Ritwik Bhowmik on Durga Puja: 'কলকাতার পুজোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ খাওয়াদাওয়া', মুম্বইয়ে কীভাবে পুজো কাটান 'বন্দিশ ব্য়ান্ডিট' অভিনেতা?
Durga Puja Planning 2023: পুজোর কটাদিন সারাদিন ধরে গাড়ি নিয়ে প্য়ান্ডেলে প্য়ান্ডেলে ঠাকুর দেখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে পেটপুজো করা চাইই চাই।
কলকাতা: ঢাকে কাঠি পড়ার দিন চলে এল বলে। শরতের আকাশ জানান দিচ্ছে দুর্গাপুজো দোরগোড়ায়। তাই শেষমুর্হূতের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত আট থেকে আশি। আর আজ যাঁর কথা বলব তিনি প্রবাসী বাঙালি হলেও কলকাতার দুর্গাপুজো তাঁর কাছে ভীষণ স্পেশাল।
জন্মসূত্রে তিনি বাঙালি, তবে বেড়ে ওঠা মুম্বইতে। কিন্তু পুজোর এই সময়টা কলকাতাকে খুব মিস করেন অভিনেতা ঋত্বিক ভৌমিক। তাহলে কি পুজোর আনন্দের খামতি হয় কোনও ? মোটেও না। মুম্বইয়ের বাঙালি কমিউনিটির লোকজন একত্রিত হয়ে চলে পুজোর আনন্দ লুটেপুটে নেওয়ার পালা। গাড়ি নিয়ে প্য়ান্ডেলে প্য়ান্ডেলে ঠাকুর দেখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে পেটপুজো করা।
তবে মুম্বইতে থাকার জন্য় কবে পুজো আসছে একথা মাকে জিজ্ঞাসা করতে হয় অভিনেতাকে। তাঁর আপসোস, যদি কলকাতায় থাকতাম তাহলে চারিদিকে সাজোসাজো রব দেখেই বোঝা যেত কবে পুজো আসছে। আলাদা করে কারোও থেকে জানার দরকার পড়ত না।
আরও পড়ুন...
মায়ের সঙ্গে শপিং এখনও বাকি,পরিচালক-অভিনেতা সৌরভের পুজো প্রস্তুতি কেমন চলছে? খোঁজ নিল এবিপি লাইভ
পুজোর শপিং কি সাড়া হয়ে গেছে ইতিমধ্য়েই? অভিনেতা জানালেন,'অনেকসময় কলকাতা থেকে কাকুরা বা মামা-মামি আমার জন্য় কুর্তা-পাজামা কিনে পাঠায়। কারণ এই পোশাকে আমি সবথেকে বেশি স্বচ্ছন্দ্য় বোধ করি। সারাজীবন আমাকে কেউ কুর্তা-পাজামা পরে থাকতে বললেও আমার কোনও অসুবিধে হবে না।'
আত্মীয়স্বজন থাকার দরুণ ও কাজের সূত্রে পুজোর সময় বেশ কয়েকবার কলকাতায় এসেছেন 'বন্দিশ ব্য়ান্ডিট' অভিনেতা। কেমন ছিল সেই দিনগুলো অভিজ্ঞতা? ঋত্বিক জানালেন যে, কলকাতার মত পুজো কোথাও হয় না, এখানকার মানুষ যেভাবে উৎসবে সামিল হন তা নিজের চোখে না দেখলে বোঝা যায় না। আর তাঁর কাছে কলকাতার পুজোর আরও এই আকর্ষণ হল খাবার। অভিনেতার কথায় যাঁরা বাইরে থেকে তিলোত্তমার পুজো উপভোপ করবেন বলে আসেন, তাঁদের আসার অন্য়তম কারণই হল কলকাতার অজস্র সুস্বাদু খাবার।
দুর্গাপুজোর কলকাতার পুরো বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন আর্কিটেকচার 'মাজা মা' অভিনেতার বেশ প্রিয়। কথায় কথায় উঠে এল পুরনো দিনের কথাও। কলকাতার নিউআলিপুরের বন্ধুর বাড়িতে থাকার দিনগুলো এখনও মিস করেন অভিনেতা। সেখানে থাকার সময় পুজোর দিনগুলোতে সকাল বেলা প্য়ান্ডেল থেকে ভেসে আসত পুরনো দিনের গান। যা একমুহূর্তেই মন ভাল করে দিত।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন