Sa Re Ga Ma Pa: 'তেরে নাম' ছবির জন্য নেড়া হওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল সলমন খানের?
'তেরে নাম' ছবির চরিত্রের প্রয়োজনে নেড়া পর্যন্ত হতে হয়েছিল সলমন খানকে। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? সম্প্রতি 'সারেগামাপা'-র মঞ্চে এসে 'তেরে নাম' ছবির সময়কার স্মৃতিচারণা করলেন সলমন খান।
মুম্বই: ২০০৩-এ মুক্তি পেয়েছিল সলমন খানের (Salman Khan) জনপ্রিয় ছবি 'তেরে নাম' (Tere Naam)। ছবির জনপ্রিয়তা এতটাই হয়েছিল যে, আজও দর্শকদের মনে থেকে গিয়েছে গান থেকে দৃশ্য, সমস্ত কিছু। এই ছবির জন্য লুক নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয় ভাইজানকে। এমন লুকে তাঁকে আগে কখনও দেখা যায়নি। এই ছবির চরিত্রের প্রয়োজনে নেড়া পর্যন্ত হতে হয়েছিল সলমন খানকে। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? সম্প্রতি 'সারেগামাপা'-র মঞ্চে এসে 'তেরে নাম' ছবির সময়কার স্মৃতিচারণা করলেন সলমন খান।
সলমন খান বলেন, 'অনেকেই হয়তো জানেন না। 'তেরে নাম' ছবির পিছনে একটা খুব আকর্ষণীয় গল্প রয়েছে। সেই সময় আমি অন্য একটা ছবির শ্যুটিং করছিলাম। তখন আমার কাছে আসেন 'তেরে নাম' ছবির প্রযোজন এবং আমার খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুনীল মনচন্দা। তিনি বলেন, ছবিতে আমার চরিত্রের প্রয়োজনে আমাকে নেড়া হতে হবে। আমি তখনও নিশ্চিত ছিলাম না যে ছবিটা করব কিনা। কারণ, তখন আমি এমনিতেই অন্য একটি ছবির শ্যুটিং করছিলাম। আমার এখনও মনে আছে, টানা একদিন আমার জ্বর ছিল। আর অন্য ছবির পরিচালক শ্যুটিংয়ে উপস্থিতও ছিলেন।'
আরও পড়ুন - Bigg Boss 5 Tamil: করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কমল হাসান, 'বিগ বস তামিল' সঞ্চালনা করবেন কে?
'সারেগামাপা'-র মঞ্চে প্রতিযোগী নীলাঞ্জনা ভাইজানের 'তেরে নাম' ছবির টাইটেল ট্র্যাকে পারফর্ম করেন। যা দেখে আরও নস্টালজিক হয়ে পড়েন সলমন খান। তিনি বলেন, 'এরপর আমি মনের সমস্ত দ্বিধা কাটিয়ে বাথরুমে যাই এবং সমস্ত চুল কামিয়ে ফেলে নেড়া হয়ে যাই। পরের দিন আমি সুনীল জি-কে ডাকি এবং বলি, আমি নেড়া হয়ে গিয়েছি আর এবার 'তেরে নাম' ছবির জন্য সই করতে চাই। নানা কারণের জন্য অনেকেই আমাকে ওই ছবি করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু আমি ছবিটা করতে চেয়েছিলাম। আর প্রত্যেকের নিষেধ অগ্রাহ্য করে 'রাধে মোহন'-র চরিত্রে অভিনয় করার জন্য রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।'
ছবির পাশাপাশি 'তেরে নাম'-র গানও দারুণ হিট হয়। ছবির সুরকার ছিলেন হিমেশ রেশমিয়া। সেই প্রসঙ্গে সলমন খান আরও বলেন, 'আমার মনে আছে। আমি আর হিমেশ গ্যালাক্সিতে বসে ছবি নিয়ে আলোচনা করছিলাম। ও যখন ছবির গল্প শোনে তখনই একটা গানের কথা আমায় বলে। গানটা ছবির টাইটেল ট্র্যাক হয় পরবর্তীকালে। আমারও এতটাই ভালো লেগে যায় যে, আমিও সঙ্গে সঙ্গে ওই গানে রাজি হয়ে যাই। হয়তো অনেকের বিশ্বাস হবে না। সেদিনের আলোচনায় তৎক্ষণাৎ হিমেশ চার থেকে পাঁচটা গান আমাকে দিয়েছিল। আর প্রতিটা গানই এতটাই ভালো ছিল যে, একটাই বাতিল করা যায়নি।'