Prosenjit Chatterjee Exclusive: স্বপ্ন ফুটবল, ছেলে মিশুকের জন্যই প্রসেনজিতের ঠাকুরঘরে রাখা মেসির ছবি
লাইটস, ক্যামেরা অ্যাকশন নয়, তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পছন্দ ঘামে ভেজা জার্সি আর সবুজ মেরুন রঙ। আর ছেলের স্বপ্ন নিয়ে গর্বিত টলিউডের 'ইন্ডাস্ট্রি'। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা: ঠাকুরঘরে লিওনেল মেসির ছবি রাখা। বাবার বিখ্যাত 'অটোগ্রাফ'-এর পাশে লেখা, 'জয় মোহনবাগান'। নায়কের ঘর, সেখানে রুপোলি পর্দার ছোঁয়া তো স্বাভাবিক। কিন্তু তার সঙ্গে মিশে গিয়েছে ফুটবল মাঠের গন্ধ। সবই তাঁর ছেলের সৌজন্যে। নায়কের ছেলে অভিনয় নয়, চান জাতীয় দলে ফুটবল খেলতে। লাইটস, ক্যামেরা অ্যাকশন নয়, তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) পছন্দ ঘামে ভেজা জার্সি আর সবুজ মেরুন রঙ। আর ছেলের স্বপ্ন নিয়ে গর্বিত টলিউডের 'ইন্ডাস্ট্রি'। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)।
বড় বসার ঘরে সাদা কালো বোর্ডে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাক্ষরের নিচেই নিজের নাম লিখে রেখেছেন মিশুক। বাবার জুতোয় পা গলানোর ইচ্ছা? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে প্রসেনজিৎ বললেন, 'আপাতত নয়। ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। ও পেশায় ফুটবলার হতে চায়, জাতীয় দলে খেলতে চায়। এখন যে সমর্থনটা ও আমাদের থেকে চায় সেটাই পাচ্ছে। আমার গোটা বাড়িতে ফুটবলের ছবি, মোহনবাগান, এটিকের ছবি। আমাদের ঠাকুরঘরেও মেসির (Lionel Messi) ছবি আছে। ও একজন ফুটবলার হওয়ারই প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি ভীষণ খুশি যে আমার ছেলে পেশায় একজন খেলোয়াড় হতে চায়। এতে আমার বাবাও ভীষণ খুশি। মিশুক কখনোই বলে না আমি তোমাদের মত হতে চাই। ও বলে, আমি একজন খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি পেতে চাই। এটা আমার ভীষণ ভালো লাগে।'
বাবা, ছেলে, দুই প্রজন্ম রুপোলি পর্দার প্রথম সারির নায়ক। মিশুকের সঙ্গে সিনেমা নিয়ে আলোচনা হয় বিশ্বজিৎ ও প্রসেনজিতের? নায়ক বলছেন, 'বেশিরভাগ আলোচনায় হয় ক্রিকেট আর ফুটবল নিয়ে। আমার বাবার সঙ্গে আমি ছবি নিয়ে তবু আলোচনা করতে পারি। কিন্তু এই প্রজন্ম যে সব ছবি আর অভিনেতার কথা বলে, তাঁদের নামও হয়ত আমরা শুনিনি। আমায় গুগল করে পড়াশোনা করে ওর সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। তবে আমার সঙ্গে মিশুকের একটু মেলে। আমি প্রচুর নতুন সিনেমা দেখি। কোনও সিরিজ দেখে পছন্দ হলে আমরা একে অপরকে বলি। তবু আলোচনার মূল বিষয়টা খেলা।'
একসঙ্গে বসে খেলা দেখেন প্রসেনজিৎ আর মিশুক? একটু হেসে অভিনেতা বললেন, 'মিশুক বেশিরভাগ সময়টাই হোস্টেলে কাটিয়েছে। ও থাকলে অবশ্যই একসঙ্গে বসে খেলা দেখা হয়। তবে ভোর ৪টে-৫টা পর্যন্ত ওই আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ আমি দেখতে পারি না। কেবল প্রথমটা দেখি। তারপর আর সম্ভব হয় না।'