Prosenjit Chatterjee: 'বাংলা ভাষার জন্য যে কোনোরকম লড়াই করব', ভাষা বিতর্কে মন্তব্য প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের
Prosenjit Chatterjee on Bengali language: সদ্যই ভাষা সংক্রান্ত একটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

কলকাতা: বাংলা ভাষা এখন এসে পড়েছে রাজনীতির আঙিনায়। তৃণমূল বিজেপির মধ্যে কার্যত দড়ি টানাটানি চলছে। বাংলা বলার অভিযোগে, পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার কথা, সাধারণ মানুষদের হয়রানির কথা বারে বারেই তুলে ধরছে তৃণমূল। বাংলা ভাষাকে হেনস্থার অভিযোগে, সরব হয়েছে তৃণমূল সরকার। পাল্টা উত্তর দিচ্ছে বিজেপিও।
দিল্লি, রাজস্থান, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র- সহ বিভিন্ন রাজ্য়ে, বাংলায় কথা বলায়, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের একাংশকে, বাংলাদেশি তকমা দিয়ে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে! যা ঘিরে উত্তাল রাজ্য় রাজ্য়নীতি! এদের সিংহভাগই পরিযায়ী শ্রমিক! কোথাও মারধর, কোথাও আটকে রাখা, কোথাও পুলিশি ধরপাকড়। তো কোথাও বাংলাদেশে অবধি পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর ভোটের আগে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। বাংলা ভাষায় যারা কথা বলে, তারা কী অপরাধটা করেছে এই বিজেপি সরকারের কাছে? সমাজমাধ্যমে এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার সরব তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম।
গত ৩০ জুন এক্স পোস্ট করে তিনি বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে।বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও, বাংলার অনেক দরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। অবৈধভাবে আটকে রাখা এবং সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশেও জোরপূর্বক ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
আরও এবার, এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সদ্য একটি অনুষ্ঠানে এসে, বাংলা ভাষা তরজা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, 'ভাষা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী একটা বার্তা দিয়েছেন। আমি বলতে পারি, বাংলা ভাষা ছিল, আছে, থাকবে। তার জন্য যে কোনও লড়াই করতে হয়, আমরা করব।'
প্রসঙ্গত, সদ্যই ভাষা সংক্রান্ত একটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মুম্বইতে বলিউডের তারকাদের সঙ্গে একটি কাজ করেছিলেন তিনি। সেই ছবির প্রচারেই সাংবাদিক সম্মেলনে একটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন প্রসেনজিৎ। এক সাংবাদিক অভিনেতাকে বাংলায় প্রশ্ন করলে, তিনি সেই সাংবাদিককে বাংলা বলতে নিষেধ করেন। হিন্দি বা ইংরাজীতে প্রশ্ন করতে বলেন। কিন্তু থামিয়ে দেন রাজকুমার রাও। তিনি বলেন যে, তিনি বাংলা বোঝেন। ওই সাংবাদিক বাংলাতেই প্রশ্ন করুন এবং তিনি তা হিন্দি বা ইংরাজিতে অনুবাদ করে দেবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়তেই বাংলা বলতে বাধা দেওয়ার জন্য চূড়ান্ত ট্রোলড হন প্রসেনজিৎ। পরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমাও চেয়েছিলেন ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য।






















