয়ে প্রণামও সেরে ফেলেছে।
কলকাতা: দোলের সকাল। 'গার্লফ্রেন্ড' ঘুম থেকে উঠে 'গুড মর্নিং'-এর বদলে চিৎকার করে বলেছে, 'হ্যাপি হোলি'। তারপর একটু আবির লাগিয়ে দিয়েছে গালে। পায়ে আবির ছুঁইয়ে প্রণামও সেরে ফেলেছে। তারপর বাবার হাত ধরে বেরিয়ে পড়েছে রঙ খেলতে। দোলের দিন এক্কেবারে গৃহবন্দি থাকেন তিনি। পরিবারের সঙ্গেই রঙের উৎসবে রঙিন হয়ে ওঠেন টলিউডের এই চিরতরুণ অভিনেতা। পরাণ বন্দ্যোাপাধ্যায় (Paran Bandopadhyay)। আর এই 'গার্লফ্রেন্ড' তাঁর ৬ বছরের নাতনি।
পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শৈশব কেটেছে ওপার বাংলায়। সেসময়ের দোল আর বর্তমানের দোলের মধ্যে কতটা তফাত এসেছে? হাসতে হাসতে রসিক অভিনেতা উত্তর দিলেন, 'আগে দোলে দোলা ছিল। এখন আ-কারটা বাদ গিয়েছে। শুধু দোল এসেছে। কলেজে ওঠার পর থেকে আমি আর সবার সঙ্গে দোল খেলি না। একটা সময় ছিল যখন দোল মানেই বাঁদুরে রঙের ব্যবহার, পাঁক ইত্যাদিতে ফেলে দেওয়ার চল এসেছিল। আমার ভালো লাগত না তাই দোল খেলা ছেড়ে দিয়েছিলাম। শৈশবে আমরা সুগন্ধি আবির দিয়ে দোল খেলতাম। ঝাড়লে সে আবির উঠে যেত আর গায়ে লেগে থাকত মিষ্টি গন্ধ। বর্তমানে অবশ্য আবার সংযমী দোল খেলা ফিরেছে। মানুষ আবির, অল্প রঙ দিয়েই দোল খেলেন। সেটা বেশ ভালো লাগে। তবে আমি দোলের দিন একেবারে গৃহবন্দি থাকি। বাড়ির সবার সঙ্গেই কাটে দিনটা।'
আরও পড়ুন: '৩৭০ ধারা বিলোপ এজন্যই' কাশ্মীর ফাইলস দেখে নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় অযোধ্যার সাধুরা
বসন্ত মানে প্রেমের ঋতু। দোলে কোনও প্রেমের স্মৃতি রয়েছে অভিনেতার? পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, 'আমার যিনি জীবনসঙ্গিনী, তাঁকে রঙ মাখাতে গিয়ে বুকের ধুকপুকুনি বেড়ে যেত বারবার। প্রেমিকার কপালে আবির দিতে গিয়ে নিজের অজান্তেই হাত চলে যেত সিঁথির দিকে। যৌবনে যেমন হয়, তেমনই ছিল দোল আর ভালোবাসা। তারপর সংসার হল। একরত্তি ছেলেকে নিয়েও কত মজার স্মৃতি। প্রতি দোলে সে বারন্দা থেকে সবাইকে পিচকিরি দিয়ে রঙ দেওয়ার চেষ্টা করত। অতদূরে রঙ যেত না। শেষমেশ রঙটা নিজের গায়েই মেখে নিত ও।'
এখন দোলে বিশেষ কোনও উদযাপন হয়? অভিনেতা বললেন, 'সবাই বাড়িতেই থাকি। পায়ে আবির দিয়ে প্রণাম আর গালে একটু আবির ছোঁয়ানো। আমার বউমা বিশেষ কিছু রান্না করেন। আর রয়েছে আমার ৬ বছরের নাতনি। আমার 'গার্লফ্রেন্ড'। এই তো সকালে আবির দিল। তারপর বাবার সঙ্গে বাইরে গেল একটু। দোলে ওদেরই তো সবচেয়ে বেশি আনন্দ।'