'আমায় শিখণ্ডি করে কেন সম্পর্কের চিড় প্রকাশ্যে! অভিনয় করি বলে সস্তা, ঘরভাঙানি নই', বিস্ফোরক শ্রীময়ী
গোটা দিন তোলপাড়, পুলিশে অভিযোগ। বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ও তাঁর স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের সমীকরণ নিতে তোলপাড় রাজনীতি থেকে শুরু করে বিনোদন দুনিয়া। স্ত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল কাঞ্চন মল্লিকের বিরুদ্ধে। অভিনেতার বিরুদ্ধে, গাড়ি থেকে জোর করে টেনে নামানোর চেষ্টার অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী। অন্যদিকে, স্ত্রী বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ করেছেন অভিনেতা-বিধায়ক। আর এই সবের মধ্যে জড়িয়ে গেল আরেক অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের নামও। কাঞ্চনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অভিযোগ করছেন পিঙ্কি।
কলকাতা: গোটা দিন তোলপাড়, পুলিশে অভিযোগ। বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ও তাঁর স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের সমীকরণ নিতে তোলপাড় রাজনীতি থেকে শুরু করে বিনোদন দুনিয়া। স্ত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল কাঞ্চন মল্লিকের বিরুদ্ধে। অভিনেতার বিরুদ্ধে, গাড়ি থেকে জোর করে টেনে নামানোর চেষ্টার অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী। অন্যদিকে, স্ত্রী বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ করেছেন অভিনেতা-বিধায়ক। আর এই সবের মধ্যে জড়িয়ে গেল আরেক অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের নামও। কাঞ্চনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অভিযোগ করছেন পিঙ্কি।
গতকাল একে অপরের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনলেন কাঞ্চন মল্লিক ও পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, পিঙ্কিকে জোর করে গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করেছেন শ্রীময়ী ও কাঞ্চন। পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন কাঞ্চনও। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন শ্রীময়ী। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে নিজের বক্তব্য রাখেন তিনি।
শ্রীময়ী বলছেন, 'অনেক মানুষ আমার নামে খারাপ কথা বলছেন, আবার অনেকেই আমার শুভাকাঙ্খী। যাঁরা আমায় কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁরা জানেন আমি খুব হাসিখুশি একটা মেয়ে। পর্দায় নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করলেও আমি মানুষ হিসাবে নেতিবাচক নই। কাঞ্চন মল্লিক ও আমায় জড়িয়ে যে বিতর্ক ছড়িয়েছে তাতে একদিকে যেমন আমার মানসিক চাপ বেড়েছে, তেমনই ক্ষতি হবে আমার কাজেরও। আমার পরিবারের সবাইও ভীষণ অবাক। আমি যে পরিবারে বড় হয়েছি, সেখানে কেউ অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। পরিবারের দিক থেকে আমার কোনও শিরদাঁড়া নেই। তবু আমি বলব সত্যি সামনে আসবেই। আমি কখনও কারও সংসার ভেঙে পরকীয়া করতে চাই না। বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক করার মত নৈরাশ্য আমার নেই।'
পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে শ্রীময়ী বলেছেন, 'যিনি এই ধরনের কুৎসা করলেন তার কী উদ্দেশ্য আমি জানি না। কিন্তু যে অভিযোগের ভিত্তিতে উনি এফআইআর করেছেন, তার সত্যতা পুলিশ যাচাই করবে। তবে আমার খারাপ লাগছিল যে আমায় শিখণ্ডি খাড়া করে তাঁদের দীর্ঘ বৈবাহিক জীবনের চিড়কে কেন সামনে আনা হচ্ছে! কাঞ্চনদা আর আমার ছবি অনেক জায়গায় পোস্ট হয়েছে সেটা কাজের সূত্রে। আমরা অভিনয় করি বলে এত সস্তা, ঘরভাঙ্গানি নই। আমার রক্তে এটা নেই। তবে আমি আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি কথা বলেছি। আমার সম্পর্কে যা যা অভিযোগ করা হয়েছে তা সব মিথ্যে। আমি স্পষ্ট করে কথা বলতে গিয়েছিলাম। এত নোংরামি, কাদা ছোঁড়াছুড়ি আমি চাইনি। আমার কপাল খারাপ পিঙ্কিদি রঙ চড়িয়ে মিথ্যে কথা বলেছেন।'
শ্রীময়ী আরও বলেছেন, 'কাঞ্চনদার সঙ্গে আমার স্নেহের সম্পর্ক, উনি আমার মেন্টর। খরাজদা, বিশ্বনাথদায়ের মত কাঞ্চনদাও আমাদের নবীন প্রজন্মের শিক্ষাগুরু। তাদের সম্পর্কে খারাপ কথা রটানো হলে খারাপ লাগে। আমি এইভাবে খ্যাতি চাইনি। আমি কোনও নোংরামো বা ধান্দাবাজি করেছি কি না, ভবিষ্যতে সেইদিকে নজর রাখুন। আমি পিঙ্কিদির সঙ্গে পরামর্শ করেই কথা বলতে গিয়েছিলাম। একটা মেয়ে যদি সত্যি পরকীয়া সম্পর্কে থাকত তাহলে সত্যি বলার সাহস পেত না।'