Rudranil: 'তিনি মানে সব ঠিক', কবিতার ছন্দে মুখ্যমন্ত্রীর সংবাদমাধ্যম সংক্রান্ত বক্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ রুদ্রনীলের
Rudranil on Mamata: এই প্রথম নয়, নাম না করে কবিতার ছন্দে শাসকদলের বিভিন্ন পদক্ষেপকে বেঁধেন রুদ্রনীল। সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি কবিতার ভিডিও আপলোড করেছেন রুদ্রনীল।
কলকাতা: সীমানার কথা মনে করিয়ে সরাসরি এবিপি গ্রুপের নাম করে আইনি হুমকি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে সরাসরি আনন্দবাজার পত্রিকার নাম নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং বলেছিলেন, এবিপি আনন্দর ‘যুক্তি-তক্কো’ অনুষ্ঠানের কথা। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্যের অংশকেই কটাক্ষ করে কবিতা বাঁধলেন রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।
'তিনি মানে সব ঠিক.. তিনি মানে ভালো'
এই প্রথম নয়, নাম না করে কবিতার ছন্দে শাসকদলের বিভিন্ন পদক্ষেপকে বেঁধেন রুদ্রনীল। সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি কবিতার ভিডিও আপলোড করেছেন রুদ্রনীল। যাঁর ছত্রে ছত্রে নাম না নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেই বিঁধেছেন রুদ্রনীল। 'তিনি মানে সব ঠিক.. তিনি মানে ভালো। তিনি যদি বলে দেন সব সাদা কালো'। কবিতায় বার বার ফিরে ফিরে এসেছে এইসব লাইন।
গত ১১ এপ্রিল, একেবারে সরাসরি আনন্দবাজার পত্রিকার নাম নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং বললেন এবিপি আনন্দর ‘যুক্তি-তক্কো’ অনুষ্ঠানের কথা। আমাদের চ্যানেলের যেটা ক্যাচলাইন, ‘সীমানা ছাড়িয়ে’ -- সেই সীমানার কথা আমাদের মনে করিয়ে দিলেন, এবং আইনি ব্যবস্থার হুমকিও দিয়েছিলেন। বিজ্ঞাপনদাতাদের উদ্দেশে বললেন, নিউজচ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেবেন না। খবর নয়, সিরিয়াল দেখুন।
আরও পড়ুন: 'নববর্ষে পাওয়া ক্যালেন্ডার খুলে প্রথমেই দেখতাম কী ছবি আছে'
তাঁর সিরিয়াল দেখার মন্তব্য থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ, সবটাই কবিতার ছন্দে তুলে ধরেন তিনি। 'খবর দেখো না তুমি সব জেনে যাবে...' রুদ্রনীলের কবিতার শুরুই ছিল এমন কটাক্ষ দিয়ে।
কিছুদিন আগেই নাম না করে অনুব্রত মণ্ডলকে তীব্র কটাক্ষ করেন রুদ্রনীল। ভোটের আগে ফুলবদল করেছিলেন তিনি। আর তার পর থেকেই বড় বড় পরিচালক এবং প্রযোজকদের দরজা তাঁর সামনে জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে কিছুদিন আগেই অভিযোগ তুললেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। তাঁর অভিযোগ, ২০২১ সালে পর থেকে গত ১৬ মাস ধরে মূল ধারার পরিচালক, প্রযোজকরা কেউ তাঁকে কাজ দিতে পারছেন না। ভোটের আগে যাঁরা বিজেপি-তে এসেছিলেন, তাঁদেরও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। তাতে লড়াই করতে না পেরে অনেকে আবার শাসক শিবিরে ফিরে গিয়েছেন। তিনি দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে চলেছেন। কিন্তু পরিচিত এবং ঘনিষ্ঠরাও তাঁকে কাজ দিতে ভয় পাচ্ছেন বলে দাবি রুদ্রনীলের।