Sonu Nigam: সুরের জাদুতে মুগ্ধ আট থেকে আশি! জানেন কি সোনুর কেরিয়ারের শুরু অভিনয়ের হাত ধরে?
Did You Know: ১৯৯০-এর সময় থেকে সঙ্গীতের কর্মজীবন শুরু হয় সোনুর। ১৯৯৫ সালে তাঁর প্রথম অ্যালবাম মুক্তি পায় 'রফি কি ইয়াদেঁ', মহম্মদ রফিকে উৎসর্গ করে এই কাজ প্রকাশ করেন তিনি।
নয়াদিল্লি: সোনু নিগম (Sonu Nigam)। ভারতীয়দের কাছে তাঁর নামই যথেষ্ট। শুধু দেশেই নয়, তাঁর সুমধুর কণ্ঠস্বরের (Playback Singer) প্রসার বিদেশেও। ভারতের প্রথম সারির সঙ্গীতশিল্পীদের অন্যতম তিনি। তাঁকে কে না চেনে? কিন্তু জানেন কি, সোনু কেরিয়ার শুরু করেছিলেন অভিনেতা হিসেবে, বলা ভাল শিশু অভিনেতা (Child Actor) হিসেবে।
শিশু অভিনেতা হিসেবে সোনু নিগম
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেটি একটি সিনেমার গানের ভিডিও। একাধিক খুদের সঙ্গে সেখানেই দেখা মেলে খুদে সোনুর। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সঙ্গীতশিল্পী প্রথম পা রেখেছিলেন অভিনেতা হিসেবে। যদিও এই কথা অনেকেই জানেন না। একাধিক সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৮৩ সালের 'বেতাব', 'পিত্রা', 'উস্তাদি উস্তাদ সে' নামক একাধিক ছবিতে দেখা গেছে তাঁকে।
এমন একাধিক ছবি আছে যেখানে তাঁকে নায়কের ছোটবেলার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। যেমন 'হমসে হ্যায় জমানা' ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীর শিশু বয়সের চরিত্রে, বা 'তকদির' ছবিতে শত্রুঘ্ন সিন্হার ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোনু।
'সাথি তেরে নাম এক দিন জীবন কর যায়েঙ্গে' নামের যে গান ভাইরাল হয়েছে সেটি 'উস্তাদি উস্তাদ সে' ছবির। ভিডিও দেখে উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা। কমেন্ট বক্স ভরেছে প্রশংসায়। একজন লেখেন, 'সোনু নিগমের ছোটবেলা কী মিষ্টি'। আবার একজন লেখেন, 'সোনু স্যার ভীষণ মিষ্টি'। অপর অনুরাগী লেখেন, 'সোনু নিগমের ছোটবেলার ভিডিও। আমার প্রিয় গায়ক।'
View this post on Instagram
তবে কেবল ছোটবেলাতেই নয়। পরবর্তীকালে ২০০২ সালে 'জানি দুশমন: এক অনোখি কাহানি' ছবিতে, ২০০৩ সালের 'কাশ আপ হামারে হোতে', ২০০৪ সালে 'লাভ ইন নেপাল' ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি। 'জানি দুশমন' ছবিতে একাধিক তারকা কাজ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সোনু।
আরও পড়ুন: Shah Rukh Khan: প্যারিসে বিশেষ সম্মান শাহরুখ খানকে! স্বর্ণমুদ্রায় খোদাই হল কিং খানের ছবি
১৯৯০-এর সময় থেকে সঙ্গীতের কর্মজীবন শুরু হয় সোনুর। ১৯৯৫ সালে তাঁর প্রথম অ্যালবাম মুক্তি পায় 'রফি কি ইয়াদেঁ', মহম্মদ রফিকে উৎসর্গ করে এই কাজ প্রকাশ করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে 'বর্ডার' ছবির জন্য তাঁর কণ্ঠে 'সন্দেশে আতে হ্যায়' তাঁকে বিশেষ খ্যাতি এনে দেয়। সেই থেকে তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ছবিতে নেপথ্য কণ্ঠে শোনা গেছে তাঁর গলা, একাধিক ভাষায়। প্রায় ৩ দশক ধরে তিনি ভারতীয় দর্শককে নানা ধরনের গান উপহার দিয়েছেন। জিতেছেন একাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারও।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।