Prosenjit Chatterjee: ছিলেন কার্নিভালে, বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের জন্য সাহায্যের আর্তি জানিয়ে কটাক্ষের শিকার প্রসেনজিৎ
North Bengal Rain: সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ একটি পোস্ট করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন..

কলকাতা: ভাসছে উত্তরবঙ্গ। ধসে বিধ্বস্ত বিভিন্ন জেলা। কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে একাধিক এলাকা। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। প্রকৃতির রোষের কাছে বিপর্যস্ত জনজীবন। মেঘ পিয়নের দেশে প্রকৃতির রুদ্ররূপ! জলের তোড়ে ভেঙেছে সেতু! পাহাড়ের পাকদণ্ডী পথকে গ্রাস করেছে আতঙ্ক! প্রাণহানি, ক্ষয়ক্ষতি, নরক যন্ত্রণায় জেরবার পাহাড়। আর এই পরিস্থিতিতে, বন্যা বিপর্যস্তদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে কটাক্ষের শিকার হলেন স্বয়ং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)!
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ একটি পোস্ট করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, 'কোচবিহার, দার্জিলিং , জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার এই মুহূর্তে সারা দেশ এবং সমগ্র দেশ এর নিঃস্বার্থ সহযোগিতা পাক এই আশা রাখি। মানুষ ও প্রকৃতি সামঞ্জস্য হারালে সচেতনতা এবং সদুদ্যোগ একমাত্র উপায় ঘুরে দাঁড়ানোর।' এই পোস্টে অনেকে যেমন নায়ককে সমর্থন করেছেন, পাশাপাশি ধেয়ে এসেছে প্রচুর কটাক্ষ ও! কিন্তু কেন?
রবিবার, কলকাতায় ছিল দুর্গাপুজোর কার্নিভাল। কলকাতার প্রায় সমস্ত দুর্গা প্রতিমা এইদিন অনুষ্ঠান করে বিসর্জনে নিয়ে যাওয়ার উৎসব চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও প্রত্যেক বছর কার্নিভালে উপস্থিত থাকেন। পাশাপাশি উপস্থিত থাকেন অন্যান্য নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে টলিউডের একগুচ্ছ অভিনেতা অভিনেত্রীরাও। রবিবারের কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও। মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
আর সেই কারণেই অনেকেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের এই পোস্টে চটেছেন। অনেকেই মনে করছেন, ২৪ ঘণ্টা আগেই যিনি কার্নিভালে অংশ নিতে পেরেছিলেন, ১ দিনের মধ্যে হঠাৎ এমন কী হল যে পাহাড়ের জন্য তাঁর প্রাণ কাঁদছে? অনেকে আবার লিখেছেন, 'জনগণের বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখেই এই বিলম্বিত পোস্ট।' তবে এই সমস্ত কটাক্ষের কোনও জবাব দেননি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি কেবল পাহাড়ের মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন।
বাগডোগরা থেকে কলকাতা বিমানবন্দরের গড় ভাড়া থাকে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকার মধ্য়ে।সোমবার সেই ভাড়া তিন থেকে সাতগুণ অবধি বাড়ানো হয়েছে।এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমানোর চেষ্টা করছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। এনবিএসটিসি কর্মী দেবাশিস বিশ্বাস বলেন,আমরা অলরেডি গাড়ি পাঠানো শুরু করে দিয়েছি। সকাল থেকে আমাদের কাছে যা খবর আছে, ১৫ টা থেকে ১৬ টা গাড়ি আমাদের ওখান থেকে পাঠানো অলরেডি হয়ে গেছে। এগুলো শিলিগুড়ি থেকে আসছে।























