Shershaah trailer Release: কার্গিল বিজয় দিবসের প্রাক্কালে মুক্তি পেল 'শের শাহ' ছবির ট্রেলার
ট্রেলারে সিদ্ধার্থ মালহোত্রাকে বলতে দেখা যাচ্ছে যে, 'ইয়া তো তিরঙ্গা লেহরা কে আউঙ্গ। ইয়া তো তিরঙ্গা মে লিপটকে আউঙ্গা'। অর্থাৎ, হয় বিজয় পতাকা উড়িয়ে আসব আর না হলে পতাকায় জড়িয়ে আসব।
মুম্বই: রাত পোহালেই কার্গিল বিজয় দিবস। আর ভারতবাসীর গর্বের ২৬ জুলাইয়ের আগেই মুক্তি পেলো কার্গিল যুদ্ধের শহিদ ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি ছবি 'শের শাহ'-র ট্রেলার। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে শহিদ হন বিক্রম বাত্রা। ছবিতে ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার ভূমিকায় অভিনয় করছেন বলিউড অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। তাঁর স্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যাবে কিয়ারা আডবাণীকে। ছবির ট্রেলারে একজন সেনা জওয়ানের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের বিভিন্ন দিকের টুকরো টুকরো অংশ দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ছবির একটি লাইন ভক্তদের মুখে মুখে ঘুরছে। যেখানে ক্যাপ্টেন বাত্রার ভূমিকায় অভিনয় করা সিদ্ধার্থ মালহোত্রাকে বলতে দেখা যাচ্ছে যে, 'ইয়া তো তিরঙ্গা লেহরা কে আউঙ্গ। ইয়া তো তিরঙ্গা মে লিপটকে আউঙ্গা'। অর্থাৎ, হয় বিজয় পতাকা উড়িয়ে আসব আর না হলে পতাকায় জড়িয়ে আসব।
প্রসঙ্গত, 'শের শাহ' প্রধানত কার্গিলের যুদ্ধে শহিদ হওয়া ক্যাপ্টেন বাত্রার জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি। যিনি কার্গিলের যুদ্ধে তাঁর সহযোগী অফিসারকে বাঁচাতে শহিদ হন। ডিম্পল চিমার ছিলেন ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার বাগদত্তা। ক্যাপ্টেন বাত্রা শহিদ হওয়ার পরও সারাজীবন অবিবাহিত ছিলেন। এবং নিজের জীবন ক্যাপ্টেন বাত্রার বিধবা স্ত্রী হিসেবেই কাটিয়েছিলেন। একটি সাক্ষাৎকারে ডিম্পল চিমাকে প্রশ্ন করা হয় যে, ১৯৯৫ সাল নাগাদ ক্যাপ্টেন বাত্রার সঙ্গে কেমন সময় কাটিয়েছিলেন। তিনি উত্তর দেন, '১৯৯৫ সালে চণ্ডীগড়ে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ক্যাপ্টেন বাত্রার সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয়। আমরা দুজনেই সেখানে ইংরেজিতে এম এ পড়ছিলাম। কিন্তু দুজনের কারওই পড়া শেষ হয়নি।' ডিম্পল চিমা স্মৃতিচারণা করে জানিয়েছেন যে, প্রথমবার ইন্ডিয়ান মিলিট্রি অ্য়াকাডেমিতে নির্বাচিত হওয়ার পর ক্যাপ্টেন বাত্রা কতটা উত্তেজিত ছিলেন।
একই সঙ্গে তিনি আরও জানান যে, তাঁর সঙ্গে ক্য়াপ্টেন বাত্রার বিয়েটা প্রায় হয়েই গিয়েছিল। ডিম্পল চিমা জানান, তাঁরা প্রায়ই মনসা দেবীর মন্দিরে এবং গুরুদ্বারে যেতেন। একদিন এমনই মন্দিরের চারপাশে ঘুরছেন তাঁরা। সামনে তিনি এবং তাঁর পিছনে ক্য়াপ্টেন বাত্রা। হঠাৎই ক্যাপ্টেন বাত্রা বলে ওঠেন, 'অভিনন্দন মিসেস বাত্রা। তুমি কি বুঝতে পেরেছো, এই নিয়ে আমরা চারবার পরিক্রমা করলাম।' এরপরই তিনি আবেগে অভিভূত হয়ে যান। আর ক্যাপ্টেন বাত্রার প্রতি তাঁর ভালোবাসা অনেকটা বেড়ে যায়। ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা শহিদ হন ৭ জুলাই ১৯৯৯ সালে। কিন্তু ক্যাপ্টেন বাত্রার মৃত্যুর পর কেন আর বিয়ে করেননি তিনি? ডিম্পল চিমা বলেন, 'কীভাবে আমি আমার অনুভূতি ব্যাখ্যা করব? এতগুলো বছরে কখনও তো অনুভবই করিনি যে ও আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। আমি জানি ওঁর সঙ্গে আমার ফের দেখা হবে। আর সেটা সময়ের অপেক্ষা মাত্র।'