Srabanti Chatterjee Update: 'আমি বেজিটাকে আদর করছিলাম', জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দাবি শ্রাবন্তীর
Srabanti Chatterjee Update: শিকল বাঁধা অবস্থায় বেজির সঙ্গে সেলফি পোস্ট করেন শ্রাবন্তী। সেই কেসে অভিনেত্রী, মেকআপ আর্টিস্ট ও এক গাড়ির চালক সহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল।
রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ভাঙার অভিযোগে অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে (Srabanti Chatterjee) জিজ্ঞাসাবাদ করল ওয়াইল্ড লাইফ (Wild Life Act) ক্রাইম কন্ট্রোল সেল। গত ১৫ জানুয়ারি শিকল বাঁধা অবস্থায় বেজির সঙ্গে সেলফি তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগ শ্রাবন্তীর (Srabanti Chatterjee) বিরুদ্ধে।
আজ দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হওয়ার সময় জানা যায়, গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে যা যা উঠে এসেছে সেগুলো ক্রস চেক করা হবে। পরের জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে আগের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। কোথাও অসঙ্গতি থাকলে সেই নিয়ে আবার প্রশ্ন করা হবে বলেও জানা যায়।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে যান অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তবে বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া এখনও চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, 'যে ছবিটা আমি বেজির সঙ্গে তুলেছিলাম সেটা নিয়ে তদন্ত চলছে। যাঁর বেজি ছিল তিনিও এসেছেন। শ্যুটিং করছিলাম, কারও একটা বেজি ছিল। আমি ধরে আদর করছিলাম।'
আরও পড়ুন: 'Chiro Sakha Hey' First Look: প্রকাশ্যে তনুশ্রী-ঈশানের প্রেমকাহিনি 'চিরসখা হে'-এর ফার্স্ট লুক
শিকল বাঁধা অবস্থায় বেজির সঙ্গে সেলফি পোস্ট করেন শ্রাবন্তী। সেই কেসে অভিনেত্রী, মেকআপ আর্টিস্ট ও এক গাড়ির চালক সহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল। গতকালের পর আজ ফের শ্রাবন্তী ও চার জনকে তলব করা হয়।
৩ মার্চ দিনটি বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বন্যপ্রাণ দিবস হিসেবে। গাছপালা এবং পশুপাখিদের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করা হয় এই দিনে। এদিন বন্যপ্রাণ ও গাছ বাঁচানোর উপর জোর দেওয়ার কথা জানান সকলেই।
১৯৭৩ সালের ৩ মার্চ বিপন্ন পশু-পাখি ও গাছ বাঁচানোর জন্য একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তারপরেও অবশ্য সচেতনতার অভাব রয়েই গিয়েছে। এখনও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পশু-পাখিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। গাছ কাটাও সমানভাবে চলছে। এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের ৬৮-তম সাধারণ অধিবেশনে ঘোষণা করা হয়, প্রতি বছর ৩ মার্চ দিনটি বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস হিসেবে পালন করা হবে। তাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়।