Somnath Kundu Exclusive: প্রস্থেটিক মেকআপে কেটে যেতে পারে মুখের চামড়া, সতর্ক করছেন শিল্পী
Somnath Kundu Exclusive: কেবল বিভিন্ন বই আর পরবর্তীকালে ইউটিউবই ছিল ভরসা। নিজেকে প্রমাণ করতে কম সময় লাগেনি। কিন্তু এখন, চিত্রনাট্যে প্রস্থেটিক মেকআপের প্রয়োজন হলে সবার আগে পরিচালকেরা ফোন করেন তাঁকেই। সোমনাথ কুণ্ডু।
কলকাতা: একসময় টলিউড কল্পনাও করতে পারত না যে প্রস্থেটিক মেকআপ করবে বাংলার শিল্পীরা। মুম্বই থেকে নিয়ে আসা হত মেকআপ আর্টিস্টদের। শিল্পীরা বাংলার মেকআপ আর্টিস্টদের একটু তাচ্ছিল্য করেই বলতে, 'তোরা তো পারিস না।' কথাটা শুনে যেন জেদ চেপে যেত তাঁর। কোনও প্রথাগত শিক্ষা ছিল না। কেবল বিভিন্ন বই আর পরবর্তীকালে ইউটিউবই ছিল ভরসা। নিজেকে প্রমাণ করতে কম সময় লাগেনি। কিন্তু এখন, চিত্রনাট্যে প্রস্থেটিক মেকআপের প্রয়োজন হলে সবার আগে পরিচালকেরা ফোন করেন তাঁকেই। সোমনাথ কুণ্ডু (Somnath Kundu)।
শিল্পীর আসল চেহারার কোনওরকম বদল না ঘটিয়ে কেবলমাত্র রূপটানে তাঁকে সম্পূর্ণ অন্য মানুষের আদল দেওয়াই প্রস্থেটিক মেকআপের লক্ষ্য। ঠিক কিভাবে হয় এই প্রস্থেটিকের কাজ? এবিপি লাইভকে ফোনের ওপার থেকে সোমনাম কুণ্ডু বলছেন, 'গোটা ব্যাপারটাই বিজ্ঞান। আমরা যাঁর মেকআপ করব তাঁকে সবসময় সামনে পাই না। তাই প্রথমেই তাঁর একটা মুখের আদল বা ছাঁচ বানিয়ে নিতে হয়। ভিতরের দিকটা শিল্পীর আসল মুখের আদল থাকে। আর বাইরের দিকটা যেমন নাক, চোখ, মুখ করতে চাই সেটা বানিয়ে নিই আমরা। ব্যাপারটা একটা ডাইসের মত। এরপর তার ওপরেই মেকআপ করা হয়। প্রত্যেকদিনের জন্য আলাদা আলাদা সেট তৈরি করতে হয়। তবে টলিউডে সবসময়েই কম বাজেটে কাজ করতে হয়। হলিউড প্রস্থেটিকের জন্য যে যে জিনিস ব্যবহার করে আমরা সেটা করার সুযোগ পাই না। আরও একটা সমস্যা হল সময়। বলিউডে প্রস্থেটিক মেকআপ নিয়ে সাধারণত ২-৩ ঘণ্টা শ্যুটিং করতে হয় শিল্পীদের। এখানে সেই সময়টাই অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা। 'গুমনামী'-র কাজ করার সময় বুম্বাদা (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়) প্রস্থেটিক নিয়ে টানা ১৮ ঘণ্টা শ্যুটিং করেছিলেন। এতে শিল্পীর কষ্ট হয় তো বটেই। সেইসঙ্গে আমায় সবসময় মাথায় রাখতে হয় মেকআপ যেন শ্যুটিংয়ের মাঝপথে নষ্ট না হয়। তবে হ্যাঁ, বিষয়টা কঠিন শোনালেও আমার কাছে বেশ মজার।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় 'প্রেমপত্র' লিখে আবেগে ভাসলেন ঋতাভরী
চেহারার পরিবর্তন না করেই রূপটান, কিন্তু ত্বকের ক্ষেত্রে কতটা ক্ষতিকারক এই প্রস্থেটিক? সোমনাথ বলছেন, 'গোটা বিশ্বে একই জিনিস ব্যবহার করা হয় এই ধরণের মেকআপের ক্ষেত্রে। একটা সলিউশান দিয়ে তারপর মেকআপটা করা হয়। মেকআপের সেটটা স্কিনের সঙ্গে এতটা আঁটভাবে রাখতে হয় যাতে মুখের প্রত্যেকটা পেশীর নড়াচড়াও স্পষ্ট বোঝা যায়। এমনিতে এই মেকআপ খুলবে না। মেকআপ খোলার জন্য একটা অ্যান্টি সলিউশান দিতে হয়। সেটা দিলেই আস্তে আস্তে ত্বক থেকে আলাদা হয়ে আছে মেকআপটা। তবে খুব তাড়াহুড়ো করলে বা এই মেকআপ নিয়ে অসতর্কভাবে মাথা ঘোরালে কেটে যেতে পারে মুখের চামড়া। তাই শ্যুটিং শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিয়মমাফিক এই প্রস্থেটিক মেকআপ তুলে ফেলাটা খুব জরুরি। তবে হ্য়াঁ, ক্ষতি না হলেও যে শিল্পী এই মেকআপ নিয়ে কাজ করেন তার কাজটা নেহাত সোজা নয়। খুব ভারি মেকআপ হওয়ার কারণে একটা কষ্ট তো থাকেই।'